একুশে বইমেলার এলোমেলো হয়ে গেলো এই বৃষ্টিতে ।ভিজে গেছে অর্ধেক শতাংশের ও বেশি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বই । এমন চিত্র দেখা গেল ২৭ ই ফেব্রয়ারি রোববার একুশে বইমেলায় গিয়ে। বিকেল ৩টায় মেলার ভেতরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হলেও তখনও বই শুকাতে ও গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে প্রকাশনাগুলোকে।২৫টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জানান প্রতিটি প্রকাশনারই কয়েকলাখ টাকার বই নষ্ট হয়ে গেছে।বাংলা একাডেমিকে চিঠিও পাঠিয়েছেন ক্ষয়ক্ষতির সম্পুণ বর্ণনা দিয়ে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ।
বই রোদে শুকাতে দেখা গেছে- বাংলা প্রকাশ, অন্য প্রকাশ, গদ্য-পদ্য, নালন্দা,নাগরী,জনপ্রিয় প্রকাশনী, নব সাহিত্য প্রকাশনী, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ,অন্য রকম প্রকাশনী, বাংলার প্রকাশ, বাবুই প্রকাশনী, বলাকা, সাহিত্য বিকাশ,বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রসহ অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকেই।স্টলগুলোর উপরে টিনের ছাউনি থাকলেও কোথায়ও কোথায়ও তা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে গেছে, যার কারণে পাশ থেকে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে উপর থেকে ছাউনি ফাটল ধরে পানিপড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছিল। তাছাড়াও হঠা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে কোথায়ও কোথায়ও স্টলের স্ট্রাকচার নষ্ট হয়ে গেছে।
বই রোদে শুকাতে দেখা গেছে- বাংলা প্রকাশ, অন্য প্রকাশ, গদ্য-পদ্য, নালন্দা,নাগরী,জনপ্রিয় প্রকাশনী, নব সাহিত্য প্রকাশনী, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ,অন্য রকম প্রকাশনী, বাংলার প্রকাশ, বাবুই প্রকাশনী, বলাকা, সাহিত্য বিকাশ,বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রসহ অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকেই।
স্টলগুলোর উপরে টিনের ছাউনি থাকলেও কোথায়ও কোথায়ও তা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে গেছে, যার কারণে পাশ থেকে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে উপর থেকে ছাউনি ফাটল ধরে পানিপড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছিল। তাছাড়াও দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে কোথায়ও কোথায়ও স্টলের স্ট্রাকচার নষ্ট হয়ে গেছে।
এছাড়াও বাংলা একাডেমি চারদিকে প্রচুর পরিমাণ পানি জমায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দর্শনার্থীদের।স্টলগুলোতে দেখা যায় একই ধরণের চিত্র। প্রকাশের পরিচালক সিরাজুল কবির চৌধুরী বলেন, আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যার হিসাব দিতে পারছি না। ঝড়ো বৃষ্টির গতি বেশি থাকার কারণে প্যাভেলিয়নের উপরে টিন থাকলেও তার মধ্য দিয়েও পানি ভেতরে প্রবেশ করেছে। অনন্ত লাখ দেড় লাখ টাকাও বেশি বই নষ্ট হয়েছে আমাদের। আমরা দ্রুত বিষয়টি বাংলা একাডেমিকে জানিয়েছি। নাগরী প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আবুল হাসনাত বললেন, অনন্ত ৫-৭ লাখ টাকার বই নষ্ট হয়েছে । উপরের ছাউনি সরে গেয়ে।বাংলা প্রকাশের বিক্রয়কর্মী রূপা মজুমদার বলেন, আমাদের প্যাভেলিয়নেরও উপর থেকে পানি পড়ে অনেক বই ভিজে গিয়েছে । এতে অনন্ত আমাদের লাখ টাকার ও বেশি বইনষ্টহয়ে গেছে।
গদ্য-পদ্যের নিশাত আঞ্জুম বলেন, বৃষ্টিতে আমাদের অনেক বই ভিজে গেছে ঠিকই। তবে আগে থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়ায় আমাদের নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কম হয়েছে জানান নিশাত।বৃষ্টির কারণে বইমেলা বন্ধ করার ঘোষণা জানান বাংলা একাডেমি। বুধবারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান বাংলা একাডেমি। বাংলা একাডেমির পরিচালক জনসংযোগ (তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ) অপরেশ কুমার ব্যানার্জি স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গ্রন্থমেলা সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ ঘোষণা দিতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
বৃষ্টির দিনেও বইমেলায় পাঠকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে অনেক। কোনো কোনো পাঠক বৃষ্টির মধ্যেও বই কিনেছেন নিজের মত করে। বৃষ্টি বিড়ম্বনায় কেউ কেউ থাকতে না পেরে স্টলেও ঢুকে পড়েছেন। কিন্তু প্রকৃতির এই বিরূপতায় কারণে শেষ পর্যন্ত মেলা বন্ধই করে দিতে হয় কর্তৃপক্ষকে। অনেক পাঠক মাসব্যাপী তালিকাও প্রস্তুত করেন বইমেলায় শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করতে; তাই তাদের কথা চিন্তা করে মেলার সময় বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি নিয়ে ব্যস্থ্য অনেক লেখক ও পাঠক। অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ দিনে, বাংলা একাডেমি মতে, গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দিয়েছেন- একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
অনুষ্ঠানে প্রদান করা হবে কবি নির্মলেন্দু গুণকে কবি জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯ । এছাড়া অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি পরিচালিত চারটি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কারপ্রদান করা হবে যেমন- চিত্তরঞ্জন সাহাপস্মৃতি পুরস্কার-২০১৯, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯, রোকনুুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০১৯, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯ ।টানা বৃষ্টিহীনতায় ভয়ংকর রূপ নিয়েছিল রাজধানী। পানিতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। বৃষ্টির পানির জন্য চাতক সবাই। ঝড় বৃষ্টির আগমণে এ শহরের পিচঢালা সড়কে নেমে আসে নির্মল পবিত্রতা । আবার অতিবৃষ্টি ভোগান্তিও বাড়িয়ে দেয়। তবে বৃষ্টিকে নিয়ে আনন্দিত মনে করছে রাজধানীবাসী। বসন্ত হাওয়া আর বৃষ্টির এই মধুর হাতছানিতে বদলে গেছে প্রকৃতির রুক্ষতা।
তবে বৃষ্টি ভেজায় কাঁদছে বইমেলা। নগরের অন্য প্রান্তে বৃষ্টি আশীর্বাদ আনলেও বইমেলায় যেন ডেকে এনেছে অভিশাপ। শেষ বেলার আয়োজনে বৃষ্টিই যেন বাঁধ সেধেছে শেষ বেলার আয়োজনে বৃষ্টিই। তুমুল বৃষ্টিতে টইটুম্বুর মেলার বইমেলার আঙ্গিনা।কাদায় ভরে ওঠেছে ইট বিছানো রাস্তাগুলো। প্রধান সড়কেও পানি। মূলত মেট্রোরেলের কাজ চলছে বলে মূল সড়কের পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। ফলে বৃষ্টিতে আটকে গেল বইপ্রেমীদের শেষ বেলার বই কেনার বাসনা।বুধবার দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টির আনাগোনা ছিল। মেলার পর্দা ওঠে বিকেল ৩টায়। আর সন্ধ্যা হতেই ঢল নামে। তবে সন্ধ্যার বৃষ্টি মেলার চিত্র পাল্টে দিয়েছে। শেষের দুদিন যেখানে ক্রেতা-দর্শকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়, সেখানে ছিল হাতে গোনা অল্প কিছু মানুষের আনাগোনা। বৃষ্টির কারণে তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্ধ্যা ৬টায় বইমেলা বন্ধ ঘোষণা করে বাংলা একাডেমি।শুরু থেকেই জমে ওঠেছিল বইমেলা । প্রথম থেকেই মেলায় মানুষের ভিড় ছিল। বিশেষ করে মেলার চিত্র বদলে যায় প্রাণের বসন্তবরণ আর ভালোবাসা দিবসে। আয়োজকদের শুরুটাখুব ভাল ছিল ধারণা ছিল শেষ বেলাতেও একই চিত্র থাকবে। কিন্তু বৃষ্টি যেন সেই আশা পূরন হতে দিল না।
এ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর বলেন, আমরা সফলতার সাথে মেলার ২৬ দিন পার করেছিলাম। এবারে মেলায় অনেক সংখ্যক মানুষ এসেছে বলে ধারণা করছি। তবে শেষের দিকে বৃষ্টি এসে তাতে বিঘ্ন ঘটাল। প্রকৃতির ওপর তো কারো নিয়ন্ত্রণ নেই।
বৃষ্টিই যে মেলা আয়োজনে ছন্দ বিঘ্ন ঘটিয়েছে, তা বুঝতে বাকি রাখে না।
No comments:
Post a Comment