ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ যেন দিনে দিনে বাড়ছেই। কোনভাবেই নিস্তার মিলছে না ডেঙ্গু কিংবা এই রোগবাহী মশা থেকে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জ্বর। এডিস মশা দ্বারা ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস ছড়ায়।
শিশুদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু সতর্কতা হিসেবে নিম্নে উল্লেখিত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করা যেতে পারে।
শিশুদের জামা পরিধানঃ
ডেঙ্গু মশা সকালে এবং সন্ধ্যায় বেশী কামড়ায়। তাই এই সময়টাতে আপনার শিশুকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে দিনের বেলা ও সন্ধ্যার সময় অবশ্যই ফুলহাতার গেঞ্জি ও ফুল প্যান্ট পরিধান করাবেন।
মশারি বা নেট ব্যবহারঃ
শিশুকে যথাসম্ভব মশারির মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন, বিশেষ করে দিনের বেলা। একটু দেরী করে মশারী খুলনে এবং সন্ধ্যার সময়ও পারলে মশারী টানিয়ে রাখবেন। আর সব থেকে ভাল হয় ঘরের জানালা, বারান্দা নেট দিয়ে আটকে দেওয়া। এতে যে কোন ধরনের মশার উৎপাত এমনটি ভয়াবহ ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
ডেঙ্গু মশা সকালে এবং সন্ধ্যায় বেশী কামড়ায়। তাই এই সময়টাতে আপনার শিশুকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে দিনের বেলা ও সন্ধ্যার সময় অবশ্যই ফুলহাতার গেঞ্জি ও ফুল প্যান্ট পরিধান করাবেন।
মশারি বা নেট ব্যবহারঃ
শিশুকে যথাসম্ভব মশারির মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন, বিশেষ করে দিনের বেলা। একটু দেরী করে মশারী খুলনে এবং সন্ধ্যার সময়ও পারলে মশারী টানিয়ে রাখবেন। আর সব থেকে ভাল হয় ঘরের জানালা, বারান্দা নেট দিয়ে আটকে দেওয়া। এতে যে কোন ধরনের মশার উৎপাত এমনটি ভয়াবহ ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
নিম গাছ এবং তুলশী গাছঃ
নিমগাছ ও তুলশী গাছ ডেঙ্গু মশার ক্ষেত্রে মারাত্মক কাজ করে। ঘরের বারান্দায় যদি আপনি নিম ও তুলশী গাছ লাগান সেক্ষেত্রে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি কম থাকে বলে জানা যায়। আর নিম পাতা ও তুলশী পাতা মা-শিশু সহ সকলের জন্য নানা রকম রোগ বালাই থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার দোয়া
প্রতি নামাজের পর নিম্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করলে আল্লাহ তায়াল ডেঙ্গুসহ সকল জটিল-কঠিন ও দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি দান করবেন, ইনশাআল্লাহ্।
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাছি ওয়াল জুনূনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন সাইয়্যিইল আসক্বাম। (আবু দাউদ- হাদিস নং- ১৫৫৪) [সংগৃহিত]
পেঁপে পাতার রস:
নিমগাছ ও তুলশী গাছ ডেঙ্গু মশার ক্ষেত্রে মারাত্মক কাজ করে। ঘরের বারান্দায় যদি আপনি নিম ও তুলশী গাছ লাগান সেক্ষেত্রে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি কম থাকে বলে জানা যায়। আর নিম পাতা ও তুলশী পাতা মা-শিশু সহ সকলের জন্য নানা রকম রোগ বালাই থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার দোয়া
প্রতি নামাজের পর নিম্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করলে আল্লাহ তায়াল ডেঙ্গুসহ সকল জটিল-কঠিন ও দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি দান করবেন, ইনশাআল্লাহ্।
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাছি ওয়াল জুনূনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন সাইয়্যিইল আসক্বাম। (আবু দাউদ- হাদিস নং- ১৫৫৪) [সংগৃহিত]
পেঁপে পাতার রস:
বাংলাদেশে ব্যাপক আকারে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে ডেঙ্গুর কিছু প্রাকৃতিক সমাধানের কথা ছড়িয়ে পড়েছে - যার মধ্যে একটি হলো পেঁপে পাতার রস। পৃথিবীর কয়েকটি দেশে ডেঙ্গু রোগীকে পেঁপে পাতার রস খাওয়ানোর উপদেশ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এছাড়া পেঁপে পাতার রস খাওয়ানো ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে রক্ত নেয়ার প্রয়োজনীতার হারও কম হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। ডেঙ্গুর তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোগীদের নির্দিষ্ট পরিমাণে পেঁপে পাতার রস খাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ওয়েবসাইটে।
ওডোমস (Odomos):
ওডোমস (Odomos):
এটা হলো মশা নিরোধক মলমবিশেষ (mosquito repellent cream), যা ক্রিম ছাড়াও লোশন, জেল, স্প্রে হিসেবেও পাওয়া যায়। ওডোমস, টুথপেস্টের মতো টিউবের ভিতর বিক্রি করা হয়। এই মলম শরীরের উন্মুক্ত অংশে মেখে নিতে হয়, তাই এটি হলো বাহ্যিক ব্যবহার্য ঔষধ। এই মলম ব্যবহারে মশা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়। এই মলমে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদানের কারণেই মশা গন্ধ পেয়ে কামড়াতে আসে না, কিংবা কামড়ালে মশা মারা যায়। এই ক্রিমটি শিশুদের জন্যও নিরাপদ। এই ক্রিম ব্যবহারে চুলকানি, খাঁজলি, বমি কিংবা সর্দি হয় না।
আসলে, এই ক্রিমটি সাধারণ ভ্যানিশিং ক্রিমের মতোই শরীরের নাক, ঠোঁট এবং চোখ ব্যতীত অন্যান্য সকল অঙ্গে মাখা যায়। এই ক্রিমে ব্যবহৃত ক্যামিক্যাল কম্পোজিশন বা রাসায়নিক মিশ্রণ আসলে ত্বকে একটা প্রলেপের তৈরি করে, শরীরের নিজস্ব গন্ধকে ঢেকে ফেলে। মশা, মূলত শরীরের সেই গন্ধটা শুঁকেই মানুষকে সনাক্ত করে থাকে। যেহেতু মশার কাছে তখন আর শরীরের গন্ধ পৌঁছে না, তাই মশার কাছে মানুষ আসলে আক্ষরিক অর্থেই অদৃশ্য হয়ে যান। ফলে মশা কামড়ানোর জন্য কাউকে খুঁজে পায় না। তাই যেখানে মশার উৎপাত খুব বেশি, বিশেষ করে মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, মারাত্মক সেরেব্রাল ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, এন্সেফালাইটিস, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদির রোগের জীবাণুবাহিত মশার উৎপাত রয়েছে, সেখানে গমনকারীদের কাছে ওডোমস বেশ জনপ্রিয় ।
নারিকেল তেল, কর্পূর বা সরিষার তেল :
আসলে, এই ক্রিমটি সাধারণ ভ্যানিশিং ক্রিমের মতোই শরীরের নাক, ঠোঁট এবং চোখ ব্যতীত অন্যান্য সকল অঙ্গে মাখা যায়। এই ক্রিমে ব্যবহৃত ক্যামিক্যাল কম্পোজিশন বা রাসায়নিক মিশ্রণ আসলে ত্বকে একটা প্রলেপের তৈরি করে, শরীরের নিজস্ব গন্ধকে ঢেকে ফেলে। মশা, মূলত শরীরের সেই গন্ধটা শুঁকেই মানুষকে সনাক্ত করে থাকে। যেহেতু মশার কাছে তখন আর শরীরের গন্ধ পৌঁছে না, তাই মশার কাছে মানুষ আসলে আক্ষরিক অর্থেই অদৃশ্য হয়ে যান। ফলে মশা কামড়ানোর জন্য কাউকে খুঁজে পায় না। তাই যেখানে মশার উৎপাত খুব বেশি, বিশেষ করে মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, মারাত্মক সেরেব্রাল ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, এন্সেফালাইটিস, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদির রোগের জীবাণুবাহিত মশার উৎপাত রয়েছে, সেখানে গমনকারীদের কাছে ওডোমস বেশ জনপ্রিয় ।
নারিকেল তেল, কর্পূর বা সরিষার তেল :
ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পর থেকে মানুষ মশার কামড় থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করছে। এই সময়টায় একটি বিষয় অনেক আলোচিত হচ্ছে। সেটি হলো- নারিকেল তেল শরীরে মাখলে মশা কামড়ায় না। আসলেই কি এটা সত্যি? নারিকেল তেল মশা তাড়ায় এবং তেল পায়ে মাখলে মশার কামড় থেকে বাঁচা সম্ভব - এই দাবির সাথে পুরোপুরি একমত প্রকাশ করেননি শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা আখতার।
তিনি বলেন, মশা যেহেতু চামড়া ভেদ করে রক্ত পান করে, তাই চামড়ার ওপর ঘন যে কোনো ধরনের তেলই মশাকে কিছুটা প্রতিহত করতে পারে বলে আমি মনে করি। তবে এক্ষেত্রে নারিকেল তেলের সাথে কীটনাশক জাতীয় কোনও দ্রব্য মিশিয়ে নিলে সেটা আরও বেশি কার্যকর হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক তাহমিনা আখতার।
এ অধ্যাপক আরও বলেন, ন্যাপথালিন বা কর্পূরের গুড়া বেশ ভালো কীটনাশক। নারিকেল তেলের সাথে কর্পূরের গুড়া মিশালে মশা নিবারণে তা আরও বেশি কার্যকর হতে পারে। এছাড়া কড়া গন্ধ থাকায় নারিকেল তেলের বদলে সরিষার তেলও মশা দূরে রাখতে কার্যকর হতে পারে।
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
No comments:
Post a Comment