Breaking

Thursday, July 18, 2019

জিপিএ-৫ না পাওয়ায় ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা

ঘটনাটি ঘটেছে  ১৭ জুলাই, ২০১৯ ,দুপুর ১.৪০মিনিটে ঠনঠনিয়া তেতুলতলা এলাকায় মোহসিন আলীর ডা: ভিলার ভাড়া বাসায় । নাম ফেনি আক্তার (১৮) । বয়স ১৮ । নওগাঁর রানীনগর উপজেলার ক্ষুদ্রবেলঘড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ফরিদুল ইসলামের মেয়ে তামিমা ইসলাম ফেনি। বসবাস বগুড়া জেলার ঠনঠনিয়া তেতুলতলা এলাকায় । তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের আবাসিক ছাত্রী ছিলেন। গত ২০১৭ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পান তামিমা । 


এরপর তিনি ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন দেখেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার পর মেডিকেল কোচিং করতে বগুড়ায় আসেন। মায়ের সঙ্গে শহরের ঠনঠনিয়া তেঁতুলতলায় মহসিন আলীর বাসা ‘ডাক্তার ভিলা’ ভাড়া নেন। এবার তামিমা ইসলাম ফেনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। তামিমা ইসলাম ফেনি এর ধারণা ছিল সে এবারও প্লাস পাবে । কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষায় ৪.৭ পায় মোছা: ফেনি আক্তার । তার প্রত্যাশা ছিল জিপিএ ৫ । তাই কাঙ্খিত ফল না পাওয়ায় ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে!

জানা গেছে, গত ২মাস আগে মেয়েকে মেডিকেলে ভর্তি করানোর জন্য কোচিং করাতে এই বাসা ভাড়া নেন তারা । মোছা: ফেনি রংপুর ক্যান্টরমেন্ট স্কুল থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। আজ এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ হবার পর ৪.৭ পায় মোছা: ফেনি আক্তার । মোছা: ফেনি আক্তার এর ধারণা ছিল সে এ প্লাস পাবে। তার চেয়ে কম মেধাবী অনেকে ছাত্রীই এ প্লাস পেয়েছে বলে ফেনির  খুবই মন খারাপ হয়ে যায় । বারবার সে একই কথা বলছিল। এবং কিছুতেই বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারছিলোনা । সে তার মায়ের সাথে বাসায় কান্নাকাটি করেন ও বারবার বলেন---এজীবন আমি আর রাখতে চাই না । কান্নাকাটির এপর্যায়ে সে তার রুমে প্রবেশ করে এবং দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। তারপর সাথে সাথে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নেয় মোছা: ফেনি। ঘটনাটির বোঝার সাথে সাথে মেয়েটির মা চিৎকার দিলে বাসা ওয়ালা এবং বাড়ির আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলে। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমরা ঘটনাটি জানার  সঙ্গে সঙ্গে  বাড়িতে যাই এবং দরজা ভেঙ্গে ফেলি এরপর দেখি মেয়েটি ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে । এরপর বগুড়া সদর থানায় ফোন দিয়ে ওসিকে অবগত করে তার অনুমতিতে মেয়েটিকে ফ্যান থেকে নামিয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যাই সবাই মিলে । হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে বলে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া সদর থানার এসআই খোরশেদ আলম জানান, বিকালে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে । ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত হবে। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত সদর থানায় অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানান তিনি।
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com

No comments:

Post a Comment

Clicky