আবদুল হান্নান, পেশায় একজন মসজিদের ইমাম। বাড়ী কুষ্টিয়া জেলায়। যিনি ৩৫ বছর বিনামূল্যে মানুষকে কুরআন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।
আবদুল হান্নান জানান, আমি নিজে শুদ্ধভাবে কুরআন শিখি এবং কুরআন শরীফ শেখার সময় আমি রাসুলের একটি হাদিস জানতে পারি যে, যে ব্যাক্তি নিজে কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয় সেই ব্যক্তি উত্তম ব্যক্তি। তখন থেকেই আমি মানুষকে বিনামূল্যে কুরআন শরীফ পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করি আমি যেন সুন্দরভাবে এই কাজটি করতে পারি।
সর্বপ্রথম ১৯৮৪ সালে অল্প কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে বাড়ির উঠানে কুরআন শেখানো শুরু করেন আবদুল হান্নান।
আবদুল হান্নান জানান, আমি নিজে শুদ্ধভাবে কুরআন শিখি এবং কুরআন শরীফ শেখার সময় আমি রাসুলের একটি হাদিস জানতে পারি যে, যে ব্যাক্তি নিজে কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয় সেই ব্যক্তি উত্তম ব্যক্তি। তখন থেকেই আমি মানুষকে বিনামূল্যে কুরআন শরীফ পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করি আমি যেন সুন্দরভাবে এই কাজটি করতে পারি।
সর্বপ্রথম ১৯৮৪ সালে অল্প কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে বাড়ির উঠানে কুরআন শেখানো শুরু করেন আবদুল হান্নান।
এর ২ বছর পর ১৯৮৬ সালে রাস্তার পাশেই একটি মাটির ছাপড়া ঘরে আমি আমার প্রথম কার্যক্রম শুরু করি । এরপর ১৯৯৫ সালে বাবা আবদুল আজিজ শেখ ছেলে আবদুল হান্নানকে এক কাঠা জমি দেন। যার উপর আবদুল হান্নান একটি ঘর নির্মাণ করেন এবং ওখানে শুরু করেন কুরআন শিক্ষা দান প্রজেক্ট। এভাবে ৩৫ বছর ধরে এখন পর্যন্ত কুরআন শিক্ষা দান করে যাচ্ছেন আবদুল হান্নান।
আবদুল হান্নান আরো জানান, আমি এ দীর্ঘ সময় যাবৎ পর্যন্ত কুরআন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি (৩৫ বছর ধরে) এবং আল্লাহর ইচ্ছায় যতদিন আমি বেঁচে থাকবো ততদিন যেন সুন্দরভাবে এই সওয়াবের কাজটি করে যেতে পারি।
আবদুল হান্নান বলেন- আমার এখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করেছেন ঠিকই, কিন্তু এমনও অনেক শিক্ষার্থী আছেন যাদের কুরআন শরীফ কেনার সামর্থ্য নেই, তাদেরকে আমি বিনামুল্যে কুরআন শরীফ দিয়ে থাকি।
আবদুল হান্নান কাছ থেকে এখন পযর্ন্ত ১০হাজার এর ও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়।
আবদুল হান্নান আরো জানান, আমি এ দীর্ঘ সময় যাবৎ পর্যন্ত কুরআন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি (৩৫ বছর ধরে) এবং আল্লাহর ইচ্ছায় যতদিন আমি বেঁচে থাকবো ততদিন যেন সুন্দরভাবে এই সওয়াবের কাজটি করে যেতে পারি।
আবদুল হান্নান বলেন- আমার এখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করেছেন ঠিকই, কিন্তু এমনও অনেক শিক্ষার্থী আছেন যাদের কুরআন শরীফ কেনার সামর্থ্য নেই, তাদেরকে আমি বিনামুল্যে কুরআন শরীফ দিয়ে থাকি।
আবদুল হান্নান কাছ থেকে এখন পযর্ন্ত ১০হাজার এর ও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়।
জীবিকা অর্জনের জন্য কী করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল হান্নান জানান- বছরে ২০ মন ধান পান স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামতি করে এবং নিজের দুই বিঘা জমি আছে তাতে তিঁনি চাষাবাদ করেন। এতে সংসার চলে যায় কোন মতে।
তাছাড়াও আবদুল হান্নান আরও জানান, আমার আশেপাশের এলাকা যেমন- গোবিন্দ গুনিয়া, বাজারপাড়া, সুলতানপুর, মুশারফপুর এসব এলাকার কোনো পুরুষ মানুষ মারা গেলে, তিনি নিজ হাতে তাদের গোসল এবং দাফন-কাফন করান। গত ১ বছরে আবদুল হান্নান প্রায় ২৬ জন মৃতদেহকে গোসল করিয়েছেন ।
এভাবে আবদুল হান্নান ৩৫ বছর ধরে আল্লাহর রাসুলের হাদীস, যে ব্যাক্তি নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শেখায় সেই উত্তম ব্যক্তি কথাটির উপর আমল করে আসছেন। হাজার হাজার মানুষকে বিনামূল্যে কুরআন শিক্ষা দিয়ে, সামান্য বেতনে মসজিদের ইমামতি করে এবং মৃতদেহকে গোসল করিয়ে যৎসামান্য কিছু উপার্জন করে সম্মানিত এই মানুষটি জীবন পার করে দিচ্ছেন। আল্লাহ পাক তাকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন।
তাছাড়াও আবদুল হান্নান আরও জানান, আমার আশেপাশের এলাকা যেমন- গোবিন্দ গুনিয়া, বাজারপাড়া, সুলতানপুর, মুশারফপুর এসব এলাকার কোনো পুরুষ মানুষ মারা গেলে, তিনি নিজ হাতে তাদের গোসল এবং দাফন-কাফন করান। গত ১ বছরে আবদুল হান্নান প্রায় ২৬ জন মৃতদেহকে গোসল করিয়েছেন ।
এভাবে আবদুল হান্নান ৩৫ বছর ধরে আল্লাহর রাসুলের হাদীস, যে ব্যাক্তি নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শেখায় সেই উত্তম ব্যক্তি কথাটির উপর আমল করে আসছেন। হাজার হাজার মানুষকে বিনামূল্যে কুরআন শিক্ষা দিয়ে, সামান্য বেতনে মসজিদের ইমামতি করে এবং মৃতদেহকে গোসল করিয়ে যৎসামান্য কিছু উপার্জন করে সম্মানিত এই মানুষটি জীবন পার করে দিচ্ছেন। আল্লাহ পাক তাকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন।
No comments:
Post a Comment