স্ত্রীকে অচেতন করে নিজ মেয়েকে (১৫) ধর্ষণ, গ্রেপ্তার কুলাঙ্গার বাবা (৪০)

নিজ বাবা মো. জালাল ভুইয়া (৪০) স্ত্রীকে খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ১৫ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণ করলো । এই অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে ওই কিশোরী। পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান,‘গত ৯ জুলাই মঙ্গলবার রাতে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী তার নিজের বাবার বিরুদ্ধে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। ১৬ নম্বর মামলা । অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে পুলিশ খিলগাঁওয়ের শেখের জায়গা বাজার সংলগ্ন এলাকার একটি বাসা থেকে বাবা মো. জালাল ভুইয়াকে গ্রেপ্তার করেন । আরও জানা যায় -- এই ঘটনার তিন মাস আগে ইয়াবা সেবনের অভিযোগে তিন মাস কারাগারে ছিলেন মো. জালাল ভুইয়া । কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় তার গ্রামের বাড়ি ।’

 সিনিয়র সহকারী কমিশনার বলেন, গত ৭ জুলাই ২০১৯ইং রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার নিজ বাবা মো. জালাল ভুইয়া (৪০) । এর আগে রাতে ভুইয়া তার স্ত্রীকে খাবার শেষে চিনির সঙ্গে পাউডারজাতীয় চেতনানাশক মিশিয়ে খাওয়ান। ওই কিশোরী, তার দুই বছরের ছোট ভাই, মা ও বাবা জালাল ভুইয়া এক ঘরের একই বিছানায় ঘুমাতেন। জানা যায়, চেতনানাশক খাওয়ায়  স্ত্রী আগেই ঘুমিয়ে পড়েন। পরে তাদের দুই ছেলে-মেয়েও ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর ঠিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেয়েকে বিছানা থেকে মেঝেতে নিয়ে ধর্ষণ করে তার বাবা। মেয়ের শত ডাকাডাকি চিৎকার মায়ের কানে পৌছায় নি। সে সময় কিশোরী তার মাকে ধাক্কা দিয়ে উঠানোর চেষ্টা করেও ওঠাতে পারে নি। কেননা  তিনি অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন তাই মাকে শত ডেকেও উঠাতে পারে নি মেয়ে। পরের দিন তার মায়ের জ্ঞান ফেরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বলে জানায় ওই কিশোরী।

                                            অপরাধী বাবা মো. জালাল ভুইয়া (৪০)

পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম সোহাগ ওই কিশোরীর বরাত দিয়ে আরো জানান, ওই ঘটনার আগেও কয়েকদিন ওই কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় অপরাধী জালাল। তখন মেয়ে তার বাবাকে এই বিষয়গুলোতে সর্তক ও করে। মেয়ে ভেবেছিল, বাবা নিজে থেকেই তার ভুল একসময় বুঝতে পারবে। কিন্তু তিনি আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠবে বুজতে পারেনি মেয়ে । পরে ৭ জুলাই ২০১৯ইং রোববার দিবাগত রাতে পরিকল্পিতভাবে তাকে রাত ১২টার পর থেকে রাতভর ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই কিশোরী।

পরবর্তীতে মা ও রিলেটিভ অন্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে খিলগাঁও থানায় মামলা করে ওই কিশোরী। সে সময় কিশোরীর সঙ্গে তার মাও থানায় আসেন । তবে মেয়ের মাকে চেতনানাশক খাওয়ানো হয়েছে কিনা এবং কিশোরীর অভিযোগ সঠিক কিনা তা নিশ্চিত হতে আমরা তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে । প্রতিবেদন পেলে সব বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন জাহিদুল ইসলাম সোহাগ।

এদিকে খিলগাঁও থানা পুলিশ জালাল ভুইয়াকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন । তবে জিজ্ঞাসাবাদে জালাল ভুইয়া মেয়েকে ধর্ষণ করার কথা পুরাপুরি অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, জালাল ভুইয়াকে গ্রেপ্তার পর আজ সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালতের আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

কিশোরী মেয়ে (১৫) কে ধর্ষণের মামলায় তার বাবা মো. জালাল ভুইয়া (৪০) কে বুধবার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের খিলগাঁও জোনের এসি জাহিদুল ইসলাম সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Image Source www.google.com