ঘটনাটি ঘটে ২৪/৪/২০১৯ (বুধবার), আমি খুব ভয় পাই; হঠাৎ ১দিন আমার মনে হতে থাকে বাবু যেন নড়ছে না । তারপর দিনও (বৃহস্পতিবার) যখন বাবুর নড়াচড়া অনুভব করতে পারছি না তখনই অনেক খারাপ চিন্তা মাথায় আসতে থাকে ।
আমি কান্না করতে করতে আমার স্বামীকে বলি- গতকাল থেকে বাবু তো নড়ে না । ও ভাবছে হয়তো আমি প্রচন্ড ভয় পাওয়ার কারনে বাবুর নড়াচড়া বুঝতে পারছি না। তখন ও আমাকে সান্ত্বনা দেয় । এর পরদিনও (শুক্রবার) যখন বাবুর নড়াচড়া বুঝতে পারছি না তখনতো চিৎকার করে কান্না করে আমার স্বামীকে বলি - বাবু তো আজকেও নড়ছে না ।
আমার অবস্থা দেখে ও তাড়াতাড়ি খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে, তখন অনেকেই বলে মগবাজার আদ্ দ্বীন হাসপাতাল অনেক ভালো সেবা দেয় + খরচও অনেক কম । ও রাতেই আমাকে নিয়ে ওই হাসপাতালে যায় । ডাক্তারের কাছে গেলাম ।
যখনই বললাম ৩ দিন ধরে বাবুর নড়াচড়া নাই, তখনই ওনাদের বলা শুরু - ৩ দিন ধরে বাচ্চার নড়াচড়া নাই, এখন আসছেন ডাক্তারের কাছে । আমাদেরকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওনারা বললেন এখনই ভর্তি করান । আমরাও আর কথা না বাড়িয়ে ভর্তি হতে গেলাম । আবারও ডাক্তারের জেরার মুখে পড়লাম । আমাকে কিছু টেস্ট করানো হইছে কিনা জানতে চায়, আমি বলি আমার সব টেস্টই করানো হইছে আর সবগুলির রেজাল্টও পজিটিভ আছে, আমার ফাইলটা একটু দেখেন। তারা আমার ফাইল না দেখেই রক্তের টেস্ট করাতে হবে লিখে দেয়, এরপর আমার ফাইলের সব কাগজপত্র উলটপালট করে কিছু নিজেদের ফাইলে নেয় আর বাবুর সব আল্ট্রাসোনোর রিপোর্ট আমার হাতে দিয়ে বলে এইগুলি ছিড়ে ফেলেন দরকার নাই।
এরপর বলল, উপরের তলায় গিয়ে ভর্তি হন । গেলাম। নার্স বলল - নরমাল বেড এ ৭ দিন পর্যন্ত ফ্রী আর কেবিন নিতে হলে আগে ৫০০০ টাকা জমা দিতে হবে + প্রতিদিন ১১০০ টাকা ভাড়া আর কেবিনে পুরুষ মানুষ থাকতে পারবেনা । এটা শুনেই পাশ থেকে এক ভাই জানতে চাইলো - ৫০০০ টাকা কি পরে আবার ফেরত দেওয়া হবে? নার্সের উত্তর- আমি কি জানি, যে টাকা নিবে তাকে জিগ্যেস করেন । প্রথমতো আমাদের উদ্দেশ্য ছিল- চেক আপ করানো, ভর্তি হওয়ার কোনো প্রস্তুতি আমাদের ছিল না, তার উপর বাসা অনেক দূরে । আমার স্বামী নার্সকে বলল - এতো টাকাতো নিয়া আসি নাই । এখন আপাতত নরমাল বেড এ ভর্তি করেন। এরপর আমার স্বামী বললেন, টাকার ব্যবস্থা হলে রাতেই কি আমরা কেবিনে আবার ভর্তি হতে পারবো? নার্সের উত্তর - আপনার কাছে টাকা আছে কি নাই, সেটা আমার দেখার বিষয় না, আর নরমাল বেড থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা যাবে কিনা তাও জানি না, এখন তাড়াতাড়ি বলেন কোথায় ভর্তি করবেন ।
তখন বাজে রাত ১১ টা ১৫ মিনিট। সবদিক বিবেচনা করে নরমাল বেডেই ভর্তি হই। এবার বলি নরমাল বেডের অবস্থা- ঢুকেই মনে হইছে মাছের বাজারে আসছি, সবাই গল্পে মশগুল, মাঝখানে একজন মানুষ কোনো রকম দাঁড়াতে পারে এমন জায়গা রেখে প্রায় ৬০ টা বেড ।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমার বেড পাওয়া গেল । বেডে বসেই দেখি বেডের সাথে লাগোয়া পিলারে অবাধে তেলাপোকা হাঁটছে। একটু পর পায়ে কি জানি লাগলো, তাকিয়ে দেখি বিড়ালও অবাধে হাঁটছে । এইসব যখন দেখছি হঠাৎ নার্স এসে বকাবকি শুরু করলেন -আপনার ফাইল নিয়ে আসেন নাই কেন? আমি কারন বলতে গেলাম বলে আপনি চুপ করেন, আমার কথা শুনেন, এরপর আমি চুপচাপ ধমকের সুরে বলা কথা হজম করলাম । একটু পর এসে বলে আপনার শরীর থেকে রক্ত নিতে হবে। যেই হাতে আমি ৬ বার রক্ত দিয়েছি ঐ হাতে উনি রগই খুঁজে পেলেন না । তারপর অন্য হাতের উপর দিকেও রগ খুঁজে পেলেন না । এরপর হাতের তালুর অপর পাশ থেকে রক্ত নিলেন। একটু বরফও দিলেন না। সাথে সাথে রগ ফুলে ইনজেকশন দেয়ার মুখটা হা হয়ে গেল । আমার কাছে কিছুই ছিল না চেপে ধরবো। এখনও রগ ফুলে আছে । এর মধ্যে তারা আমার স্বামীকে দিয়া ওষুধ কিনিয়েছে, রক্ত পরীক্ষা করাতে বলেছে ।
এর মধ্যে আমার আপন খালা, যিনি ইনসাফ বারাকা হাসপাতালের ডাক্তার উনি চলে আসলেন । রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে ডাক্তার রাউন্ডে আসলেন । ডাক্তার আমার ২ বেড পরে এক মহিলার কাছে জানতে চাইলো - আপনার সমস্যা কি? উনি বললেন - আমার এজমা। ডাক্তার বলল- এইটা তো গাইনী ওয়ার্ড, আপনি এখানে কেন? উনি বললে - আমাকে জোর করে এখানে পাঠিয়ে দিছে । তখন ডাক্তার বলল - এরা এমনই করে । এরপর ডাক্তার আমার কাছে আসতে খালামনি তার নিজের পরিচয় দিলেন, তখন ঐ ডাক্তার বলললেন -তো? তখন খালামনি বললেন- ও আমার ভাগ্নী । তখন ডাক্তার আমাকে বলল - কি সমস্যা? বললাম - ৩ দিন ধরে বাবুর নড়াচড়া নাই । ডাক্তার বলল- আপনি বাবুর নড়াচড়া বুঝার চেষ্টা করেন ।
ডাক্তার যাওয়া মাত্রই আমাকে (Cardiotocography) CTG করাতে নিয়ে গেল । ১০ মিনিট যাবার পরই যন্ত্র টা টুট টুট শব্দ করা শুরু করলো । আশেপাশে কোনো নার্স নাই । আর এতো শব্দ যে আমি ডাকতেছি কেউ শুনছেই না । অবশেষে একজন নার্সকে এইদিকে আসতে দেখে ডাকলাম । উনি দেখে বললেন - বাবুর শ্বাস কষ্ট হচ্ছে , জোরে জোরে শ্বাস নেন । নেওয়া শুরু করলাম । ৫ মিনিট না যেতেই আবার শব্দ শুরু । আবার ডাকাডাকি শুরু করলাম - এবার আর একজন নার্স আসলো । তাকে বললাম - আপু শব্দ হয় কেন? বাবুর শ্বাস কষ্ট হচ্ছে? উনি বললো- সবই ঠিক আছে । বলে যন্ত্রটা বন্ধ করে চলে গেল, আমার শরীর থেকে যন্ত্রটা না খুলে । একটু পর যন্ত্রটা থেকে বিকট শব্দ করা শুরু । আবার অনেক কষ্টে একজন নার্সকে ডেকে বললাম- আপু শব্দটা বন্ধ করে দেন। উনি যন্ত্রটার মধ্যে ২ টা থাপ্পড় দিয়ে চলে গেলেন। আবার ডাকাডাকি শুরু করলাম । এবার অরেকজন নার্স এসে একটা বাটন চাপতেই শব্দ বন্ধ হয়ে গেল ।
একটু পর আমার খালামনিকে তারা ডেকে নিয়ে গেলেন । আর আমাকে একজন নার্স এসে বলল- আপনার ডোনার কি পাওয়া গেছে? আমি তো কিছুই বুঝতেছি না । বললাম জানি না। আমি জানতে চাইলাম, আমি কিছু খেতে পারি? বলে না ।সেই সন্ধ্যা থেকে পেটে কিছুই পড়ে নাই । একটু পর খালামনি এসে বলল- তোর রক্তের গ্রুপ এতো দুর্লভ আগে জানাস নাই কেন? আমিতো পুরাই আকাশ থেকে পড়লাম। খালামনি রক্ত এখনই কেন লাগবে? বলে- Cardiotocography (CTG) রিপোর্ট খুব খারাপ আসছে , এখনই সিজার করাতে হবে । আমি শুনেই বলি- ওরা বললেই হইলো । আমি সিজার করাবো না । সত্য বলতে ওদের কাজ কর্ম দেখে আমি মন থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছিলাম না , আমার মন বার বারই বলছিল এখানে আর বেশি সময় থাকলে খুব খারাপ কিছু ঘটে যাবে । তখন খালামনি বললো - মা এমন করে না , তোর ডাক্তার মামাও আসতেছে (আমার মেঝো মামা ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগের ডাক্তার)। পুরুষদের তো ওয়ার্ডে ঢুকতে দেয় না । আমি বাহিরে গিয়ে দেখি আমার স্বামী পাগলের মতো ব্লাড ডোনার খুঁজছে, ওর চোখে পানি টলমল করছে । বললাম- শোন, আমি সিজার করাবো না । বাবু আর আমি ২ জনই ভালো আছি । এমন সময় একজন নার্স এসে ওকে বন্ডের সাইন করতে বললো । আমি বললাম - না তুমি সাইন করবা না । আমার বাবুর মাত্র ৩৩ সপ্তাহ চলে । কিছুতেই আমি সিজার করতে দিব না, বলেই আমি খালামনির কাছে চলে গেলাম । বাবুর Cardiotocography (CTG) রিপোর্ট শুনে আমার ডাক্তার মামাও ফোনে খালামনিকে বলে দিলেন মৌরিনকে বুঝাও। আমি সবই শুনছিলাম । আমি আবারও খালামনিকে বললাম - আমি সিজার করাবো না । খালামনি আামাকে বুঝাতে শুরু করলো ।
এমন সয়ম আমার স্বামী এসে খালামনিকে জিজ্ঞেস করলো - বন্ডে কি সাইন করবো ? আমি বললাম না, আর খালামনি বলল কর । শেষে কান্না করতে করতে খালামনিকে বললাম- ডাক্তার মামা আসুক , আমি মামার সাথে কথা বলবো । তখন একজন নার্স এসে বললো NICU তে জায়গা খালি নাই । খালামনি রাগ করে বলে, তাহলে এখানে কেন সিজার করাবো । তখনই আমার মনে পড়লো- আমি নিয়মিত যেই ডাক্তারের কাছে চেকআপ করাতাম উনি ল্যাব এইড হাসপাতালে বসেন, উনি বলছিল ল্যাব এইডে NICU আছে । তখন খালামনিকে বললাম - আমার ডাক্তার বলছিল ল্যাব এইডে NICU আছে।
আসলে আমার উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে বের হওয়া । খালামনি আমার স্বামীকে বলল - ডাক্তারকে ফোন দাও । ও বলল - দুপুর থেকে ওনাকে অনেকবার ফোন দিয়ে বিরক্ত করেছি, এখন এত রাতে ফোন দেওয়া কি ঠিক হবে ? আমি বললাম - তুমি ফোন দাও তো । তখন বাজে রাত ১২ টা ১৫ মিনিট, ডাক্তারকে ২ বার ফোন দিল, ধরলো না । এর মধ্যে নার্সরা আমার স্বামীকে দিয়ে ওটির পোশাকও কিনিয়ে আনলো । রাত ১২টা ৩০ মিনিটে আমার ডাক্তার ফোন দিল। সব শুনে উনি বললেন - ওদের Cardiotocography যন্ত্রটা নষ্টও হতে পারে, ওকে ল্যাব এইডে নিয়ে যান । খালামনি যখন নার্সকে বলল, ল্যাব এইডে নিয়ে যাবে । নার্স বলে- এখনতো রিলিজ দেওয়া যাবে না। তখন খালামনি বলল- আমি নিজেও একজন ডাক্তার আর আপনাদের এখানে তো NICU তে জায়গা নাই । নার্স বলে - সিজার এখানে করান, বাচ্চা অন্য কোথায় NICU নিয়া যাবেন । তারপর খালামনির অনেক অনুরোধর পর আমাকে রিলিজ দিল । ততক্ষণে ডাক্তার মামাও এসে গেছেন । এরপর রাত ২ টায় গেলাম ল্যাব এইডে । ওখানে আবার Cardiotocography করলো, রিপোর্ট আসলো সব স্বাভাবিক । আমার ডাক্তারকে জানানো হল, উনি বললেন- ইচ্ছা হলে বাসায় চলে যেতে পারেন বা একদিন অবজারভেশনে থাকতে পারে । শেষে রাতে ল্যাব এইডে ভর্তি হলাম । পরদিন মানে শনিবার সকালে আমার ডাক্তার এসে চেক আপ করে গেলেন আর আল্ট্রাসাউন্ড করতে বলল । আল্ট্রাসাউন্ডের রিপোর্টও ভালো আসলো । তারপর দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।
একটু পর আমার খালামনিকে তারা ডেকে নিয়ে গেলেন । আর আমাকে একজন নার্স এসে বলল- আপনার ডোনার কি পাওয়া গেছে? আমি তো কিছুই বুঝতেছি না । বললাম জানি না। আমি জানতে চাইলাম, আমি কিছু খেতে পারি? বলে না ।সেই সন্ধ্যা থেকে পেটে কিছুই পড়ে নাই । একটু পর খালামনি এসে বলল- তোর রক্তের গ্রুপ এতো দুর্লভ আগে জানাস নাই কেন? আমিতো পুরাই আকাশ থেকে পড়লাম। খালামনি রক্ত এখনই কেন লাগবে? বলে- Cardiotocography (CTG) রিপোর্ট খুব খারাপ আসছে , এখনই সিজার করাতে হবে । আমি শুনেই বলি- ওরা বললেই হইলো । আমি সিজার করাবো না । সত্য বলতে ওদের কাজ কর্ম দেখে আমি মন থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছিলাম না , আমার মন বার বারই বলছিল এখানে আর বেশি সময় থাকলে খুব খারাপ কিছু ঘটে যাবে । তখন খালামনি বললো - মা এমন করে না , তোর ডাক্তার মামাও আসতেছে (আমার মেঝো মামা ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগের ডাক্তার)। পুরুষদের তো ওয়ার্ডে ঢুকতে দেয় না । আমি বাহিরে গিয়ে দেখি আমার স্বামী পাগলের মতো ব্লাড ডোনার খুঁজছে, ওর চোখে পানি টলমল করছে । বললাম- শোন, আমি সিজার করাবো না । বাবু আর আমি ২ জনই ভালো আছি । এমন সময় একজন নার্স এসে ওকে বন্ডের সাইন করতে বললো । আমি বললাম - না তুমি সাইন করবা না । আমার বাবুর মাত্র ৩৩ সপ্তাহ চলে । কিছুতেই আমি সিজার করতে দিব না, বলেই আমি খালামনির কাছে চলে গেলাম । বাবুর Cardiotocography (CTG) রিপোর্ট শুনে আমার ডাক্তার মামাও ফোনে খালামনিকে বলে দিলেন মৌরিনকে বুঝাও। আমি সবই শুনছিলাম । আমি আবারও খালামনিকে বললাম - আমি সিজার করাবো না । খালামনি আামাকে বুঝাতে শুরু করলো ।
এমন সয়ম আমার স্বামী এসে খালামনিকে জিজ্ঞেস করলো - বন্ডে কি সাইন করবো ? আমি বললাম না, আর খালামনি বলল কর । শেষে কান্না করতে করতে খালামনিকে বললাম- ডাক্তার মামা আসুক , আমি মামার সাথে কথা বলবো । তখন একজন নার্স এসে বললো NICU তে জায়গা খালি নাই । খালামনি রাগ করে বলে, তাহলে এখানে কেন সিজার করাবো । তখনই আমার মনে পড়লো- আমি নিয়মিত যেই ডাক্তারের কাছে চেকআপ করাতাম উনি ল্যাব এইড হাসপাতালে বসেন, উনি বলছিল ল্যাব এইডে NICU আছে । তখন খালামনিকে বললাম - আমার ডাক্তার বলছিল ল্যাব এইডে NICU আছে।
আসলে আমার উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে বের হওয়া । খালামনি আমার স্বামীকে বলল - ডাক্তারকে ফোন দাও । ও বলল - দুপুর থেকে ওনাকে অনেকবার ফোন দিয়ে বিরক্ত করেছি, এখন এত রাতে ফোন দেওয়া কি ঠিক হবে ? আমি বললাম - তুমি ফোন দাও তো । তখন বাজে রাত ১২ টা ১৫ মিনিট, ডাক্তারকে ২ বার ফোন দিল, ধরলো না । এর মধ্যে নার্সরা আমার স্বামীকে দিয়ে ওটির পোশাকও কিনিয়ে আনলো । রাত ১২টা ৩০ মিনিটে আমার ডাক্তার ফোন দিল। সব শুনে উনি বললেন - ওদের Cardiotocography যন্ত্রটা নষ্টও হতে পারে, ওকে ল্যাব এইডে নিয়ে যান । খালামনি যখন নার্সকে বলল, ল্যাব এইডে নিয়ে যাবে । নার্স বলে- এখনতো রিলিজ দেওয়া যাবে না। তখন খালামনি বলল- আমি নিজেও একজন ডাক্তার আর আপনাদের এখানে তো NICU তে জায়গা নাই । নার্স বলে - সিজার এখানে করান, বাচ্চা অন্য কোথায় NICU নিয়া যাবেন । তারপর খালামনির অনেক অনুরোধর পর আমাকে রিলিজ দিল । ততক্ষণে ডাক্তার মামাও এসে গেছেন । এরপর রাত ২ টায় গেলাম ল্যাব এইডে । ওখানে আবার Cardiotocography করলো, রিপোর্ট আসলো সব স্বাভাবিক । আমার ডাক্তারকে জানানো হল, উনি বললেন- ইচ্ছা হলে বাসায় চলে যেতে পারেন বা একদিন অবজারভেশনে থাকতে পারে । শেষে রাতে ল্যাব এইডে ভর্তি হলাম । পরদিন মানে শনিবার সকালে আমার ডাক্তার এসে চেক আপ করে গেলেন আর আল্ট্রাসাউন্ড করতে বলল । আল্ট্রাসাউন্ডের রিপোর্টও ভালো আসলো । তারপর দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।
★ আদ্ দ্বীন হাসপাতালে আমার ওজন বলেছিল ৬৭ কেজি আর ল্যাব এইডে আমার ওজন আসছে ৭০ কেজি। এবার আদ্ দ্বীন হাসপাতালে কত কম খরচে কতো ভালো সেবা পেলাম তাই বলি- ডাক্তারের ভিজিট- ২০০ টাকা, ভর্তি হতে - ৯০০ টাকা, রক্ত পরীক্ষার জন্য ৭০০ টাকা, ঔষুধ + ওটির পোশাক + আরও হাবিজাবি - ৫০০ টাকা; একটি টাকাও ফেরত দেয়নি।
(ঘটনাটি ফেসবুকে এক আপুর ওয়াল থেকে সংগৃহিত)
(ঘটনাটি ফেসবুকে এক আপুর ওয়াল থেকে সংগৃহিত)
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source: www.google.com
No comments:
Post a Comment