Breaking

Sunday, August 4, 2019

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে করণীয় || Dengue should be done in cases of panic

ডেঙ্গু আতঙ্ক সবার মাঝে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার এটার কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না। এডিস মশা কামড় দেয়ার ৬/৭ সাত দিন সময় লাগে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে। আবার ৫/১০ দিনের মাঝে আপনা আপনি ভালো হয়ে যায় যারা সময়মত চিকিৎসা নেন, নিজের যত্ন নেন। আজকে অনেকগুলো পোষ্ট পড়লাম, অনেকের মেয়ে, ছেলে, বাবা, পরিবারের কেউ না কেউ এই এডিস মশা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন।

ডেঙ্গু  আতঙ্ক রোগীর খাবার:
এটা নিয়ে বিচলিত হবার কিছু নেই। প্রতিদিন যতটুকু পারেন ডাবের পানি খান। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বা লেবুর শরবত খাবেন। ডালিম, লেবু, মুরগির স্যুপ, তরল জাতীয় খাবার বেশি খাবেন। আর প্রচুর বিশ্রাম নিবেন। অনেকে পেপে পাতার রস সাজেস্ট করেন। এটা নিয়ে বেশির ভাগ ডক্টর একই মতামত দিয়েছেন যে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটা খাওয়া যাবে না। প্যরাসিটামল ছাড়া অন্য কোন ঔষধ খাওয়া যাবে না। কোন ধরনের ব্যথার ঔষধ খাওয়া যাবে না। এস্পিরিন বা পেইন কিলার খেলে ব্লিডিং হওয়ার চান্স বেড়ে যায়।

ডেঙ্গু রক্তের প্লাটিলেট টেস্ট:
প্রথম বারের টেস্টে কখনো ডেঙ্গুর রেজাল্ট পজিটিভ আসেনা। এমনকি দ্বিতীয় তৃতীয় বারের টেস্টেও কখনো রেজাল্ট পজিটিভ নাও আসতে পারে। এ জন্য রক্তের প্লাটিলেট টেস্ট করবেন। এটা টেস্ট করলেই ধারণা পাওয়া যাবে। ডেঙ্গু  হলে শরিরের রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়ার চান্স থাকে। যাদের দ্রুত কমে যায়, তারা অবশ্যই দেরী না করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করবেন।

ঘরোয়া ভাবেও ডেঙ্গু  রুগির চিকিৎসা: 
মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শরীরে সব সময় নারিকেল তেল মেখে রাখবেন, বিশেষ করে আমাদের শরীরের যেসব জায়গা উন্মুক্ত থাকে। ঘরের বিছানার নিচে, ঘরের কোনাগুলোতে কর্পূর দিয়ে রাখতে পারেন। কর্পুরের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। নিম গাছ, তুলসি গাছ, সজনে গাছ বাড়ির আশে পাশে লাগিয়ে রাখুন। এই গাছগুলো বন্ধু গাছ। এসব গাছ পোকামাকড় আসতে বাধা দেয়, আর পরিবেশকে জীবানুমুক্ত রাখে। সবাই বাসার ফ্রিজের নিচটা পরিষ্কার রাখবেন। পানি যেন না জমে। আর ডাব খেয়ে ওটা দূরে কোথাও ফেলে দিবেন।

এডিশ মশা নিয়ে যে দু'টি ভুল ধারণা আপনার বিপদ টেনে আনতে পারে, তা নিচে দেওয়া হল:-
 ১ম ভুল ধারণা-
এডিস মশা হাঁটুর উপরে উড়তে পারেনা বা কামড়ায় না:
এডিস মশাকে সর্বোচ্চ ২০০ মিটার উচ্চতায়ও উঠতে দেখা গেছে। হাঁটুর উপরে উঠতে না পারলে এই মশা দুই তলাতেই উঠতে পারতোনা। অথচ ২১ তলায়ও এই হারামি মশাকে ডিম পাড়তে দেখা যায়। তবে যে কোন মশাই মোটামুটি বেগ সম্বলিত বাতাসের বিপরীতে উড়ে উপরে উঠতে পারে না। কিন্তু হাইরাইজ বিল্ডিংএ উঠতে বিল্ডিং এর ভেতরেই এরা প্রচুর স্পেস পেয়ে যায়।

সাধারণতঃ বাসা বাড়িতে ফ্যান চালানো থাকলে বাতাসের বিপরীতে ফ্লোর থেকে হাঁটু দুরত্বের উপরে উঠতে এদের বেগ পেতে হয়। তাই হাঁটুর নীচেই বেশী কামড়ায়। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, এরা যেই রিসেপ্টরের মাধ্যমে টার্গেট আইডেন্টিফাই করে তাতে হাঁটুর নিচটা সহজে ধরা পড়ে। তবে শরীরের যে কোন অংশেই এরা আক্রমণ করতে পারে।
 ২য় ভুল ধারণা-
এরা কেবল দিনের বেলায় কামড়ায়:
মূলতঃ এরা দিনের আলোয় বেশী কামড়ায়। রাতেও কামড়ায়, তবে কম। সুতরাং রাতের বেলায় অবহেলা করার মানে নাই। তবে এখনকার এডিস মশা ভোরে এবং সন্ধ্যায় বেশি আক্রমন করতে দেখা যায় । সূর্য ওঠার সময় এবং সূর্য অস্ত যাবার সময় এদের আক্রমন বেশি দেখা যায় ।

সবাইকে আল্লাহ তায়ালা সুস্থ্য রাখুন, ভালো রাখুন। নিরাপদে থাকুক সকল শিশুরা, বড়রা, বাবারা, মায়েরা, পৃথিবীর সকল মানুষ। আমিন।

(সামিরা আক্তার এর পোষ্ট থেকে সংগৃহিত এবং পরিমার্জিত)
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com

No comments:

Post a Comment

Clicky