আমাজন পুড়ছে!
বিগত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ দাবানলে আমাজনের জঙ্গল পুড়ছে! পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় যাকে, যে জঙ্গল পৃথিবীর ২০% অক্সিজেন প্রদান করে, যার কারনে পৃথিবীর ১০% Bio Diversity সম্পন্ন হয়, যার উপরেই পৃথিবীর ক্লাইমেট অনেকাংশে নির্ভর করে, সেই জঙ্গল জ্বলছে!!
বিগত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ দাবানলে আমাজনের জঙ্গল পুড়ছে! পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় যাকে, যে জঙ্গল পৃথিবীর ২০% অক্সিজেন প্রদান করে, যার কারনে পৃথিবীর ১০% Bio Diversity সম্পন্ন হয়, যার উপরেই পৃথিবীর ক্লাইমেট অনেকাংশে নির্ভর করে, সেই জঙ্গল জ্বলছে!!
পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে গাছপালা, জীব-জন্তু! অথচ সেভাবে মিডিয়ার কভারেজ নেই, মানুষের ভ্রুক্ষেপ নেই এবং আগুন নেভাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ব্রাজিল সরকারের পক্ষ থেকে! এই দাবানল এতই বীভৎস যে স্পেস থেকে পর্যন্ত ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে ! ১৭০০ কিমি দূরে পর্যন্ত ছাই উড়ে যাচ্ছে! আমাদের সবার এই ব্যাপারে এগিয়ে এসে এই ব্যাপারে Buzz তৈরি করা উচিত যাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয় এই দাবানল নির্বাপনের জন্যে ।
পৃথিবীতে মোট অক্সিজেনের প্রায় ২০ শতাংশই সরবরাহ দেয় আমাজন। ধোঁয়ার কারণে বায়ুমণ্ডলে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হচ্ছে। কামসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু আমাজনে লাগা আগুনের কারণে এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ২২৮ মেগা টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়েছে। ২০১০ সালের পর কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের এ হার সর্বোচ্চ। শুধু কার্বন ডাই-অক্সাইড নয়, বিপুলসংখ্যক গাছ পোড়ার কারণে বাতাসে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসও নির্গত হচ্ছে।
পুড়ে ছাই হচ্ছে আমাজন,আট মাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ৭৫ হাজারেও বেশি! কিন্তু এবারের মতো এত ভয়াবহ আগুনে কখনো পোড়েনি বিশ্বের বৃহত্তম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এই বনাঞ্চল । এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে আমাজন। ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ হিসেবে খ্যাত আমাজনে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কতটা ভয়াবহ এ আগুন? পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে আমাজনে যতগুলো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, আর কখনো তা হয়নি। ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ (ইনপে) জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে আমাজনে রেকর্ডসংখ্যক আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এ বছর ৮৫ শতাংশ বেশি আগুন লেগেছে।
পুড়ে ছাই হচ্ছে আমাজন,আট মাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ৭৫ হাজারেও বেশি! কিন্তু এবারের মতো এত ভয়াবহ আগুনে কখনো পোড়েনি বিশ্বের বৃহত্তম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এই বনাঞ্চল । এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে আমাজন। ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ হিসেবে খ্যাত আমাজনে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কতটা ভয়াবহ এ আগুন? পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে আমাজনে যতগুলো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, আর কখনো তা হয়নি। ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ (ইনপে) জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে আমাজনে রেকর্ডসংখ্যক আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এ বছর ৮৫ শতাংশ বেশি আগুন লেগেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে আমাজনে ৭৫ হাজারেরও বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর আগস্ট পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০ হাজার। আরও ভয়ংকর তথ্য হলো, ২০১৩ সালে পুরো ব্রাজিলে যত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল, চার মাস বাকি থাকতেই এ বছর তার চেয়ে বেশি আগুন লেগেছে। শুষ্ক মৌসুমে, বিশেষ করে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমাজনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা একেবারে বিরল নয়।
আমাজনের প্রায় ৬০ শতাংশ অবস্থিত ব্রাজিলে। বারবার এমন অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছে ব্রাজিলের উত্তরাংশের রাজ্যগুলো। বিশেষ করে উত্তরাংশের চারটি রাজ্যে গত চার বছরে আগুন লাগার হার বেড়েছে ব্যাপকভাবে। পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, আমাজনে লাগা আগুনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রোরাইমা, একর, রন্ডোনিয়া ও আমাজোনাস—এই চারটি প্রদেশ। গত চার বছরে রোরাইমাতে ১৪১, একরে ১৩৮, রন্ডোনিয়ায় ১১৫ ও আমাজোনাসে ৮১ শতাংশ আগুন লাগার হার বেড়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণের প্রদেশ মাতো গ্রোসো দো সালে আগুন লাগার হার বেড়েছে প্রায় ১১৪ শতাংশ। অগ্নিকাণ্ডের কারণে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় প্রদেশ আমাজোনাসে এরই মধ্যে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে।
আমাজনের প্রায় ৬০ শতাংশ অবস্থিত ব্রাজিলে। বারবার এমন অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছে ব্রাজিলের উত্তরাংশের রাজ্যগুলো। বিশেষ করে উত্তরাংশের চারটি রাজ্যে গত চার বছরে আগুন লাগার হার বেড়েছে ব্যাপকভাবে। পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, আমাজনে লাগা আগুনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রোরাইমা, একর, রন্ডোনিয়া ও আমাজোনাস—এই চারটি প্রদেশ। গত চার বছরে রোরাইমাতে ১৪১, একরে ১৩৮, রন্ডোনিয়ায় ১১৫ ও আমাজোনাসে ৮১ শতাংশ আগুন লাগার হার বেড়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণের প্রদেশ মাতো গ্রোসো দো সালে আগুন লাগার হার বেড়েছে প্রায় ১১৪ শতাংশ। অগ্নিকাণ্ডের কারণে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় প্রদেশ আমাজোনাসে এরই মধ্যে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে।
বারবার এমন অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপরও। আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বনাঞ্চলে। শুধু আমাজনেই নয়, বনাঞ্চল ছাড়িয়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়েছে অন্য প্রদেশগুলোতেও। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস অ্যাটমোসফিয়ার মনিটরিং সার্ভিসের (কামস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমাজনের আগুনের এ ধোঁয়া সুদূর আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্তও বিস্তৃত হচ্ছে। আমাজনে লাগা আগুনের ভয়াবহতা বুঝতে সহায়ক হবে আরেকটি তথ্য। আমাজন থেকে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরের রাজ্য সাও পাওলোর আকাশও ছেয়ে গেছে ভয়াবহ এ আগুনের ধোঁয়ায়!
বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে আমাজন। প্রায় ৩০ লাখ স্বতন্ত্র প্রজাতির গাছপালা ও প্রাণীর আবাসস্থল এই আমাজন। প্রতিবছর মিলিয়ন মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয় আমাজনের বিস্তৃত বনাঞ্চল। এই গাছগুলো যখন কাটা হয় বা আগুনে পুড়ে যায়, তখন শোষণ করে রাখা কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো টুইট করে বলেছেন, আমাদের গ্রহকে বাঁচাতে আগুন নেভানোর দায়িত্বটা সবার । আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে না আসায় চুপ করে থাকতে পারেননি রোনালদো। আমাজান পৃথিবীর ‘সম্পদ’ আর সেখানে আগুন লাগা মানে বাসযোগ্য এ গ্রহেরই ক্ষতি, তাই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেন জুভেন্টাস তারকা, ‘বিশ্বের ২০ শতাংশেরও বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে আমাজন আর তা পুড়ছে গত তিন সপ্তাহ ধরে। আমাদের গ্রহকে বাঁচানোর দায়িত্বটা সবার।’দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের প্রায় ৪০ শতাংশ জায়গাজুড়ে বিস্তার আমাজন বনের। এ মহাদেশের ফুটবলারেরাও বনাঞ্চলটিতে ভয়াবহ এ আগুন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। আর্জেন্টিনা ও জুভেন্টাসের তারকা ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালার টুইট, ‘আমাজন পুড়ছে। আমাজন শুধু দক্ষিণ আমেরিকার নয় এটা সবার। আর এটা পৃথিবীর ফুসফুস যা আমাদের গ্রহকে ২০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। এটা সারা বিশ্বের বন তাই আমাদের ভবিষ্যৎ পুড়ছে। আমাদের সবাইকে কিছু করতে হবে।’শেষ টুইটে সংবাদমাধ্যমের একটি খবরের লিংক দিয়ে স্মলিং লিখেছেন, ‘কৃষকদের বাধার মধ্যেও আমাজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন আদিবাসী গোত্রের এক নেতা।’
এগিয়ে আসুন! আমরা কিছু না পারি অন্তত এটাকে ইন্টারনাশন্যাল ইস্যু বা ইন্টারেস্ট বানাই যাতে সবার চোখে আসে ব্যাপারটা।
ছড়িয়ে দি সবার কাছে, যেন সবাই সম্মিলিতভাবে এই দাবানল বন্ধ করার ব্যাপারে সচেষ্ট হন।
আমাজন বাঁচলে পৃথিবী বাঁচবে😭
ছড়িয়ে দি সবার কাছে, যেন সবাই সম্মিলিতভাবে এই দাবানল বন্ধ করার ব্যাপারে সচেষ্ট হন।
আমাজন বাঁচলে পৃথিবী বাঁচবে😭
আরো পড়ুন–
☞ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে করণীয়
☞ পাওয়া গেলো ডেঙ্গুর ঔষুধ
☞ ডেঙ্গু কেড়ে নিচ্ছে শত শত মায়াবী প্রাণ
☞ শিশুদের ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া টিপস
☞ ভয়াবহ ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাচাঁর প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
☞ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে করণীয়
☞ পাওয়া গেলো ডেঙ্গুর ঔষুধ
☞ ডেঙ্গু কেড়ে নিচ্ছে শত শত মায়াবী প্রাণ
☞ শিশুদের ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া টিপস
☞ ভয়াবহ ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাচাঁর প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
No comments:
Post a Comment