গত ৪ আগস্ট ২০১৯ রবিবার রোকেয়ার জ্ঞান ফিরে এলেও এখনো জ্ঞান ফেরেনি রাবেয়ার। ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই পাবনার চাটমোহরে রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় বিরল দুই শিশু রাবেয়া-রোকেয়া । চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাদের বলা হয় কনজয়েন্ড টুইন বা মাথা জোড়া লাগানো যমজ বাচ্চা। বিশ্বে ২৫ লাখ যমজ বাচ্চার মধ্যে মাত্র একটি মাথা জোড়া লাগানো জন্ম নেয়। এর প্রায় ৪০ শতাংশই মৃত অবস্থায় জন্ম নিতে দেখা যায়। আর জীবিতদের এক-তৃতীয়াংশই ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায়। এ ধরনের শিশুদের শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে আলাদা করার সুযোগ থাকে। এটি একটি বিরল ধরনের অপারেশন। সারা বিশ্বে খুবই অল্প পরিমাণেই হয়েছে । সাফল্যের হারও খুব বেশি নয়।
রাবেয়া-রোকেয়ার জন্মের পর বিষয়টি নিয়ে তাদের মা-বাবা কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের নিয়ে আসা হয়। গত ৩০ জুলাই রাতে রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে এই জোড়া মাথার শিশু রোকেয়া ও রাবেয়ার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। গত ৪ আগস্ট দুজনের মধ্যে রোকেয়ার জ্ঞান ফিরে এলেও রাবেয়ার এখনো জ্ঞান ফেরেনি। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত ৪ আগস্ট দু’জনের মধ্যে রোকেয়ার জ্ঞান ফিরলেও রাবেয়ার এখনো জ্ঞান ফেরেনি।
গতকাল ১৩ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন শিশুদের খোঁজ খবর নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিএমএইচ-এ যান। সেখানে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে বিরল অস্ত্রোপচারগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে এই জোড়া লাগানো আমাদের দেশের এই দুই শিশুর অস্ত্রোপচার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও তত্ত্বাবধানে এই অপারেশনে বাংলাদেশ উদ্যোগ নিয়েছে। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত মাত্র ১৭টি হয়েছে। আর এটি গোটা এশিয়ায় প্রথম। এ কারণে এটি আমাদের দেশীয় চিকিৎসায় এক বিরাট সাফল্য। এই চিকিৎসায় হাঙ্গেরির ৩০ জন ও আমাদের দেশের ৭০ জন চিকিৎসক, নার্স নিরলস কাজ করেছেন। শিশু দুটির একজন রাবেয়া এখন পুরোপুরি সুস্থ হলেও অপর শিশু রোকেয়ার এখনও জ্ঞান ফেরেনি। তবে রোকেয়ার শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে এবং এখন অবস্থা কিছুটা ভালো।’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জোড়া মাথার বিরল অস্ত্রোপচার করা শিশু রাবেয়া ও রোকেয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন শিশু দুটিকে দেখতে যান তিনি।
রাবেয়া-রোকেয়াকে পৃথক করার প্রায় ৩৩ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে হাঙ্গেরির ৩০ জন ও বাংলাদেশের ৭০ জন চিকিৎসক কাজ করেছেন। অস্ত্রোপচারের পর থেকে সিএমএইচে তাঁরা গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ইং আগস্ট ২০১৯ রোববার দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন জোড়া লাগানো এক মাথার যমজ শিশু রাবেয়া-রোকেয়াকে দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি তাদের সার্বিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম আজ একথা জানান। যমজ শিশু রাবেয়া-রোকেয়ার পুরো চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাবেয়া-রোকেয়ার বাড়ি পাবনার চাটমোহরে। তাদের বয়স সাড়ে তিন বছর।
পরে তিনি ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিনকে দেখতে যান। সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেন তিনি । এসময় সেখানে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির স্বামী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট তৌফিক নাওয়াজকে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
আরো পড়ুন–
☞ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে করণীয়
☞ পাওয়া গেলো ডেঙ্গুর ঔষুধ
☞ ডেঙ্গু কেড়ে নিচ্ছে শত শত মায়াবী প্রাণ
☞ শিশুদের ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া টিপস
☞ ভয়াবহ ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাচাঁর প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
☞ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে করণীয়
☞ পাওয়া গেলো ডেঙ্গুর ঔষুধ
☞ ডেঙ্গু কেড়ে নিচ্ছে শত শত মায়াবী প্রাণ
☞ শিশুদের ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া টিপস
☞ ভয়াবহ ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাচাঁর প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
আল্লাহ সব কিছুর স থেকে বড় সমাধান দাতা।
ReplyDeleteআপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ReplyDelete