Breaking

Saturday, April 13, 2019

দুধ চা ও রং চা পানের উপকারিতা ও অপকারিতা

চা এর ভালো গুনাগুন ও ক্ষতিকর দিক


পানির পরেই চা হলো বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় উপভোগ্য পানীয়। ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তুতির কারণে এক এক ধরণের চা এর এক এক ধরণের স্বাদ। তেমনি এক এক ধরণের চা এর গুনাবলী এক এক ধরণের হয়ে থাকে। চা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো ক্যামেলিয়া সিনেনসিম

চা গাছ থেকে চা পাতা পাওয়া যায়, আর এ চা পাতা থেকে তৈরি হয় দানা দানা চা গুড়া। যা আমাদের সবার কাছে চা পাতা নামে পরিচিত। ইংরেজিতে চা এর প্রতিশব্দ হলো Tea । চীনে Tea এর উচ্চারণ ছিল চি। পরবর্তীতে এ শব্দটি চা এ রুপান্তরিত হয়। 

আমরা এখানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ভিন্ন ভিন্ন চা এর ভিন্ন ভিন্ন গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা করব। 


১। দুধ চা
চা এর সাথে দুধ মিশিয়ে পান করলে রক্তনালীর প্রসারণ ক্ষমতা একেবারে চলে যায়। কারন দুধের মধ্যে ক্যাসেইন নামক এক ধরণের পদার্থ থাকে যা চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাটেচিনকে বাধাগ্রস্থ করে। এর ফলে দুধ চা রক্তনালীর প্রসারণ ঘটাতে ব্যর্থ হয়। দুধ চা উপকার তো করেই না বরং নানা ধরণের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়। 

যারা ওজন নিয়ন্ত্রন রাখতে চান তারা দেখে নিন ক্যালরির পরিমান।
>> দুধ, চিনি ছাড়া রং চা- ২ ক্যালরি।
>> ১ চামচ চিনি সহ রং চা- ১৬ ক্যালরি।
>> ১ চামচ চিনি ও ১ চামচ দুধ সহ চা- ২৬ ক্যালরি।


সুতরাং রং চা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ওজন নিয়ন্ত্রনে খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে যা দুধ চা করতে পারে না।


২। লাল চা
চিকিৎসকের মতে চিনি ছাড়া লাল চা শরীর এর জন্য খুবই উপকারী। এতে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে রয়েছে ক্যাফেইন, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল, পটাশিয়াম, ফ্লোরাইড, ম্যাঙ্গানিজ, পলিফেলন। যার কারনে নিত্যদিন লাল চা পানে পাওয়া যায় বাড়তি এনার্জি। শুধু চোখ নয়, লাল চা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করে, ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

তবে দিনে ৩ থেকে ৪ কাপের বেশী চা না পান করাই ভালো। এতে স্বাস্থ্যকর গুনাগুন বিদ্যমান থাকে না। উল্টো ক্ষতির কারন হতে পারে।



৩। লেবু চা

লেবু চা আমাদের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই সারাদিনের পরিশ্রমের পর লেবু চা পান করলে শারীরিক পরিশ্রমের ভার অনেকটাই কেটে যায়।



৪। আদা চা
আদা চা আমাদের শরীরে ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। এই চা খালি পেটে সবচেয়ে বেশী উপকারী। খালি পেটে আদা চা পান করলে হজম ক্ষমতা বাড়ে এবং অম্ল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।



৫। তুলশী পাতা চা
তুলশী চা পান করলে ত্বক উজ্জল ও ঝলমলে হয়। তাছাড়া এই চা প্রতিদিন পান করলে বাতের ব্যাথা ও আর্থারাইটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।



৬। পুদিনা পাতা চা
এটি রক্তের কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুদিনা পাতা চা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগীদের জন্য এই চা অধিক উপকারী।


আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।

 Image Source www.google.com

2 comments:

  1. Replies
    1. আপনাকেও ধন্যবাদ। পাশে থাকবেন সবসময়।

      Delete

Clicky