আবরারের ছোট ভাই ফাহাদের ভাইয়ের প্রশ্ন :
এটা বাংলাদেশের কোন ধরনের পুলিশ? বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের ছোটভাই ফায়াজকে ৯/১০/২০১৯ ইং বুধবার লাঠিদিয়ে মারধর করেছে পুলিশ। ঘটনার সূএপাত অনূসারে আজ বুধবার বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, আবরারদের বাড়ি কুষ্টিয়ায় গেলে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এসময় আবরারের ছোট ভাইসহ আহত হন পরিবারের তিন সদস্য।
এটা বাংলাদেশের কোন ধরনের পুলিশ? বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের ছোটভাই ফায়াজকে ৯/১০/২০১৯ ইং বুধবার লাঠিদিয়ে মারধর করেছে পুলিশ। ঘটনার সূএপাত অনূসারে আজ বুধবার বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, আবরারদের বাড়ি কুষ্টিয়ায় গেলে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এসময় আবরারের ছোট ভাইসহ আহত হন পরিবারের তিন সদস্য।
এসময় আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ বলেন, কুষ্টিয়ার অ্যাডিশনাল এসপি তাকে কনুই দিয়ে জোর পূর্বক আঘাত করেছেন। এবং গতকাল তার ভাইয়ের জানাজার সময় বলেছিলেন দুই মিনিটে যেন জানাজা শেষ করা হয়।
কুষ্টিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক তারিকুল হক তারিক টেলিফোনে জানান, বুয়েট ভিসি শুধুমাত্র আবরারের কবর জিয়ারত করতে পেরেছেন। তিনি আবরারের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে বাধা দেন। এসময় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর বিশাল সংঘর্ষ হয়।
এসময় আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ, তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও আরও একজন নারী গুরুতর আহত হন বলেও জানান তিনি ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুয়েট ভিসি আবরারের কবর জিয়ারত করতে পেরেছেন । তবে আবরারের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। আবরারের ভাই ও বাবার অসংখ্য প্রশ্নবানে জর্জরিত হন উপাচার্য। তাদের প্রধান জিজ্ঞাসা ছিল, উপাচার্য কেন ওই হত্যাকাণ্ডের পরপর সেখানে উপস্থিত হননি। এখন কেন এসেছেন?
এ অবস্থায় আবরারের বাড়িতে ঢোকার সময় উপাচার্যকে বাধা দেয় গ্রামবাসী। আবরারের বাড়ি ঢোকার মুখে ভিসির গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন নারীরা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
রায়ডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে আবরারের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ভিসির। এ খবরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আবরারের বাড়ির পাশে ও কবরের আশপাশ এলাকায় অসংখ্য র্যাব ও পুলিশ অবস্থান নেয়।
আবরারের ছোটভাই ফায়াজ বলেন, আমি আবরারের ছোট ভাই বলছি। আজ আমাদের বাড়ি কুষ্টিয়ায় ভিসি সাহেব এসেছিলেন। এখানে এসে তাঁর অবশ্যই আমার মা'র সাথে দেখা করা উচিত ছিল। তিনি এখানে দেখা করতে তো আসলেনই না বরং তিনি যখন ফিরে যাচ্ছিলেন এবং আমি দেৌড়ে তাঁর সাথে কথা বলতে যাই। তখন এখানকার দায়িত্বে থাকা অ্যাডিশনাল এসপি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোস্তাফিজুর রহমান আমার বুকে কনুই দিয়ে জোরপূর্বক আঘাত করেন এবং কালকেও যখন আমার ভাইয়ের জানাজা হয় তখন তিনি বলেছিলেন দুই মিনিটের মধ্যে যেন জানাজার কাজ শেষ করি। কিভাবে তিনি এটা বলতে পারেন? আজ এখানে আমার ভাবি ছিল, তাঁকে লাঠিদিয়ে বেধড়কভাবে পুলিশ দিয়ে মারা হয়েছে। তার কাপড়-চোপড় টেনে তাঁর শ্লীলতাহানি পর্যন্ত করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের কোন ধরনের পুলিশ?
আরো পড়ুন–
☞ যে কারণে আবরার ফাহাদকে নির্মম ভাবে হত্যা হতে হল
☞ কে থামাবে মা রোকেয়ার কান্না
☞ আবরার হত্যায় যা বললেন মেহের আফরোজ শাওন
☞ বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় যে প্রমাণ পাওয়া গেছে
☞ ফেরিতে স্কুল ছাত্র তিতাসের মৃত্যু, সচিবসহ দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট
☞ যে কারণে আবরার ফাহাদকে নির্মম ভাবে হত্যা হতে হল
☞ কে থামাবে মা রোকেয়ার কান্না
☞ আবরার হত্যায় যা বললেন মেহের আফরোজ শাওন
☞ বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় যে প্রমাণ পাওয়া গেছে
☞ ফেরিতে স্কুল ছাত্র তিতাসের মৃত্যু, সচিবসহ দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
No comments:
Post a Comment