রোববার ০৬/১০/২০১৯ ইং মধ্যরাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের যে রুমটিতে আবরার ফাহাদকে হ'ত্যা করা হয়েছিল
সেখান থেকে লাঠি, ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প, চাপাতিসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ
করেছে পুলিশ। পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট, মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ,
চকবাজার থানা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত চালাচ্ছেন।
সোমবার দুপুরে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমটি পরিদর্শন করেন ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। তিনি
সাংবাদিকদের জানান, আবরারকে পিটিয়ে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। ঘটনাটি
তদন্তে ডিবি, থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তারা বলেন, যারা জড়িত ছিল তারা অবশ্যই আইনের আওতায়
আসবে। তিনি বলেন, যে রুমে ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জেনেছি , এরপর সে রুমটিতে ভিজিট
করেছি এবং এর আলামতও সংগ্রহ করেছি। সেগুলো পর্যালোচনার কাজ চলছে । যারা জড়িত তাদের
পূর্ণাঙ্গ বিবরণী তদন্তে অবশ্যই চলে আসবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, তদন্তে কোন প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে না। পুলিশ জানায়, ২০১১ নম্বর রুম থেকে পুলিশ তিনটি খালি মদের বোতল, একটি
অর্ধেক ভরা মদের বোতল (পানি নাকি মদ নিশ্চিত নয়), চারটি ক্রিকেট খেলার
স্ট্যাম্প, একটি চাপাতি, দুটি লাঠি উদ্ধার করেছে। স্ট্যাম্পগুলোর মধ্যে
একটিতে লালচে দাগও পাওয়া গেছে । এটি শুকনা রক্তের দাগ হতে পারে বলে ধারণা
পুলিশের।
এদিকে বুয়েট ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ
বিরাজ করছে। শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টের রুমের সামনে অনেক শিক্ষার্থী
অবস্থান করছেন। এদিকে শিক্ষার্থীরা হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ না দেখানোর অভিযোগও করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, যে কোনো ঘটনায় হলের
শিক্ষার্থীরা ফুটেজ দেখার অধিকার রাখে। আবরারের ঘটনায় আমরা ফুটেজ দেখতে
চাইলে প্রথমে হল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজনকে সিসিটিভি ফুটেজ
দেখাতে রাজি হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা না মানলে পাঁচজনকে ফুটেজ দেখাতে রাজি
হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, যারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখবে তাদের নাম এই হত্যা
মামলার সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হবে। এ কারণে ভয়ে শিক্ষার্থীদের কেউই ফুটেজ
দেখেনি। এদিকে হল কর্তৃপক্ষের শর্ত প্রত্যাহারের জন্য হলের রুমের বাইরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
আবরার ফাহাদ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর মধ্যরাতে নিজের আবাসিক হল শেরে বাংলা হলে পাওয়া যায় তার লা'শ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রের দাবি, আবরারকে রোববার ৮টার দিকে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে পাঠান তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৭-৮ জন নেতা। তারা আবরার ফাহাদের মুঠোফোন চেক করে শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ খোঁজেন। এক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে তাকে পেটাতে শুরু করেন তারা। পরে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী ওই কক্ষে গিয়ে আবরারকে আরেক দফায় পেটান। এতে তার মৃত্যু হলে রাতে সহপাঠীদের ডেকে লাশ সিঁড়ির নিচে রাখতে বলা হয়।
আহা স্বপ্ন! আহা মৃত্যু!!
একটা সন্তানকে বুয়েট পর্যন্ত নিয়ে আসতে কতো কাঠখড় পোড়াতে হয় বাবা-মায়ের? কতোটা স্বপ্নবাজ হলে বুয়েটে পড়ার ভাগ্য হয় একজন শিক্ষার্থীর? বুয়েটে ভর্তির সেই আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নটা সত্যি হলেও রাজনীতির নির্মম বলি হল ছেলেটি। এই ছেলেটিকেও শুনলাম শিবির সন্দ্বেহে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুয়েটের শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হলে ঘটে নির্মম এই হত্যাকান্ডটি। কতটা পাষন্ড তোরা হলে একটা মানুষকে, একটা ২১ বছরের ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায়। সহপাঠীরা বলছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের অসম চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসটি-ই নাকি তার মৃত্যুর কারণ!
আরো পড়ুন–
☞ যে কারণে আবরার ফাহাদকে নির্মম ভাবে হত্যা হতে হল
☞ রিক্সায় মৃত মায়ের পাশে দাড়িয়ে কাঁদছে শিশু
☞ স্বামীর মৃত্যুর খবরে নববধূর আত্মহত্যা
☞ ঘুমন্ত স্বামীকে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, স্ত্রী পলাতক
☞ ফেরিতে স্কুল ছাত্র তিতাসের মৃত্যু, সচিবসহ দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট
☞ যে কারণে আবরার ফাহাদকে নির্মম ভাবে হত্যা হতে হল
☞ রিক্সায় মৃত মায়ের পাশে দাড়িয়ে কাঁদছে শিশু
☞ স্বামীর মৃত্যুর খবরে নববধূর আত্মহত্যা
☞ ঘুমন্ত স্বামীকে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, স্ত্রী পলাতক
☞ ফেরিতে স্কুল ছাত্র তিতাসের মৃত্যু, সচিবসহ দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
No comments:
Post a Comment