Breaking

Tuesday, October 1, 2019

দিন দিন বেড়েই চলছে পেঁয়াজের দাম ! || Prices of Onion increasing day by day

হঠাৎ ই যেন বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ক্রেতারা । ঢাকার নাখালপাড়ায় এলাকায় বসবাস করেন ফারহানা শারমিন জানান, তার দৈনন্দিন রান্নার কাজে পেঁয়াজ অপরিহার্য উপাদান এবং সে কারণেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন তিনিও।

 তিনি আরও বলেন, "মাছ, মাংস, সবজি - যাই রান্না করি পেঁয়াজ তাতে অপরিহার্য। একদিনে যেমন স্বাদ বাড়ানোর জন্য পেঁয়াজ আমরা ব্যবহার করি তেমনি এর ঔষধি উপকারও আছে বলে জানি আমরা"।
শুধু যে বাসা বাড়ি তা শুধু নয়, রেস্টুরেন্ট এমনকি সড়কের পাশে অস্থায়ী খাবারের দোকান-সব জায়গাতেই রান্নার জন্য অপরিহার্য উপাদান ই পেঁয়াজ। সেই পেঁয়াজই হঠাৎ করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে!

এমন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যে কিনা সড়কের পাশের খাবারের ব্যবসা করেন । তিনি সিঙ্গাড়া তৈরি করে বিক্রি করেন - আর সিঙ্গাড়ার সাথে ক্রেতাদের পেঁয়াজ দিয়ে থাকেন। তিনি বলছিলেন, "দু মাস আগে কিনেছি ২৪ টাকায় । এরপর দাম হলো ৪০-৫০ টাকা। আর কাল কিনলাম ৭০ টাকায়। তাই এখন আর পেঁয়াজ না দিয়ে পেঁয়াজের বদলে শসা দিচ্ছি ক্রেতাদের"।

অর্থাৎ দু মাসের মাথায় রীতিমত দ্বিগুণ হয়ে গেছে বাজারে পেঁয়াজের দাম।

ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা বলছেন, বাজারে সংকটের মূল কারণও ভারতীয় পেঁয়াজ। কয়েকদিন আগে ভারত রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্য প্রায় তিনগুণ বাড়িয়ে ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে - ফলে পরদিনই বাংলাদেশের বাজারে দাম বেড়ে যায়।
অগ্রিম খবর পেয়ে ব্যবসায়ীদের অনেকে আবার বাজারে সরবরাহ কমিয়েও দিয়েছিলেন। পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তবে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ভারতের ঘোষণার সুযোগ নিয়ে সোমবার থেকে খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ২৫-৩০ টাকা বাড়িয়ে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি করছেন।

বর্তমানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে।

 সামনে পেঁয়াজের দাম বাড়বে, না কমে আসবে তা নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন খাতুনগঞ্জ ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশের বাজার ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার পরও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এরই মধ্যে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উৎস থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসতেও শুরু করে দিয়েছে।

পেঁয়াজ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নানা ধরনের সমালোচনা হচ্ছে। রোববার জয়নাল আবেদন জুয়েল নামে এক কলেজছাত্র তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্টে লিখেছেন, আপনারা কারও বাড়িতে বেড়াতে গেলে মিষ্টির বদলে পেঁয়াজ নিয়ে যান। এতে দাওয়াতদাতারা খুশি হবেন। দোয়া দেবেন।

বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৯ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়। ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের মূল্যের ওপরই নির্ভর করে পেঁয়াজের মূল্যের ওঠানামা।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ কিনতে আসা খুচরা ব্যবসায়ী কবির হোসেন জানান, খাতুনগঞ্জে অনেক আড়তদারের কাছে পেঁয়াজ নেই। পাইকারি দামে কিনতে এসেও দরদাম নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস যুগান্তরকে বলেন, আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে। ১৫০ টনের মতো পেঁয়াজ আছে। তবে দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকাররা রোববার বিকালেও তেমন একটা পেঁয়াজ কিনছেন না। পেঁয়াজ নিয়ে একটি অস্থিরতা রয়েছে। আমি বলব, পেঁয়াজকে মসলা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। সবজি হিসেবে নয়। তাহলেই পেঁয়াজের চাহিদা অনেক কমে যাবে।

খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন যুগান্তরকে জানান, কিছু আমদানিকারক ইতিমধ্যে তুরস্ক, মিসর, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির চিন্তা করছেন। তাই ভারতের সিদ্ধান্তের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ার কথা না। এখন অপেক্ষা করে দেখি কী হয়। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। ভারত ও মিয়ানমার ছাড়া অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম কমে আসবে। কথা হয় লোহাগাড়া উপজেলার খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী খোরশেদ আলমের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, আমাদেরকে পাইকারি বাজার থেকেই প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় কিনতে হয়েছে। আমরা ১০০ টাকার নিচে বিক্রি করতে পারছি না।


আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com

No comments:

Post a Comment

Clicky