Breaking

Tuesday, November 5, 2019

এই শীতে শিশুর শরীরের বিশেষ যত্ন || Special care for baby's body in this winter

আসছে শীত, কমছে উষ্ণতা। তাপমাত্রা দিন দিন ঠান্ডা হচ্ছে। হ্যা, শীত যেন প্রায় হাতের নাগালেই। ধীরে ধীরে বেড়েই যাচ্ছে ঠাণ্ডার মাত্রা। এ সময়টাতে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের এবং বৃদ্ধদের প্রতি আমাদের বিশেষ যত্ন রাখতে হবে। কেননা শিশুদের শরীল বড়দের তুলনায় তাপমাত্রা শোষণ ক্ষমতা বেশি মাত্রায় থাকে। আর এ জন্যই শীতে শিশুদের ঠান্ডা কাশি, জ্বর ইত্যাদি খুব বেশি পরিমাণ হয়ে থাকে। যেহেতু আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে সেহেতু এ সময়টায় শিশুদের শরীরের বিশেষ যত্নের দরকার। তবে দুশ্চিন্তা না করে এ সময়টাতে শিশুদের বিশেষ পরিচর্যা নিলে শীতেও আপনার সোনামণি থাকবে সুস্থ। তাই এ সময়টা অভিভাবকদের কিছুটা সচেতন থাকতে হবে।

  শীতে শিশুদের যত্নে নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস্ দেওয়া হলঃ 
১। গোসলঃ
অন্য সব সময়ের মতো শীতে শিশুর গোসলটা একই রকম হতে হবে তা কিন্তু নয়। এই শীতে অবশ্যই আপনার শিশুকে ঠিক দুপুর এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে গোসল করিয়ে দেবেন। এতে শিশুর শরীরে ঠান্ডা অনুভূতি খুবই কম অনুভূত হবে।

২. গোসলের পানি 
অবশ্যই গোসলের পানি হালকা গরম করে নিতে হবে, যাতে আপনার শিশুর জন্য আরামদায়ক হয়। আর গোসলের পানিতে স্যাভলন বা ডেটল ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এতে পানিবাহিত রোগ জীবাণু আপনার শিশুর শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না। কেননা অনেক সময় পানির মাধ্যমে জীবাণু আমাদের বাচ্চাদের শরীরে প্রবেশ করে।  আর হ্যাঁ অবশ্যই স্যাভলন বা ডেটল পরিমান মতো দিবেন। তা না হলে তা আপনার শিশুর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

৩। সরিষার তেল 
এই শীতে সরিষার তেল এর ভূমিকা অপরিসীম। আপনার শিশুকে গোসলের দশ মিনিট আগে মাথায় ও শরীরে, বিশেষ করে বুকে-পিঠে ভালো করে সরিষার তেল মেখে নেবেন এবং গোসলের পর শরীর ভালো করে মুছে আবারো মাথায়, পিঠে, বুকে ভালো করে সরিষার তেল মেখে দিবেন।

অনেক মায়েরা শিশুদেরকে গোসলের পর লোশন ব্যবহার করেন। সরিষার তেলের পরিবর্তে লোশন ব্যবহার করতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই। অনেকের ধারণা সরিষার তেল ব্যবহারে শিশুর ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করাই ভালো। তবে গোসলের আগে সরিষার তেলটা আপনার শিশুর জন্য খুবই উপকারী, তবে অবশ্যই শিশুর মাথা-তালু-বুকে সরিষার তেলের মালিশ খুবই উপকারী।

কখন সরিষার তেলকে না বলবেন?
সরিষার তেল উপকারী আমরা সবাই মানি, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর অপকারী কিছু দিক রয়েছে। যেমন- আপনার শিশুর শরীরে ক্ষত স্থানে কখনোই সরিষার তেল ব্যবহার করবেন না। এতে ক্ষত স্থানে কালো দাগ হয়ে যেতে পারে কিংবা ক্ষতস্থান ভীষণভাবে জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই শিশুদের এই সময়গুলোতে সরিষার তেল না দেওয়াই ভালো।
 ৪। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা 
অতিরিক্ত গরমে এবং অতিরিক্ত ঠান্ডায় শিশুদের খাবার-পোশাক-পরিচ্ছদ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার  দিকে বিশেষ খেয়াল দিতে হবে। কারণ এক্ষেত্রে অবহেলা শিশুর পেট ব্যথা, বমি, খাবারে অরুচি ইত্যাদির কারণ হতে পারে। তাই এই এ সময়টায় এ বিষয়গুলোর প্রতি অন্যান্য সময়ের থেকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডায় খাবার ভালো থাকে, এজন্য বেশি বাসি খাবার শিশুকে খাওয়াবেন না, ঠান্ডার সময় শিশুর  খাবার তাজা গরম গরম  খাওয়ানোর চেষ্টা করবে । এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শীতের সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। শিশুরা এ সময় যেন কোনো ধরনের ঠাণ্ডা খাবার না খায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

৫। শিশুর শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
বাচ্চারা তুলনামূলকভাবে শীতের সময় একটু ঘন ঘন প্রস্রাব করে থাকে। তাই এই সময়টা বাচ্চার লজ্জাস্থান বারবার পানি দিয়ে না ধুয়ে একটা ছোট সুতি কাপড় হালকা গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে লজ্জাস্থান মুছেঁ দিবেন। বার বার পানি ব্যবহারেও বাচ্চার ঠান্ডা লাগতে পারে এবং অবশ্যই বাচ্চার রানের মাঝে, গলার নিচে, বগলের নিচে পাউডার ব্যবহার করবেন।

৬। শীতে বাচ্চার ডায়াপার ব্যবহার
অনেক মায়েরা শীতের সময়টায় বাচ্চার প্রস্রাব থেকে রক্ষা পেতে দিনে বা রাতে ঘুমের সময় ডায়াপার  ব্যবহার করে থাকেন। বর্তমানে ডায়াপার ব্যবহারেও বাচ্চাদের নানা ধরনের অসুখ-বিসুখের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ডায়াপার দীর্ঘক্ষণ পরাবেন না বা বেশি পরিমাণ ভারী হতে দিবেন না। আর যদি ঘরের মধ্যে ডায়াপার ব্যবহার না করে পারেন তাহলে তো সবচাইতে ভালো।
আমাদের এ লেখাটি যাদ আপনার ভালে লাগে, তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন। যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমার এই পোস্টের নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন, আমি আমার সাধ্যমত আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি জানানোর চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।


আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।

No comments:

Post a Comment

Clicky