Breaking

Sunday, March 3, 2019

চলচ্চিত্র নির্মাতার মায়ের কিডনি চুরি

রফিক শিকদার পেশায় একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা । ২৮ অক্টোবর ২০১৮ এ তারিখে অসুস্ত মা রওশন আরা বেগম কে চিকিৎসার জন্য সরকারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালের  নিয়ে যান । বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার আল্টাসনোগ্রাম-সিটিস্ক্যানে ধরা পড়ে তার ডানপাশের কিডনি সম্পুর্ণ ভাল কিন্তু বামপাশের কিডনি অর্ধেক ভাল অর্ধেক খারাপ। ডাক্তার বললেন এটা কোন সমস্যা না, দ্রুত অপারেশন করলে এটা ভাল হয়ে যাবে। ছেলে মা কে সুস্থ দেখতে অপারেশন সিদ্ধান্ত দিলেন।

অপারেশনের দ্বায়িত্ব পড়ল ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল এর তত্ত্বাবধানে।  অপারেশনের পর রওশন আরা বেগমকে ICU তে রাখার কথা জানালেন ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল। এতে অবস্থা  আরো  খারাপের দিকে গেলো মা এর। মা এর এ অবস্থা দেখে ছেলে দ্রুত  মগবাজারের বেসরকারি হাসপাতাল ইনসাফ বারাকা কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তারা কয়েকটি টেস্ট করতে পাঠান LABID HOSPITAL এ।

LABID HOSPITAL এ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায় মায়ের মধ্যে কিডনির কোনো অস্তিত্বই নেই। ইনসাফ বারাকা কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা মাহাবুবুর রহমান এবং  পান্থপথের BRB HOSPITAL চিকিৎসক ডা সামাদ এর মতে  মায়ের মধ্যে কিডনির কোনো অস্তিত্বই নেই। এতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল ছেলে রফিক শিকদার এর। সব রিপোর্ট নিয়ে গেল ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল এর কাছে- এতে ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল জানান কোন কারণে কিডনি NON FUNCTIONAL অর্থাৎ কিডনি কাজ করছে না। LABID HOSPITAL এবং BRB HOSPITAL চিকিৎসক সামাদ এর রিপোর্ট মতে-কিডনি থাকলে ১ ফোটা  প্রস্রাবও তৈরি হবে না কেন?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালের সেই ডাক্তার হাবিবুর রহমান দুলাল এর কাছে জোর দিয়ে জিঙ্গাসা করেন ছেলে রফিক শিকদার। ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল জানান- কিডনি আছে ,যাবে কোথায়?
আস্থা রাখুন বললেন ডাক্তার হাবিবুর রহমান দুলাল। এদিকে BRB HOSPITAL চিকিৎসক সামাদ এবং ডাক্তার হাবিবুর রহমান দুলাল এর বক্তব্য কিছুতেই মিলছে না।

প্রশ্ন হলঃ
 ১..অপারেশনের আগে  আল্টাসনোগ্রাম  সিটিস্ক্যান কিডনি দেখা দিলে এখন তা গেলো কোথায়?
২-অপারেশনের আগে কিডনি আলাদা থাকলে এখন কেন জোড়া লাগানোর কথা বলা হচ্ছে?
৩-একই সময়ে আল্টাসনোগ্রাম সিটিস্ক্যান ভুল থাকতে পারে?

প্রতারণা হলেও বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন ডাক্তার হাবিবুর রহমান দুলাল তাই গোপনে পরিচালক সমিতির কাছে গিয়ে মোটা অঙ্কে টাকা দিতে চান ,যা গোপন ক্যমেরায় ধরা পরে। ২৫ অক্টোবর ২০১৮ কোমায় যাওয়া মা রওশন আরা বেগমকে ICU তে নিয়ে যাচ্ছে, ৬ দিন পর ৩১ অক্টোবর বুধবার রাত ১০টায়  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রওশন আরা বেগম এর মৃত্যু হয়।


লাশের ময়না তদন্তের চিকিৎসক জানান- ২টা কিডনি ছিল এখন ১ টাও নেই। মায়ের মরদেহ গ্রামে নিয়ে যায় ২ ভাই। লাশবাহি গাড়িতে মায়ের লাশএর পাশে ২ ভাই। পাশে দাড়িয়েছেন চলচিত্র সহকর্মি কুশলীরা। মানববন্ধন ও আন্দোলনে একত্রিত হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Clicky