Breaking

Wednesday, November 13, 2019

মেয়ে মাহিমাকে হাসপাতালে আর স্ত্রীকে লাশের সারিতে || The daughter Mahima was taken to the hospital and his wife to the body

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত ১১/১১/২০১৯ই সোমবার রাতের ট্রেন দুর্ঘটনায় তছনছ হয়ে যায় মাইনুদ্দিনের সাজানো সুন্দর জীবন। ঢাকার একটি হোটেলে কাজে যুক্ত থাকা মাইনুদ্দিন ১২/১১/২০১৯ই মঙ্গলবার দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাড়াহুড়া করে কসবায় যান। স্ত্রী ও মেয়েকে খুজতে । স্ত্রী কাকলি আক্তারকে (২৮) খুঁজে পান কসবার বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা অস্থায়ী তথ্যকেন্দ্রের লাশের সারিতে। আর সাড়ে তিন বছরের মেয়ে মাহিমাকে পান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে। 

গত ১১/১১/২০১৯ই সোমবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে কসবার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মাঝামাঝি বগিতে ঢুকে পড়ে তূর্ণা নিশীথা। আর ঘটে বিরাট ট্রেন দুর্ঘটনায় । এ ট্রেন দুর্ঘটনায় উ্ল্লেখ করা হয় ১৬ জন নিহতের কথা। কিন্তু না  নিহত হয় শতাধিক পাণ । আহত হন আরও শত শতাধিক। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নিকটবতী কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঠিক তেমনি মাহিমাকে দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবতী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে।

বাবা মাইনুদ্দিন জানান, পরশু ১০/১১/২০১৯ই রবিবার তাঁর স্ত্রী কাকলি আক্তার, মেয়ে মাহিমা আক্তার, মামা জাহাঙ্গীর মাল, মামি আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়ম সিলেটের হজরত শাহজালাল (রা.) ও হজরত শাহপরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করতে যান । তারপর ১১/১১/২০১৯ই সোমবার সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। চাঁদপুর থেকে ট্রলারে করে তাঁদের শরীয়তপুরের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনায় তাঁর স্ত্রী, মামি ও মামাতো বোন মারা যান।

মাইনুদ্দিন আরও জানান, তাঁর মামা জাহাঙ্গীর এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কাকলির বড় ভাই ফরিদ মুন্সী ও মাইনুদ্দিন দুর্ঘটনার লাশ শনাক্ত করেন।

এদিকে সকালে যখন মাহিমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন শিশুটির সঙ্গে তার পরিবারের কেউই ছিল না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন মতে জানা যায় , সকালে আহত রাহিমা আক্তার নামের এক বৃদ্ধা ওই শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। রাহিমা চাঁদপুরের সাতিরাশির বাসিন্দা। তখন তিনিও এই শিশুর নাম মাহিমা বলে জানান। রেজিস্টার্ড বইয়েও সেটিই উল্লেখ করা হয়েছে। শিশুটির কপালের বাঁ পাশ থেকে মাথার পেছন অংশ পর্যন্ত আঘাতের কারণে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। কপালেও সেলাই লেগেছে। শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে ছিল।

এই ২দিন হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল মাহিমা। সার্জারি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা আক্তার ও শিক্ষানবিশ নার্স তাহরিমা আক্তার জানান, শিশুটিকে নার্সদের কক্ষেই রাখা হয়েছিল। কারণ, দুর্ঘটনায় পচন্ড মানুষের ভিড় সামলাতে হচ্ছে তাদের। আহত শিশুটি একটু পরপর শুধু বাইরে যাবার কারণে কান্না করছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজে'লায় দুই ট্রেনের সং’ঘর্ষে আ’'হত এক শিশু একেবারেই একা হয়ে পড়েছে। তার আশপাশে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুটি কথা বলতে না পারায় তার নামও জানা যায়নি। সে দু’র্ঘটনায় আ'ক্রান্ত উদয়ন এক্সপ্রেসে ছিল। বিকালে ওই শিশুকে শনাক্ত করে তার বাবা।

দুর্ঘটনায় আহত ওই শিশুর নাম মাহিমা, বাড়ি শরীয়তপুর। তার বাবার নাম মাইনুদ্দিন। সে ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তুর্ণা নিশিথা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সেই শিশুটি তার পরিবার খুঁজে পেয়েছে। যদিও এই দুর্ঘটনায় তার মা নিহত আর বেঁচে নেই।


আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com

No comments:

Post a Comment

Clicky