Breaking

Friday, October 18, 2019

এ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন নিহত || Ambulance cylinder blast kills 3 of the same family

১৭ অক্টোবর ২০১৯ইং বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় চট্টগ্রাম-আনোয়ারা-বাঁশখালী পিএবি সড়কের আনোয়ারা চাতুরী এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় রোগী বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। 
নিহত ব্যক্তিরা হলেন বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের কাজী বাড়ির মফিজুর রহমান (৭০) ও তাঁর দুই ছেলের বউ জয়নাব বেগম (২০) ও বুলবুল আকতার (২৫)।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক দুলাল মাহমুদ ও চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, বাঁশখালী উপজেলার সনুয়া ইউনিয়নের ৩ ওয়ার্ড কাজি পাড়ার বাসিন্দা মরহুম খলিলুর রহমানের পুত্র মফিজ উদ্দিন(৭০) অসুস্থ হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন । তিনি সুস্থ হলে দুই ছেলে পুত্রবুধ ভাইয়ে স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা মোট ৪জন তাকে বাড়ি নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চট্টমেট্টো-চ-১১-৪০৪৮ ভাড়া করে বাঁশখালী রওনা হয় এসময় আনোয়ারা অতিক্রম কালে হটাৎ বিকট শব্দে অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয় এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত ও চারজন আহত হন। অ্যাম্বুলেন্সটি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে রোগী মফিজ উদ্দিন ও তার ভাই কামালের স্ত্রী জয়নাব বেগম ঘটনাস্থলে ছিন্নভিন্ন হয়ে নিহত হয়। এসময় গুরুতর আহত মফিজ উদ্দিনের পুত্র শাহাব উদ্দিন তার স্ত্রী বুলবুল আক্তার ও ছোট ভাই নিজামকে মুমুর্ষ অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুলবুল আক্তার মারা যান।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মফিজুরের ছেলে নেজাম উদ্দিন (২০), সাইফুদ্দিন (২৪), চালকের সহকারী মুন্না (৩০)। আহত ব্যক্তিদের আনোয়ারা ও চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

মফিজুরের আরেক ছেলে জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আব্বাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বাড়িতে নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।’ একই পরিবারের তিন জন নিহত ও দুই সন্তান গুরুতর আহত হওয়ায় বাঁশখালী সনুয়া কাজি পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ হতাহতের বিষয়টি জনসাধারণে নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে পুনারায় যোগাযোগ করা হলে আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক দুলাল মাহমুদ জানান, নিহতের পরিবারের সদস্যগণ থানায় এসেছেন, পরিবারের সাথে আলোচনা করে লাশ হস্তান্নরের ব্যবস্থাসহ মামালার প্রক্রিয়াও চলছে বলে তিনি জানান।
তবে ওই ঘটনার পর থেকে অ্যাম্বুলেন্সের চালকের কোনো হদিস কেউ জানতে পারেনি।

আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com

No comments:

Post a Comment

Clicky