Breaking

Wednesday, August 28, 2019

মা হওয়ার অনুভূতির গল্প -১ || The feeling of being a mother part-1

ঘটনাটি ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বরের । তখন আমি জানতে পারি আমি মা হতে যাচ্ছি। কিন্তু সমস্যা ছিল প্রচুর পেইন। পিরিয়ডের ডেট এর ২ সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হয় আমার পেটে ও কমোডে পেইন। যতই দিন যাচ্ছিল আর পেইন ততই বাড়ছিল। আর সহ্য করতে না পেরে গেলাম ডাক্তার এর কাছে।

ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করলেন, ইউরিন টেস্ট করলেন, রিপোর্ট দেখে বললেন বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে গেছে। এখনই এবোরশন করতে হবে। এবোরশন না করলে আপনি মারা যাবেন। ৫ মিনিট লাগবে আপনার এবোরশন করতে। আমি ভয় পেয়ে গেলাম কিন্তু রাজি হলাম না, সাথে ছিলেন আমার বড় ননাশ, তিনি ও রাজি হলেন না । সেক্ষেত্রে ডাক্তার কিছু মিডিসিন দিলেন ব্লিডিং হওয়ার জন্য।
আমি একটা ট্যাবলেট খেয়ে আর খাইনি, কারন আমার মা বলেছিলেন, পেইন হোক ব্লিডিং যেহেতু হচ্ছে না, বেবি নষ্ট হয় নি। দিন যাচ্ছে পেইন আরও বাড়ছে মার কথা আর বিশ্বাস করতে পারলাম না। একজন বান্ধবির কথায় অন্য একজন ডাক্তার দেখাতে গেলাম। এবোরশন এর জন্য রেডি হয়েই গেলাম, যেহেতু বেবি নষ্ট হয়েই গেছে এখনতো আর কিছু করার নেই। নিউ ডাক্তারও সেইম টেস্টগুলো করাতে  দিলেন। রিপোর্ট আসলো, ডাক্তার আমাকে জিঙ্গাসা করলেন এটাই কি ফার্স্ট বেবি? আমি কান্না কান্না গলায় বললাম, জি হ্যা । উনি বললেন আপনার বাচ্চাটা ঠিকই আছে। আমি পেইন কমার মিডিসিন দিচ্ছি ।

সেই অনুভূতি বোঝাতে পারবো না কাউকে। শুধু মনে হচ্ছিল এবোরশনটা যদি তখন করে ফেলতাম আমার বেবিটাকে হত্যা করা হতো । আজ আমার সেই ছেলে পুরো বাড়ি হাটে আর মা মা বলে ডাকে। আলহামদুলিল্লাহ।

সেই দিনগুলোর feeling মনে হলে এখনো গা ছম ছম করে।
আবার অনেকে বলে হার্টবিট আসেনি, বাচ্চা নস্ট করুন, আমার মতে আল্লাহ ভরসা করলেই হয়। তিনি সব ভালো জানেন ।
ভালো থাকুক সকল মায়ের চোখের মনিরা।

A story of Raihana Munir Bristy


আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com

No comments:

Post a Comment

Clicky