ক) কুনোব্যাঙ টুনটুনিকে কী খবর দিয়েছিল?
উঃ “টুনটুনি ও কুনোব্যাঙ” গল্পে লেখক প্রাণী জগতের নিজেদের মধ্যে যেসব কথাবার্তা হয় এবং পূর্বাভাস সম্পর্কে তারা বুঝতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
কুনোব্যাঙ টুনটুনিকে খবর দিয়েছিল যে, আগামী শনিবার ঝড় হবে। একথা কুনোব্যাঙ শহর থেকে শুনে এসেছে।
খ) খবর শুনে টুনটুনি কী করল?
উঃ “টুনটুনি ও কুনোব্যাঙ” গল্পে লেখক প্রাণী জগতের নিজেদের মধ্যে যেসব কথাবার্তা হয় এবং পূর্বাভাস সম্পর্কে তারা বুঝতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
খবর শুনে টুনটুনি যা করলঃ টুনটুনি ছিল খুব ভীতু। কুনোব্যাঙের মুখে ঝড়ের খবর শুনে তার ছোট্ট বুকটা ভয়ে কেঁপে উঠল। ভয়ে তার মুখ শুকিয়ে গেল। সে পাহাড়ের চিবিদ গাছের মগডালে গিয়ে বসল। সেই গাছে বসে হা করে বাতাস খাচ্ছিল এক রাংরাং পাখি। টুনটুনি গর্ত ভেবে রাংরাং পাখির ঠোঁটের ভেতর ঢুকে পড়ল।
গ) হরিণ কী করল?
উঃ যখন টুনটুনি গর্ত ভেবে রাংরাং পাখির ঠোঁটের ভেতর ঢুকে পড়ল তখন হরিন গাছের নিচে মনের সুখে ঘাস খেয়ে বেড়াচ্ছিল। রাংরাং পাখির চিৎকার শুনে সে ভীষণ ভয় পেয়ে দিল ভোঁ-দৌড়। হরিনের পায়ের ধারালো খুর লেগে অজগরের লেজ কেটে গেল।
ঘ) অজগর পিঁপড়ের বাসা ভেঙে দিল কেন?
উঃ “টুনটুনি ও কুনোব্যাঙ” গল্পে লেখক প্রাণী জগতের নিজেদের মধ্যে যেসব কথাবার্তা হয় এবং পূর্বাভাস সম্পর্কে তারা বুঝতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
অজগর পিঁপড়ের বাসা ভাঙার কারণঃ হরিণের পায়ের খুর লেগে অজগরের লেজ কেটে গেল। ব্যাথায় সে অস্থির হয়ে পড়ল। লেজের দুঃখে সে পিঁপড়ের বাসা ভেঙে দিল।
ঙ) বুুড়ি হাতির বিরুদ্ধে কী নালিশ করল?
উঃ বুড়ি ছিল একা। তার ছেলেমেয়ে কেউ নেই। অনেক কষ্টে সে একা একা ধান বুনেছে। কিন্তু হাতিটা তার এত কষ্টের ফসল নষ্ট করেছে। তাই বুড়ি রাজার কাছে হাতির বিরুদ্ধে নালিশ করল যে, হাতিটা তার কষ্টের ফসল সাবাড় করে দিয়েছে।
চ) তোমার জানা একটি রূপকথার গল্প বল।
evN I Ryg Kb¨vi Mí
এক ছিল চাষি। তার ছিল এক মেয়ে। মেয়ে বাবাকে জুম চাষের কাজে সাহায্য করত। যে বনে তারা জুম চাষ করত সেই বনে ছিল এক বাঘ। মেয়েটির সাথে বাঘের খুব ভাব হলো। বাঘ একদিন প্রস্তাব দিল, সে জুম কন্যাকে বিয়ে করবে।
জুম কন্যা রাজি। বাঘের সঙ্গে জুম কন্যার বিয়ে- একথা গ্রামময় রটে গেল। বাবা পড়ল ভাবনায়্। জুম কন্যার মা ছিল বুুদ্ধিমতী। সে ভাবল, বাঘকে শাস্তি দিতে হবে। বাঘের সাথে তার মেয়ের বিয়ে- এটা সম্ভব নয়। সে ¯^vgxi কানে কানে একটি বুদ্ধির কথা বলে দিল।
মেয়ের বাবা বাঘকে বলল, “তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাও, উত্তম কথা। আমার মেয়েও তো তোমাকে না দেখে থাকতে পারে না। তবে একটি কথা হলো- সে তোমার ওই বড় বড় দাঁত এবং শক্ত থাবা দেখে ভয় পায়।”
চাষির কথা শুনে বাঘ তার সব দাঁত উঠিয়ে ফেলল এবং নখ কেটে ফেলল।
নখ ও দাঁত ফেলে দেওয়ার দরুন বাঘ ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ল এবং কয়েকদিনের মধ্যেই মারা গেল। জেনে রেখো-বুদ্ধি থাকলে বাঁচা যায়। স্ত্রীর বুদ্ধিতে চাষি এবার বেঁচে গেল।
********
No comments:
Post a Comment