Breaking

Sunday, October 13, 2019

মীনা' কার্টুনের অমর স্রষ্টা রাম মোহন আর নেই || Creator of Mina Cartoon Ram Mohan passes away

মীনা কার্টুন আমরা কম বেশি সবারই পরিচিত । আর এ কার্টুনের রুপদানকারী হল রাম মোহন । তিনি আর বেঁচে নেই। জনপ্রিয় "মীনা" কার্টুন রুপদানকারী রাম মোহন ইন্তেকাল করেছেন। ভারতের অ্যানিমেশন বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যানিমেশন এক্সপ্রেস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার ভারতভিত্তিক অ্যানিমেশন বিষয়ক এক্সপ্রেস এ তথ্য জানিয়েছেন যে জনক কার্টুনিস্ট রাম মোহন ১০/১০/২০১৯ইং বৃহস্পতিবার মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
খবর অ্যানিমেশন ম্যাগাজিন ডটকমের। ১৯৯০ এর দশকে মেয়েদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মীনা কার্টুন প্রচারের উদ্যোগ নেয় ইউনিসেফ। এরপর কার্টুনিস্ট রাম মোহনের রং-তুলিতে মীনা একটু পূর্ণাঙ্গ রুপ পায়।রাম মোহন ইউনিসেফের সহযোগিতায় মীনা কার্টুনের প্রথম এনিমেশন করেন ১৯৯১ সালে। মোট ১৬ টি এপিসোড তৈরি করেন যার কার্যকাল ছিল ২০০১ সাল পর্যন্ত।

বাংলাদেশের বিটিভি তে প্রথম মিনা কার্টুন প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে আরো বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানেও বিটিভি সহ আরো অনেকগুলো চ্যানেলে এই জনপ্রিয় মীনা কার্টুন প্রচার হচ্ছে।

তথ্যসূত্র অনুসারে যদিও কার্টুনটির মূল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের অধিকার নিশ্চিত করা,কিন্তু মেয়েদের অধিকার নিশ্চিত এর পাশাপাশি এই কার্টুনটি আরো অনেকগুলো নীতি শিক্ষা দেয় বাচ্চাদের। যেমন কিভাবে বাচ্চাদের সাথে আচরণ করতে হয়, তাদের যত্ন নিতে হয়, কিভাবে সবার সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করতে হয়, অস্বাভাবিক বাচ্চাদের সাথে কিভাবে মিলেমিশে থাকা যায়, কিভাবে বড়দের সম্মান করতে হয়,কিভাবে নম্র-ভদ্রভাবে কথা বলতে হয়, কিভাবে পরিবারের সবার সাথে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে থাকতে হয়, স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষার প্রতি গভীর আগ্রহ ও মনোভাব, কুসংস্কার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার উপায় সহ আরো নানান ধরনেরই শিক্ষা পাওয়া যায় এ কার্টুনে।

এই মীনা কার্টুন থেকে আমরা সেই ছোট্ট বেলা থেকেই অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। সম্পূর্ণ শিক্ষামূলক একটি কার্টুন। কিন্তু কালের বিবর্তনে এই শিক্ষনীয় কার্টুনটি হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে টম অ্যান্ড জেরি,ডোরেমন, শিনচ্যান সহ আরো বিভিন্ন কার্টুনের সুবাদে এ-ই শিক্ষনীয় "মীনা" কার্টুনটি বিলুপ্তপ্রায়।
রামমোহনকে বলা হয় ‘ফাদার অফ ইন্ডিয়ান অ্যানিমেশন’। ইন্ডিয়ার অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রির যাত্রা একরকম তাঁর হাত ধরেই শুরু। বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে চেনেন তাঁর সৃষ্টি মীনা চরিত্রটি দিয়ে।

চলচ্চিত্র পরিচালক বৈভব মোর লিখেছেন, ‘আজকের দিনটি অ্যানিমেশন শিল্পের জন্য দুঃখের দিন। আশ্চর্য প্রতিভাধর মানুষটি ছিলেন অত্যন্ত নম্রভদ্র।’ পরিচালক স্বরূপ দেব শোক জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে ব্যক্তি হিসেবে তাঁর আশীর্বাদ পেয়েছি। তাঁর কর্ম আমাদের মাঝে আজীবন টিকে থাকবে।’

১৯৯০-এর দশকে উপমহাদেশের মেয়েদের অধিকার সুংসহত করার লক্ষ্যে মীনা কার্টুন প্রচারের উদ্যোগ নেয় ইউনিসেফ। সে সময় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি মুখাবয়ব সৃষ্টির জন্য তারা দ্বারস্থ হয় রামমোহনের। পরে তাঁর রং-তুলিতেই ফুটে ওঠে মীনা কার্টুনের সবার পছন্দের রূপটি। ফিলিপাইনের ম্যানিলাতে অবস্থিত হান্না-বারবারা স্টুডিওতেও মীনার প্রথম দিককার বেশ কিছু পর্ব নির্মিত হয়। পরে ভারতের রাম মোহন স্টুডিওতে মীনার বাকি পর্বগুলো নির্মাণ করা হয়। সিরিজগুলো পরিচালনা করেছিলেন রাম মোহন নিজেই। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মেয়েশিশুদের যেসব সমস্যা রয়েছে, তার সুন্দর সমাধান এই কার্টুন সিরিজগুলোর মাধ্যমে অত্যন্ত সহজভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আপনার বাসায় বাচ্চাদের মিথ্যাচারর ভর্তি ডোরেমন,শিনচ্যান না দেখিয়ে মীনা কার্টুন দেখান। যে কয়টা এপিসোডই আছে সে কয়টাই দেখান। টিভি তে না পারলেও ইউটিউব এ দেখান। অন্তত খারাপ কিছু শিখবে না

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শিক্ষামূলক জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র মীনার রূপদানকারী রাম মোহন মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। রাম মোহন চলে গেলেও রেখে গেছেন মহামূল্যবান কীর্তি। যার মাধ্যমে তিনি সবাত মাঝেই বেঁচে থাকবে।



আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com

No comments:

Post a Comment

Clicky