অনিয়মিত পিরিয়ড
পিরিয়ড নারীদের কাছে খুবই পরিচিত একটি বিষয় । প্রত্যেক নারীর সাধারণত মাসে একবার পিরিয়ড হয়ে থাকে। পিরিয়ড নিয়মিত হওয়াই ভালো । তবে এক্ষেত্রে যদি ব্যতিক্রম কিছু ঘটে, তবে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা হতে পারে । বিশেষ করে অনেক অবিবাহিত নারী রয়েছেন, যাদের মাসিক অনিয়মিত; তাদের মাতৃত্বের স্বাস্থ্যঝুঁকিও রয়েছে । এ নারীরা অনেক সময় ইচ্ছে করলেও গর্ভধারণ করতে পারেন না । এ ধরণের সমস্যার কারণে তাদের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকিও বেড়ে যায় ।
অনিয়মিত মাসিক বা ঋতুস্রাব নারীদের কাছে পরিচিত বিষয় । বিশেষ করে কিশোরীদের মধ্যে এ ধরণের সমস্যাটি বেশি দেখা যায় । এ নিয়ে কিশোরীরাই দুশ্চিন্তায় ভোগেন বেশি । নিয়মিত ঋতুচক্র প্রতি মাসে চার থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়ে থাকে । বেশিরভাগ নারী প্রতি মাসের নির্দিষ্ট একটি তারিখের সাত দিন আগে অথবা সাত দিন পরে ঋতুস্রাবের মুখোমুখি হয় ।
অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ
প্রতি চন্দ্র মাস পর পর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। মাসিক চলাকালীন পেটে ব্যথা, পিঠ ব্যথা ও বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। শরীর দূর্বল হয়ে যায় খুব বেশি পরিমাণের।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
শরীরে উচ্চতার সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজনের কারণেও অনেক সময় মাসিক বন্ধ হতে দেখা যায়। তাই শরীরের ওজন সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করতে হবে। শরীরের রক্ত কমে গেলে অর্থাৎ এনিমিয়া হলে অনিয়মিত মাসিক হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি পরিমাণের। যখনই পিরিয়ড পিছিয়ে যায় বলে মনে হবে তখনই আপনি খেতে পারেন দুধ যা পিরিয়ডের অনুপাত ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তবে তেল জাতীয় খাবার ও ডিমের কুসুম পরিহার করাই ভাল।
পানি পান করা
শরীরে পানির বিষয়টি খুব বেশি খেয়াল রাখতে হবে। শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে ইউরেটরে ইনফেকশন সৃষ্টি হয়ে থাকে । এতে করে মাসিক হতে বিলম্ব হয়। তাই পানি পান করতে হবে প্রচুর পরিমাণে । এই সমস্যা দূর করার জন্যই অল্প অল্প করে বারে বারে খাবার খাবেন । সফট ডিঙ্ক, কফি ও চা ত্যাগ করুন, এগুলো শরীরেরজন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ।
সুষম ও প্রোটিনজাতীয় খাবার
নিয়মিত সুষম ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন । তাজা মাছ-মাংস, সবুজ শাক-সবজি ও ফলমূল নিয়মিত খেতে চেষ্টা করুন । কেননা অনেক সময় শরীরে রক্তশূণ্যতা বা ক্যালসিয়ামের অভাব হলেও মাসিক হতে দেরি হয় । তাই মেয়েদের খাবার এর দিকটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে । আঙুর ফলটি পিরিয়ডের সময় খুবই কার্যকরী । প্রতিদিন খাবারের তালিকায় আঙুর থাকলে ভবিষ্যতে মাসিক নিয়মিত রাখতে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
বিবাহিত নারীরা যদি হঠাৎ জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ বন্ধ করে দেন তবে পিরিয়ডে সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার যদি পিরিয়ড নিমমিত না হয় তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এক্ষেত্রে আমার মতে হোমিওপ্যাথিতে অনিয়মিত পিরিয়ডের ভাল ট্রিটমেন্ট হয় ।
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source: www.google.com
No comments:
Post a Comment