সংক্ষেপে উত্তর দাওঃ
প্রশ্নঃ (ক) সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : জীবন যাপন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য আমরা বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। সাধারণভাবে এসব দ্রব্য ও প্রতিষ্ঠানকে সম্পদ বলে। যেমনঃ বাড়িঘর, জমিজমা, পুকুর, বাগান, কারখানা ইত্যাদি। সম্পদের ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ ও হস্তান্তর করার ক্ষমতার অধিকারীকে আইনগতভাবে সম্পদের মালিক বলে।
প্রশ্নঃ (খ) পারিবারিক সম্পদ কী কী?
উত্তর: জীবন যাপন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য আমরা বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। সাধারণভাবে এসব দ্রব্য ও প্রতিষ্ঠানকে সম্পদ বলে।
পারিবারিক সম্পদঃ একজন ব্যক্তির সম্পদ তার বাড়ি, গাড়ি, জমিজমা, পুকুর, বাগান, কারখানা, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। এই সমস্ত সম্পত্তি সে নিজের চেষ্টায় তৈরি করেছে, কিনেছে বা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে। তাই এসব সম্পদের ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ ও হস্তান্তর করার অধিকার ওই ব্যক্তির রয়েছে।
প্রশ্নঃ (গ) রাষ্ট্রীয় সম্পদকে কেন জনসম্পদ বলা হয়?
উত্তর: রাষ্ট্র জনগণের ব্যবহার ও কল্যাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান, সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলে। রাস্তাঘাট, সেতু, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এ ছাড়া একটি দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন, নদ-নদী, খাল-বিল, বনভূমি, বিভিন্ন খনিজ সম্পদ ইত্যাদিও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অন্তর্গত। এই সমস্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহার করার অধিকার রাষ্ট্রের সব মানুষের রয়েছে। আসলে সব সামাজিক সম্পদই রাষ্ট্রীয় সম্পদ। রাষ্ট্র সমাজ ও মানুষের কল্যাণে তার সব সম্পদ ব্যবহার করে। এই জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদকে জনসম্পদও বলা হয়।
প্রশ্নঃ (ঘ) বিদ্যালয়কে কেন জাতি গঠনের কারখানা বলা হয়?
উত্তর: দেশের জনগণকে শিক্ষিত সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সম্পদ। বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করে আমরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হই। এ জন্য বিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতি গঠনের কারখানা বলা হয়।
প্রশ্নঃ (ঙ) যমুনা সেতু নির্মাণের পর আমাদের কী কী উপকার হয়েছে?
উত্তর: যমুনা সেতুর মাধ্যমে দেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। অল্প সময়ে যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হয়েছে। একইভাবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সেতুগুলো দেশের উন্নতিতে অবদান রাখছে। যমুনা সেতু আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
প্রশ্নঃ (চ) আমরা আমাদের পরিবেশকে কীভাবে রক্ষা করব?
উত্তর: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সম্পদ হিসেবে বনভূমির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাছ শিকড়ের সাহায্যে মাটির ক্ষয়রোধ করে। আমাদের অক্সিজেন দেয়। যুগের পর যুগ দেশের নদ-নদী, খাল-বিল পলি মাটি আবর্জনা দ্বারা ভরাট হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। অতিসত্বর ভরাট নদ-নদী, খাল-বিল খনন করে আমরা আমাদের পরিবেশের বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারি।
প্রশ্নঃ (ছ) আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহারের উদাহরণ দাও।
উত্তর: রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারের নিয়ম-কানুন মেনে চললে দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। অপব্যবহার করলে সম্পদের ক্ষতি হয়। অনেকের বাড়িতে রান্না শেষ হওয়ার পরও গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখে। গ্যাসকে এভাবে ব্যবহার করলে আমাদের গ্যাসের মজুদ অতি দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। কাজেই গ্যাসের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অনেকে রেলগাড়িতে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করে, রেলগাড়ির সিট ছিঁড়ে ফেলে, কাটে, রেল লাইনের স্লিপার খুলে নিয়ে যায়। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি যাত্রী ও জনগণের প্রাণহানি ঘটতে পারে। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এতে আমরা অংশ নেব। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের উন্নতির সঙ্গে আমাদের সবার উন্নতি জড়িত। কাজেই রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন নেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
No comments:
Post a Comment