ছবিতে যাকে দেখছেন সে আমার মামাতো ভাই। নাম:তৌহিদুল ইসলাল তৌহিদ। দূগাপুর নগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এ পড়াশোনা করতো। তৌহিদ কতটা ভালো, হয়তো সামনে থেকে দেখলে বুঝতে পারতেন।।কত সুন্দর কথাবার্তা আর ভদ্র হতে পারে এত ছোট্ট একটা ছেলে! আর এখন তার মায়াময় চেহারার দিকে তাকালে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। বানিয়ে বানিয়ে কিছুই বলছিনা, সত্যিই খুবইইইইই ভালো একটা ছেলে আমার মামাতো ভাই। আজ থেকে পাঁচ মাস আগে তৌহিদ তার এই দুইটি চোখ দিয়ে সুন্দর পৃথিবীর বুকে মহান আল্লাহর সৃষ্টি দেখতে পেতো।
সে নিজের পায়ে হেটে স্কুলে যেতে পারতো।।কিন্তু এখন আর পারে না নিজের চোখ দিয়ে মহান আল্লাহর সৃষ্টি দুনিয়ার সৌন্দর্য্য গুলো অবলোকন করতে! কারণ একটাই মহান আল্লাহর ইচ্ছে তার ব্রেইন টিউমার হয়েছে।।যার কারণে সেই তার চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ফেলে। ঢাকা মেডিকেলে অপারেশন করার কথা ছিলো কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডাক্তারা অপারেশন করালেন না।।যদি অপারেশন করা হতো, হয়তো মারা যাবে তাই।।
তাই আর অপারেশন করা হলো না।
আর এখন আমাদের ভাই মহান আল্লাহর ইচ্ছে জান্নাতের পাখি হওয়ার পথে। সে হয়তো আর অল্প কিছুদিন এই দুনিয়ার বুকে থেকে তার মা বাবা কে কষ্ট দিবে। বড় বোন আর ভাই কে বলবে;আমি মারা যাওয়ার পর এই খেলনা দিয়ে তোরা খেলবি কাওকে দিবি না। হয়তো আর কিছু দিন পর আমার মামাতো ভাই ঘরের সামনে বসে বসে কাওকে না দেখে তাদের কথার উত্তরও দিবে না । যে পেয়ারা গাছটা দেখছেন সেটি সে নিজের হাতে রোপন করেছিলো।।কিন্তু সে আজ সেই গাছটিও দেখতে পায় না।।
কিছুদিন আগে নাকি তার বাবা কে বলে।।আব্বু আমাকে গাছটির কাছে নিয়ে যান আমি একটু গাছটিকে ধরে দেখবো। জানেন, এবার যখন বাড়িতে গেলাম; দেখলাম আমার ভাই বসে আছে। আমি গিয়ে হাত দিয়ে বললাম তৌহিদ কেমন আছ ভাইয়া? আমাকে খুব সুন্দর করে সালাম দিলো।।আর হাত বাড়িয়ে আমাকে খুজে বেড়াল আর হাত দিয়ে আমার মুখটা ধরলো। আগে যে ঘরগুলো তে সে কারো উপর ভর না করে একা একা চলে যেতো সে এখন চাইলেও যেতে পারে না।।
এখন একজন কথা বলতে হয় তখন সে কথা শুনে শুনে হাত বাড়িয়ে বাড়িয়ে এগিয়ে যাই। মাঝে মাঝে দরজা খুজে পায়না..পরে ধরে নিয়ে যেতে হয়। মাঝে মাঝে বলে,আল্লাহ আমাকে কেন এত কষ্ট দিচ্ছে!
যখন সে পৃথিবীতে আসে তখনও একবার অসুস্থ হয়েছিল; তারপর আর একবার হাত ভেঙ্গে খুবই কষ্ট পেয়েছিল, আর এবার হয়তো শেষ কষ্ট! হয়তো চিরতরে ঘুমিয়ে পরার আগের কষ্ট। বিছানায় শুয়ে শুয়ে হয়তো আর বেশি দিন আল্লাহ আল্লাহ করতে হবে না!
আর নাক কে বন্ধ করে দিয়ে মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিতে হবে না বেশি দিন। আল্লাহ আপনার যদি নিয়ে যেতে ইচ্ছে হয় নিয়ে যান। আল্লাহ সে তো মাসুম বান্দা আপনার আপনি তো তাকে নিয়ে যাবেন কিন্তু কষ্ট টা একটু কমিয়ে দেন না! সুন্দর ভাবে নিয়ে যান আপনার কাছে।।পরীক্ষাটা কমিয়ে দেন দয়াময় আল্লাহ!
যদি আপনি তাকে আরো হায়াত দান করে থাকেন তাহলে আল্লাহ আপনি তাকে সুস্থ করে আপনার গোলামী করার সুযোগ করে দিন। আমীন ইয়া রাব্বাল আ লামীন।
আপনারাও একটু দুআ করবেন আমার ভাই এর জন্য। জানিনা কার দু,আ কবুল হয়। হয়ত আপনাদের দুআর উচিলাই আল্লাহ্ তাকে শিফা দিতে পারেন। যাযাকুমুল্লাহু খাইর। ....collected.....
সে নিজের পায়ে হেটে স্কুলে যেতে পারতো।।কিন্তু এখন আর পারে না নিজের চোখ দিয়ে মহান আল্লাহর সৃষ্টি দুনিয়ার সৌন্দর্য্য গুলো অবলোকন করতে! কারণ একটাই মহান আল্লাহর ইচ্ছে তার ব্রেইন টিউমার হয়েছে।।যার কারণে সেই তার চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ফেলে। ঢাকা মেডিকেলে অপারেশন করার কথা ছিলো কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডাক্তারা অপারেশন করালেন না।।যদি অপারেশন করা হতো, হয়তো মারা যাবে তাই।।
তাই আর অপারেশন করা হলো না।
আর এখন আমাদের ভাই মহান আল্লাহর ইচ্ছে জান্নাতের পাখি হওয়ার পথে। সে হয়তো আর অল্প কিছুদিন এই দুনিয়ার বুকে থেকে তার মা বাবা কে কষ্ট দিবে। বড় বোন আর ভাই কে বলবে;আমি মারা যাওয়ার পর এই খেলনা দিয়ে তোরা খেলবি কাওকে দিবি না। হয়তো আর কিছু দিন পর আমার মামাতো ভাই ঘরের সামনে বসে বসে কাওকে না দেখে তাদের কথার উত্তরও দিবে না । যে পেয়ারা গাছটা দেখছেন সেটি সে নিজের হাতে রোপন করেছিলো।।কিন্তু সে আজ সেই গাছটিও দেখতে পায় না।।
কিছুদিন আগে নাকি তার বাবা কে বলে।।আব্বু আমাকে গাছটির কাছে নিয়ে যান আমি একটু গাছটিকে ধরে দেখবো। জানেন, এবার যখন বাড়িতে গেলাম; দেখলাম আমার ভাই বসে আছে। আমি গিয়ে হাত দিয়ে বললাম তৌহিদ কেমন আছ ভাইয়া? আমাকে খুব সুন্দর করে সালাম দিলো।।আর হাত বাড়িয়ে আমাকে খুজে বেড়াল আর হাত দিয়ে আমার মুখটা ধরলো। আগে যে ঘরগুলো তে সে কারো উপর ভর না করে একা একা চলে যেতো সে এখন চাইলেও যেতে পারে না।।
এখন একজন কথা বলতে হয় তখন সে কথা শুনে শুনে হাত বাড়িয়ে বাড়িয়ে এগিয়ে যাই। মাঝে মাঝে দরজা খুজে পায়না..পরে ধরে নিয়ে যেতে হয়। মাঝে মাঝে বলে,আল্লাহ আমাকে কেন এত কষ্ট দিচ্ছে!
যখন সে পৃথিবীতে আসে তখনও একবার অসুস্থ হয়েছিল; তারপর আর একবার হাত ভেঙ্গে খুবই কষ্ট পেয়েছিল, আর এবার হয়তো শেষ কষ্ট! হয়তো চিরতরে ঘুমিয়ে পরার আগের কষ্ট। বিছানায় শুয়ে শুয়ে হয়তো আর বেশি দিন আল্লাহ আল্লাহ করতে হবে না!
আর নাক কে বন্ধ করে দিয়ে মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিতে হবে না বেশি দিন। আল্লাহ আপনার যদি নিয়ে যেতে ইচ্ছে হয় নিয়ে যান। আল্লাহ সে তো মাসুম বান্দা আপনার আপনি তো তাকে নিয়ে যাবেন কিন্তু কষ্ট টা একটু কমিয়ে দেন না! সুন্দর ভাবে নিয়ে যান আপনার কাছে।।পরীক্ষাটা কমিয়ে দেন দয়াময় আল্লাহ!
যদি আপনি তাকে আরো হায়াত দান করে থাকেন তাহলে আল্লাহ আপনি তাকে সুস্থ করে আপনার গোলামী করার সুযোগ করে দিন। আমীন ইয়া রাব্বাল আ লামীন।
আপনারাও একটু দুআ করবেন আমার ভাই এর জন্য। জানিনা কার দু,আ কবুল হয়। হয়ত আপনাদের দুআর উচিলাই আল্লাহ্ তাকে শিফা দিতে পারেন। যাযাকুমুল্লাহু খাইর। ....collected.....
আরো পড়ুন–
☞ ডেঙ্গুর কাছে হার মানতে হল ভিকারুননিসার অস্মিতাকে
☞ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মাহফুজা নামে এক শিশুর মৃত্যু
☞ A tragedic story about Baby Candy Kinder Joy !
☞ অবুঝ প্রাণের কান্না
☞ ডেঙ্গু কেড়ে নিচ্ছে শত শত মায়াবী প্রাণ
☞ ডেঙ্গুর কাছে হার মানতে হল ভিকারুননিসার অস্মিতাকে
☞ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মাহফুজা নামে এক শিশুর মৃত্যু
☞ A tragedic story about Baby Candy Kinder Joy !
☞ অবুঝ প্রাণের কান্না
☞ ডেঙ্গু কেড়ে নিচ্ছে শত শত মায়াবী প্রাণ
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
No comments:
Post a Comment