আবরার ফাহাদ এর মর্মান্তিক মৃত্যর কারণে উত্তপ্ত জনতা, ক্ষোভে ফুসছে সারা দেশ, মিছিল, মশাল মিছিল, আন্দোলন চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট সহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। আবরার এর মৃত্যু সম্পর্কে প্রয়াত ঔপন্যাসিক হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন যা বললেন:
আমার বাবা ও বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ‘৬৯ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন । সারাজীবন তাঁর মুখে গর্বের সাথে উচ্চারিত হওয়া এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হবার স্বপ্ন ছিল আমারও। ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম তোলার সময় ঢাকার বাইরে থাকায় পরীক্ষা-ই দিতে পারিনি আমি! সেই দু:খটাকে ভোলার জন্য প্রায়ই ভেবেছি আমার দুই পুত্রদ্বয়ের যেকোনো একজন যেন এই মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদার হতে পারে।
এই প্রতিষ্ঠানের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ছাত্র ছিল আবরার। আবরার এর কথা ভাবি আর আমার পুত্রদ্বয়ের মুখের দিকে তাকাই। আমার বুক কাঁপে উঠে। বাচ্চাদু’টোর পিঠ হাত-পা’র উপর হাত বুলিয়ে দেই। ছোটবেলায় এরকম ছোট ছোট হাত পা-ই তো ছিল আবরারের! তার মা কতরাত পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে তাকে! একেকটা আঘাতে ছেলেটা কি ‘মা গো’ বলে চিৎকার দিয়েছিল? ‘মা গো’ ডাক শুনে খুনী ছেলেগুলোর কি একটুও নিজের মা’এর কথা মনে পড়েনি! ঠিক কতবার.., কতক্ষণ ধরে.., কতটুকু আঘাত করলে ২০/২১ বছরের একটা তরুণ ছেলে মরেই যায়!
এই প্রতিষ্ঠানের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ছাত্র ছিল আবরার। আবরার এর কথা ভাবি আর আমার পুত্রদ্বয়ের মুখের দিকে তাকাই। আমার বুক কাঁপে উঠে। বাচ্চাদু’টোর পিঠ হাত-পা’র উপর হাত বুলিয়ে দেই। ছোটবেলায় এরকম ছোট ছোট হাত পা-ই তো ছিল আবরারের! তার মা কতরাত পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে তাকে! একেকটা আঘাতে ছেলেটা কি ‘মা গো’ বলে চিৎকার দিয়েছিল? ‘মা গো’ ডাক শুনে খুনী ছেলেগুলোর কি একটুও নিজের মা’এর কথা মনে পড়েনি! ঠিক কতবার.., কতক্ষণ ধরে.., কতটুকু আঘাত করলে ২০/২১ বছরের একটা তরুণ ছেলে মরেই যায়!
আমি আর ভাবতে পারি না।
ফেসবুকে আবরারের পিঠটার ছবি দেখলাম। কি ভয়ংকর! কি নৃশংস!! কি কষ্ট!!!
এই ছবিটা যেন তার বাবা-মা’র চোখে না পড়ে। ভুল বলেছি। আবরারের বাবা, আবরারের মা তাদের বাবুটার ক্ষতবিক্ষত পিঠে হাত বুলিয়ে যেন অভিশাপ দেন মানুষের মতো দেখতে খুনী অমানুষগুলোকে। তাদের অভিশাপে যেন ধ্বংস হয়ে যায় এই অসুস্থ সমাজ।
ফেসবুকে আবরারের পিঠটার ছবি দেখলাম। কি ভয়ংকর! কি নৃশংস!! কি কষ্ট!!!
এই ছবিটা যেন তার বাবা-মা’র চোখে না পড়ে। ভুল বলেছি। আবরারের বাবা, আবরারের মা তাদের বাবুটার ক্ষতবিক্ষত পিঠে হাত বুলিয়ে যেন অভিশাপ দেন মানুষের মতো দেখতে খুনী অমানুষগুলোকে। তাদের অভিশাপে যেন ধ্বংস হয়ে যায় এই অসুস্থ সমাজ।
# ভুলে_গিয়েছি নুসরাতকে_
# ভুলে_যাব আবরারকেও_
#বিচার_চাই_বলে_লাভ_আছে_কিনা_জানিনা_তবুও
#বিচার_চাইব
# ভুলে_যাব আবরারকেও_
#বিচার_চাই_বলে_লাভ_আছে_কিনা_জানিনা_তবুও
#বিচার_চাইব
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারি নি চিৎকার...
বুকের ব্যাথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার।।।
বুকের ব্যাথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার।।।
আল্লাহ কলিজাটা ছিঁড়ে যায় গো মাবুদ। তোমার কাছেও কি এসবের বিচার নাই। সন্ত্রাসী লীগের হাত থেকে দেশকে বাঁচাও আল্লাহ। এত বরো অন্যায় র বিচার যদি না হয় -বুঝে নেয়া হবে দেশে কোনো আইন বলতে কিছু নাই ।একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে কোনও উপযুক্ত শাশ্তি নাই। বলার মতো কোন ভাষা খুজে পাচ্ছি না ।
সংশোধন: ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পিঠের ছবিটা নাকি আবরারের না। তাতে কি! আবরারের শরীরটাও তো ৬/৭ ঘন্টার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত!
আরো পড়ুন–
☞ যে কারণে আবরার ফাহাদকে নির্মম ভাবে হত্যা হতে হল
☞ কে থামাবে মা রোকেয়ার কান্না
☞ স্বামীর মৃত্যুর খবরে নববধূর আত্মহত্যা
☞ বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় যে প্রমাণ পাওয়া গেছে
☞ ফেরিতে স্কুল ছাত্র তিতাসের মৃত্যু, সচিবসহ দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট
☞ যে কারণে আবরার ফাহাদকে নির্মম ভাবে হত্যা হতে হল
☞ কে থামাবে মা রোকেয়ার কান্না
☞ স্বামীর মৃত্যুর খবরে নববধূর আত্মহত্যা
☞ বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় যে প্রমাণ পাওয়া গেছে
☞ ফেরিতে স্কুল ছাত্র তিতাসের মৃত্যু, সচিবসহ দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com


No comments:
Post a Comment