অনেকের মতে গর্ভাবস্থায় ঠাণ্ডা পানি খেলে বাচ্চা নড়াচড়া ভাল করে। এই ধারনাটি অনেকের মধ্যেই বেশ প্রচলিত রয়েছে । তবে গবেষণায় দেখা যায়, ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার সাথে বাচ্চার নড়াচড়ার কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। তবে হ্যা, মা যদি মিষ্টি কিছু খায় তবে বাচ্চার নড়াচড়া বাড়তে পারে । মা ঠাণ্ডা পানি খেলে বাচ্চার সরাসরি কোন ক্ষতি হয় না, তবে মাত্রাতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার ফলে মায়ের যদি কোন ক্ষতি হয়, তবে তা বাচ্চাকে প্রভাবিত করতে পারে।
যেমন- গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে, সর্দি কাশি ছাড়াও বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখিন হতে পারে। এর ফলে মায়ের শারীরিক যেসব সমস্যাগুলো হয় তা বাচ্চার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। মায়ের শরীরে খাদ্যনালীর সাথে জরায়ুর কোন সরাসরি যোগাযোগ থাকে না । গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর থেকে বাচ্চা যে পানি, অক্সিজেন বা পুষ্টি পায় তা মায়ের রক্ত থেকে বাচ্চার রক্তে প্লাসেন্টার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়।
মা যখন কিছু খায় তখন তা প্রথমে মায়ের খাদ্যনালীর মাধ্যমে মায়ের পাকস্থলীতে যায় । সেখানে খাবারের পুষ্টি – ফ্যাটি অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, মিনারেল ও ভিটামিন হিসেবে শোষিত হয়। এই পুষ্টিগুলো প্লাসেন্টা গ্রহন করে এবং রক্তের মাধ্যমে ভ্রূণের সব অঙ্গে সরবরাহ করে। খাদ্যের যেসব অংশ ভ্রূণের দরকার হয় না, তা আবার প্লাসেন্টার মাধ্যমে মায়ের রক্তে ফেরত আসে এবং তা মায়ের লিভার ও কিডনির মাধ্যমে পরিশোধিত হয়।
এর ফলে দেখা যায় যে, মা যদি ঠাণ্ডা পানি খান তবে তা সরাসরি ভ্রূণ পর্যন্ত পৌঁছায় না। এর পূর্বে মায়ের গ্রহন করা পানিকে খাদ্যনালীর মাধ্যমে পাকস্থলী পর্যন্ত আসতে হয় । যেহেতু স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট, সেহেতু ঠান্ডা পানি যখন খাদ্যনালী হয়ে পাকস্থলীতে জমা হয় ততক্ষণে মায়ের শরীর তা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসে।
ঠাণ্ডা পানির কারণে গর্ভাবস্থায় মায়ের যে সমস্যা হতে পারেঃ
১) ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা করা পানি পান করলে মেদ ঝরে অর্থাৎ ঠান্ডা পানির তাপমাত্রা এবং শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার বিরাট পার্থক্যের কারণেই পানির তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক করতে শরীর অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করে, এতে মেদ ঝরতে পারে । তবে এই মেদ হ্রাসের পরিমাণ খুবই সামান্য বললেই চলে । তবে এতে খুশি হওয়ার কোন কারণ নেই। কিন্তু ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করার ক্ষতিকর দিকটি এতই প্রকট যে এই সামান্য ভালো দিকটির অস্তিত্ব তার কাছে প্রায় নেই বললেই চলে।
২) খাওয়ার মাঝে কিংবা শেষে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করলে তা খাবারের চর্বি অংশটুকুকে কঠিন অবস্থায় নিয়ে যায়। বুঝতেই তো পারছেন, এতে শরীরে মেদ কমে নাকি বাড়ে। পরবর্তী সময়ে ঠান্ডা পানির সহায়তায় খাবারের সেই কঠিন হওয়া অতিরিক্ত চর্বিকে পরিপাক করাটা শরীরের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে । এসব অতিরিক্ত চর্বি কখনো কখনো রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শোষিত হয়। ধমনিতেও ধীরে ধীরে চর্বি জমতে থাকে। ফলাফল হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ। এই সমস্যাই একজন মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
৩) ঠাণ্ডা পানিতে খুব দ্রুত তৃষ্ণা মেটে, তাড়াতাড়ি তৃপ্তি চলে আসে। ফলে শরীর মনে করে তার আর পানি পানের প্রয়োজন নেই। যার কারণে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটে না। এ ঘাটতি থেকে পানিশূণ্যতা তৈরি হতে পারে, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর ।
৪) ঠান্ডা পানিতে হজমের সমস্যা দেখা দেয় । ঠান্ডা পানি পান করার ফলে পাকস্থলী খাবার হজমের চাইতে ঠান্ডা পানিকে শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে পাকস্থলীর যে মূল দায়িত্ব সেই খাবার হজমের প্রক্রিয়ায় ছেদ পড়ে এবং হজমে সমস্যা হয়।
৫) আমাদের শরীরের তাপমাত্রা যেহেতু স্বাভাবিক মাত্রায় ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। ফলে ঠান্ডা পানি যখন পাকস্থলীতে জমা হয় তখন পাকস্থলী তা শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসে। ফলে অহেতুক শক্তি খরচ হয় শরীরের।
৬) ঠান্ডা পানি মারাত্মকভাবে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে। গরম থেকে ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসা মাত্রই দাঁতের বহিরাবরণ সংকুচিত হয়। ফলে দাঁতের এনামেলে ফাটল ধরে। এছাড়া মাড়ি ক্ষয়ের অন্যতম একটি কারণও হচ্ছে ঠান্ডা পানি।
তাই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি না খাওয়াই শরীরের জন্য ভালো । স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি শরীরের জন্যও খুবই উপকরী। আর অবশ্যই মনে রাখতে হবে এসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
যেমন- গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে, সর্দি কাশি ছাড়াও বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখিন হতে পারে। এর ফলে মায়ের শারীরিক যেসব সমস্যাগুলো হয় তা বাচ্চার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। মায়ের শরীরে খাদ্যনালীর সাথে জরায়ুর কোন সরাসরি যোগাযোগ থাকে না । গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর থেকে বাচ্চা যে পানি, অক্সিজেন বা পুষ্টি পায় তা মায়ের রক্ত থেকে বাচ্চার রক্তে প্লাসেন্টার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়।
মা যখন কিছু খায় তখন তা প্রথমে মায়ের খাদ্যনালীর মাধ্যমে মায়ের পাকস্থলীতে যায় । সেখানে খাবারের পুষ্টি – ফ্যাটি অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, মিনারেল ও ভিটামিন হিসেবে শোষিত হয়। এই পুষ্টিগুলো প্লাসেন্টা গ্রহন করে এবং রক্তের মাধ্যমে ভ্রূণের সব অঙ্গে সরবরাহ করে। খাদ্যের যেসব অংশ ভ্রূণের দরকার হয় না, তা আবার প্লাসেন্টার মাধ্যমে মায়ের রক্তে ফেরত আসে এবং তা মায়ের লিভার ও কিডনির মাধ্যমে পরিশোধিত হয়।
এর ফলে দেখা যায় যে, মা যদি ঠাণ্ডা পানি খান তবে তা সরাসরি ভ্রূণ পর্যন্ত পৌঁছায় না। এর পূর্বে মায়ের গ্রহন করা পানিকে খাদ্যনালীর মাধ্যমে পাকস্থলী পর্যন্ত আসতে হয় । যেহেতু স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট, সেহেতু ঠান্ডা পানি যখন খাদ্যনালী হয়ে পাকস্থলীতে জমা হয় ততক্ষণে মায়ের শরীর তা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসে।
ঠাণ্ডা পানির কারণে গর্ভাবস্থায় মায়ের যে সমস্যা হতে পারেঃ
১) ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা করা পানি পান করলে মেদ ঝরে অর্থাৎ ঠান্ডা পানির তাপমাত্রা এবং শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার বিরাট পার্থক্যের কারণেই পানির তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক করতে শরীর অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করে, এতে মেদ ঝরতে পারে । তবে এই মেদ হ্রাসের পরিমাণ খুবই সামান্য বললেই চলে । তবে এতে খুশি হওয়ার কোন কারণ নেই। কিন্তু ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করার ক্ষতিকর দিকটি এতই প্রকট যে এই সামান্য ভালো দিকটির অস্তিত্ব তার কাছে প্রায় নেই বললেই চলে।
২) খাওয়ার মাঝে কিংবা শেষে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করলে তা খাবারের চর্বি অংশটুকুকে কঠিন অবস্থায় নিয়ে যায়। বুঝতেই তো পারছেন, এতে শরীরে মেদ কমে নাকি বাড়ে। পরবর্তী সময়ে ঠান্ডা পানির সহায়তায় খাবারের সেই কঠিন হওয়া অতিরিক্ত চর্বিকে পরিপাক করাটা শরীরের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে । এসব অতিরিক্ত চর্বি কখনো কখনো রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শোষিত হয়। ধমনিতেও ধীরে ধীরে চর্বি জমতে থাকে। ফলাফল হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ। এই সমস্যাই একজন মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
৩) ঠাণ্ডা পানিতে খুব দ্রুত তৃষ্ণা মেটে, তাড়াতাড়ি তৃপ্তি চলে আসে। ফলে শরীর মনে করে তার আর পানি পানের প্রয়োজন নেই। যার কারণে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটে না। এ ঘাটতি থেকে পানিশূণ্যতা তৈরি হতে পারে, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর ।
৪) ঠান্ডা পানিতে হজমের সমস্যা দেখা দেয় । ঠান্ডা পানি পান করার ফলে পাকস্থলী খাবার হজমের চাইতে ঠান্ডা পানিকে শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে পাকস্থলীর যে মূল দায়িত্ব সেই খাবার হজমের প্রক্রিয়ায় ছেদ পড়ে এবং হজমে সমস্যা হয়।
৫) আমাদের শরীরের তাপমাত্রা যেহেতু স্বাভাবিক মাত্রায় ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। ফলে ঠান্ডা পানি যখন পাকস্থলীতে জমা হয় তখন পাকস্থলী তা শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসে। ফলে অহেতুক শক্তি খরচ হয় শরীরের।
৬) ঠান্ডা পানি মারাত্মকভাবে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে। গরম থেকে ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসা মাত্রই দাঁতের বহিরাবরণ সংকুচিত হয়। ফলে দাঁতের এনামেলে ফাটল ধরে। এছাড়া মাড়ি ক্ষয়ের অন্যতম একটি কারণও হচ্ছে ঠান্ডা পানি।
তাই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি না খাওয়াই শরীরের জন্য ভালো । স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি শরীরের জন্যও খুবই উপকরী। আর অবশ্যই মনে রাখতে হবে এসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
No comments:
Post a Comment