মুখে রক্ত, ঠোঁটে কামড়ের দাগ, ক্ষতবিক্ষত যৌনাঙ্গ, এ কেমন স্বাধীন বাংলাদেশ বাস করছি আমরা ! রাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসার ৮ তলা থেকে উদ্ধার করা ৭ বছরের শিশু কন্যা সামিয়া আক্তার সায়মাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। সায়মার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।
আহা! কী বিভৎসতা, কী নির্মমতা ! সামিয়া আফরিন সায়মা ৭ বছরের একটি ছোট্ট শিশু, ছোট্ট শরীর। । যে শিশুটি হাসি-উল্লাস, খেলাধুলা আর আব্বু-আম্মুকে ডেকে ডেকে মাতিয়ে রাখতো ঘর। নিষ্পাপ সেই শিশুটির নিথর দেহ পড়ে আছে ৮ তলার একটি নির্জন খালি ফ্লাটের কোনায়। মুখে রক্ত, ঠোঁটে কামড়ের দাগ, ক্ষতবিক্ষত যৌনাঙ্গ। কোনো এক নরপিশাচের শিকার হয়েছে সে। বিকৃত ও বিকারগ্রস্ত যৌন উন্মাদনায় হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে শিশুটির ওপর। কুড়ে কুড়ে ছিড়ে খেয়ে গেলো অসভ্য জানোয়ার।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। সংবাদটি পড়তে পড়তে ততক্ষণে আমার চোখ কেমন জানি ঝাপসা হয়ে এলো । ভাবছিলাম যে পুরুষটি একটি শিশুর ওপর এভাবে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে শেষ করে দিল, সে কি জঙ্গলের রয়েল বেঙ্গল টাইগার! হায়েনা! শিয়াল কিংবা কুকুর! নাকি তার চেয়ে ভয়ঙ্কর কোনো পশু! মানুষকে আল্লাহ তায়ালা আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু মানুষ সেই সম্মানের জায়গা থেকে সরে গিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণীতে পরিণত হয়ে গেছো!শয়তানও বিস্মিত মানুষের বিভৎস্য আচরণে!
হায়! মানুষ এত নিকৃষ্ট কিভাবে হয়!
সায়মা ৭ বছরের একটি ফুটফুটে মেয়ে সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী । তার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসায়ী । হঠ্যাৎ করে ৫/৭/২০১৯ ইং শুক্রবার মাগরিবের নামাজের সময় সায়মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না । অনেক খোঁজাখুঁজি হল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নির্মাণাধীন ভবনের অষ্টম তলার একটি কক্ষ থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত সায়মার বাবা আব্দুস সালাম প্রথম আলোকের কাছে জানান, ‘মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ আদায়ে মসজিদের উদ্দেশ্য যাই। মসজিদ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় দিকে আসি। বাসায় এসে দেখি সায়মা বাসায় নেই। পরে আমি, এবং আমার স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে শুরু করি। বিল্ডিং এর সব তলায় খুজতে থাকি ছয়তলা ও আটতলায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার নির্মাণাধীন আটতলায় খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে সায়মার লাশ পাওয়া যায়।’ শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার নির্মাণাধীন আটতলায় একটি ভবন থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর ৬ জুলাই শনিবার সকালে শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে ওয়ারী থানায় মামলা করেছেন। পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান মামলার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সায়মা হত্যার ঘটনায় তার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ভবন মালিকসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
’রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মার নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে । মোহাম্মদ সামসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আমরা কয়েকজনকে আটক করেছি। ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে। ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান যুগান্তরকে জানান-- এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পুরান ঢাকার নবাবপুরের ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ওয়ারী থানার ১৩৯ বনগ্রামের বাড়ির ৬ তলায় নিজের ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকেন। শুক্রবার মাগরিবের নামাজের সময় সামিয়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত সাড়ে ৮টায় একই বাড়ির ৮ তলার একটি খালি ফ্ল্যাটে সামিয়ার লাশ পাওয়া যায়। শিশু সামিয়ার গলায় দাগ ছিল। এছাড়া ঠোঁটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত চিহ্নও পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।
৬/৭/২০১৯ইং শনিবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে তার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেন সোহেল মাহমুদ। তদন্ত শেষে সোহেল মাহমুদ জানান, বাহ্যিকভাবে শিশুটির গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার প্রচন্ডভাবে ক্ষত ঠোঁটে কামড়ের চিহ্ন এবং ক্ষতবিক্ষত যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে । শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ আলামতই পাওয়া যায়। সোহেল মাহমুদ আরও বলেন,এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট হতে হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াবের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সকল নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। এসব প্রতিবেদন পাওয়া গেলে শিশুটির মৃত্যু কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মা রে মাপ করে দিস, তোর ধর্ষনের বিচার বাংলার মাটিতে হবে কিনা জানিনা, উপর আল্লাহর কাছে এই বিচার পাবি৷।
আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে সায়মার ধর্ষণকারী এবং খুনিকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক, এবং টেলিভিশনে তা লাইভ দেখানো হোক। গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খুনের বিচার ভাইরাল হবে, এমন দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হোক যেন প্রতিটি ধর্ষণকারীর হৃৎকম্পন শুরু হয়। তারা যেন ধর্ষণ করার আগে নিজের প্রাণের কথা একবার ভাবে। এ ছাড়া কোনোভাবেই বন্ধ হবে না ধর্ষণ, বন্ধ হবে না খুন।
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
No comments:
Post a Comment