পড়ছে গরম, বাড়ছে এর তাপমাত্রা। এই গরমে বাচ্চাদের খাবার নিয়ে প্রতিটি মায়ের চিন্তার যেন কমতি নেই। আর এ গরমে সব ধরণের খাবার শিশুর শরীর এর পক্ষে মানানসই নয় । তাই যতটুকু সম্ভব শিশুর খাবার এর দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে । এই গরমে কারো কাছেই খাবার খেতে ভাল লাগে না, শিশুদের তো নয়ই। তাছাড়াও এই গরমে বাচ্চার খাবার এর দিকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে, কেননা এটা শিশুর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
তাই কিছু প্রয়োজনীয় টিপস্ জেনে রাখা খুবই জরুরী। আজকের আলোচনায় আমি বাচ্চাদের খাবার বিষয়ক কিছু টিপস্ নিয়ে আলোচনা করব।
তাই কিছু প্রয়োজনীয় টিপস্ জেনে রাখা খুবই জরুরী। আজকের আলোচনায় আমি বাচ্চাদের খাবার বিষয়ক কিছু টিপস্ নিয়ে আলোচনা করব।
★ শিশুদের ঝাল, অতি মসলাদার, তেলে ভাজা আর বাইরের খাবার যথা সম্ভব দিবেন না ।
★ যেসব বাচ্চা ব্রেস্ট ফিড করে, তাদেরকে আগের চেয়ে ঘন ঘন দুধ খাওয়াবেন। নিজে বেশি করে পানি ও পানি জাতীয় খাবার খাবেন।
★ গরমের কারনে জ্বরের সাথে এখন ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিচ্ছে । তাই বাচ্চাকে বেশি বেশি লিকুইড জাতীয় খাবার দিবেন । যেমন- পানি, বাসায় বানানো স্যুপ, জুস, ডাবের পানি ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে দিবেন। গরমে ইউরিন ইনফেকশন হওয়াটা খুব কমন। মায়েদের এ বিষয়টি খুব সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে ।
★ বাচ্চার প্রস্রাবের রং এর দিকে খেয়াল রাখবেন, বেশি হলুদ হওয়া মানে পানি কম খাওয়া হচ্ছে। তাই বাচ্চাকে অবশ্যই বিশেষ গুরুত্ব সহকারে একটু পর পর বেশি বেশি লিকুইড জাতীয় খাবার দিতে হবে ।
★ এই গরমে বাচ্চাকে ডিম, খিচুরি না খাওয়ানোই সবচেয়ে ভাল। কেননা এই গরমে ডিম, খিচুরি খাওয়ালে বাচ্চার পেটে সমস্যা হতে পারে । পেট খারাপ হয়ে যেতে পারে।
★ কলা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুবই উপকারি । এই গরমে কলা বাচ্চার জন্য খুবই ভাল মানের একটি খাবার। এটি পেট এর ভেতর নাড়ি ঠান্ডা রাখে । তবে হ্যা শিশুর ঠান্ডা, কাশি, জ্বর থাকলে কলা না দেওয়াই ভাল।
★ বাচ্চাদেরকে অতিরিক্ত রোদে না নেয়ার চেষ্টা করবেন , দুপুর ১১টার পর থেকে রোদের তাপ বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত রোদ থেকে বাচ্চা-বুড়ো অনেকেরই হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
★ বাইরে গেলে ব্যাটারি চালিত ছোট একটি ফ্যান সাথে নিতে পারেন । সাথে ছাতা অবশ্যই নিতে ভুলবেন না।
★ একদম পাতলা সুতির জামা পরাবেন , রাত ছাড়া ডায়াপার এভয়েড করার চেষ্টা করুন।
★ একটু পর পর ঘাড়, গলা, বুক মুছে দিবেন, যেন ঘাম বসে না যায় । বাচ্চারা ঘামে বেশি। গায়ের ঘাম কোন অবস্থাতেই গায়ে শুকাতে দিবেন না, এমনটি হলে নিশ্চিত ঠান্ডা লেগে যাবে।
★ যেদিন তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকবে, সেদিন বাচ্চা রাতে ঘুমানোর আগে মাথা না ভিজিয়ে গা মুছে দিতে পারেন, এতে বাচ্চার আরামের ঘুম হবে ,আমি নিজেও আমার বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এমনটি করি।
এই গরমেও আপনার বাচ্চা থাকুক ফিট। শুভ কামনা পৃথিবীর সকল নিষ্পাপ শিশুদের জন্য।
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
No comments:
Post a Comment