তুহিন মিয়া। শিশু তুহিনকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাবা আবদুল বাছির রাতের অন্ধকারে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যান। এরপর তার বাবা, তার আরেক চাচা ও এক চাচাতো ভাই মিলে তাকে হত্যা করেন। ১৫/১০/২০১৯ইং মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীতে শিশুর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান বাবার কোল। কিন্তু তুহিনকে বাবার কোলেই হত্যা করা হয়েছে। পরে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে ফেলা হয়। এরপর পেটে দুটি ছুরি ঢুকিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।’ আবদুল বাছিরের সঙ্গে তার ভাই নাসির মিয়া ও ভাতিজা শাহরিয়ার ছিলেন বলে জানান তিনি।
শিশু তুহিনকে ঘুমন্ত অবস্থায় কোলে করে তার বাবা বাইরে নিয়ে যায় এবং বাচ্চাটাকে যখন জবাই দেওয়া হয় তখন পর্যন্ত মনে হয় বাচ্চাটা বাবার কোলেই ছিল। আসলে সন্তান যদি তার বাবার কোলে থাকে এর চাইতে তো আর নিরাপদ স্থান কোথাও নাই। আর বাচ্চাটা তো কিছু বুঝতেও পারে নাই। সে বাবার কোলেই ছিল, হঠাৎ করে বাচ্চার বাবা, চাচা অন্যরা মিলে জবাই করে ফেলে শিশু তুহিনকে। এ ঘটনা তুহিনের বাবার সহযোগিতায় হয়েছে। এ ঘটনায় তুহিনের বাবাও জড়িত। তার সামনেই শিশু তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ৫ বছরের শিশু তুহিনকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান । বাবা ও চাচার সম্মিলিত পরিকল্পনাতেই খুন করা হয় তুহিনকে। শিশুকে হত্যার কথাও স্বীকার করেছে তার বাবা ও চাচা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, ‘প্রথমে বাচ্চাটাকে মেরে তার কান কাটা হয়েছে, গলা কাটা হয়েছে, তার লিঙ্গও কাটা হয়েছে। তা সত্যি খুব নির্মম, তার পেটের ভেতরে দুটি ছুটি ঢুকিয়ে, ওই ছুরিতে প্রতিপক্ষের নাম লেখা হয়েছিল। ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় শিশুটিকে গাছে সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।’
শিশু তুহিনকে ঘুমন্ত অবস্থায় কোলে করে তার বাবা বাইরে নিয়ে যায় এবং বাচ্চাটাকে যখন জবাই দেওয়া হয় তখন পর্যন্ত মনে হয় বাচ্চাটা বাবার কোলেই ছিল। আসলে সন্তান যদি তার বাবার কোলে থাকে এর চাইতে তো আর নিরাপদ স্থান কোথাও নাই। আর বাচ্চাটা তো কিছু বুঝতেও পারে নাই। সে বাবার কোলেই ছিল, হঠাৎ করে বাচ্চার বাবা, চাচা অন্যরা মিলে জবাই করে ফেলে শিশু তুহিনকে। এ ঘটনা তুহিনের বাবার সহযোগিতায় হয়েছে। এ ঘটনায় তুহিনের বাবাও জড়িত। তার সামনেই শিশু তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ৫ বছরের শিশু তুহিনকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান । বাবা ও চাচার সম্মিলিত পরিকল্পনাতেই খুন করা হয় তুহিনকে। শিশুকে হত্যার কথাও স্বীকার করেছে তার বাবা ও চাচা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, ‘প্রথমে বাচ্চাটাকে মেরে তার কান কাটা হয়েছে, গলা কাটা হয়েছে, তার লিঙ্গও কাটা হয়েছে। তা সত্যি খুব নির্মম, তার পেটের ভেতরে দুটি ছুটি ঢুকিয়ে, ওই ছুরিতে প্রতিপক্ষের নাম লেখা হয়েছিল। ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় শিশুটিকে গাছে সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।’
মিজানুর রহমান আরও জানান, পুলিশের কাছে শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বাবা ও চাচা। হত্যার ঘটনায় সুনামগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তুহিনের চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার। আদালতে হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেন তারা।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় তুহিনের বাবাসহ থানায় নিয়ে পাঁচজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই তুহিনকে খুন করা হয় বলে পুলিশকে জানান বাবা ও চাচা।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় তুহিনের বাবাসহ থানায় নিয়ে পাঁচজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই তুহিনকে খুন করা হয় বলে পুলিশকে জানান বাবা ও চাচা।
এর আগে বিকেলে পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচা আবদুল মছব্বির (৪৫) ও প্রতিবেশী জমসের আলী (৫০) তিনজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়। একই সময় আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তুহিনের আরেক চাচা নাসির উদ্দিন (৩৪) ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার (১৭)। এই পাঁচজন সোমবার দুপুর থেকে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু তুহিন মিয়ার বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামে। রোববার রাতেই এই হত্যাকাণ্ডটি হয়। সোমবার সকলে পুলিশ গিয়ে শিশু তুহিনের লাশ উদ্ধার করে। কদমগাছের ডালে ঝুলছিল তুহিনের রক্তাক্ত নিথর দেহ। গলায় রশি বাঁধা ছিল। পেটে ঢোকানো ছিল দুটি লম্বা ছুরি। বর্বরতার এখানেই শেষ নয়, তার দুটি কান কেটে ফেলা হয়েছে ,গলা কাটা হয়েছে, তার লিঙ্গও কাটা হয়েছে ।
নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু তুহিন মিয়ার বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামে। রোববার রাতেই এই হত্যাকাণ্ডটি হয়। সোমবার সকলে পুলিশ গিয়ে শিশু তুহিনের লাশ উদ্ধার করে। কদমগাছের ডালে ঝুলছিল তুহিনের রক্তাক্ত নিথর দেহ। গলায় রশি বাঁধা ছিল। পেটে ঢোকানো ছিল দুটি লম্বা ছুরি। বর্বরতার এখানেই শেষ নয়, তার দুটি কান কেটে ফেলা হয়েছে ,গলা কাটা হয়েছে, তার লিঙ্গও কাটা হয়েছে ।
এরপর সোমবার রাতে এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে সোমবার দুপুরে তুহিনের বাবা আবদুল বাছির সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। এর মধ্যে তুহিন দ্বিতীয়। ১৫ দিন আগে তাঁদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। রোববার রাতে খেয়েদেয়ে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। রাত আড়াইটার দিকে তাঁর এক ভাতিজি ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলে তাঁদের ঘরের দরজা খোলা। এরপর সবাই জেগে ওঠে দেখেন তুহিন নেই। তখন প্রতিবেশীদেরও ডেকে তোলা হয়। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে রাস্তায় একটি কদম গাছের ডালে তুহিনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তাঁরা।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের কাছে বর্তমানে বিষয়টি পরিষ্কার। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। এর সামনে পেছনে–যারাই আছে, সবাই ধরা পড়বে। কেউই ছাড় পাবে না এর থেকে। খুব দ্রুত এই মামলায় পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দেবে।’
আরো পড়ুন–
☞ আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট
☞ কেন আর ঢাকায় পড়তে চায় না আবরারের ছোট ভাই
☞ কেন নির্মমভাবে হত্যা করা হল ছোট্ট শিশুটিকে
☞ বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় যে প্রমাণ পাওয়া গেছে
☞ আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ এর উপর ঝাপিয়ে পড়ল পুলিশ
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
No comments:
Post a Comment