ক) প্রশ্ন: বাকশিল্প বলতে কী বুঝি?
উত্তর: লেখক মনসুর মূসা 'গানের দেশে প্রাণের উল্লাস' প্রবন্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগীতশিল্পের বর্ণনা তুলে ধরেছেন। সংগীতশিল্পের প্রধান বিষয় বাকশিল্প। ‘বাকশিল্প’ কথাটির অর্থ হলো, কথা বলার কৌশল বা উচ্চারণ সৌকর্য। আমরা গান করি, গীত গাই আর সংগীত সাধনা করি। এই সাধনা বাকশিল্পের অঙ্গ। মানুষ কথা বলে, বাক্য তৈরি করে, ধ্বনি উচ্চারণ করে—এগুলো বাকশিল্প নামে অভিহিত। যে সুন্দর করে কথা বলতে পারে, যার উচ্চারণ সৌকর্য চমৎকার তাকে চারুবাক বলা হয়। কবিতা আবৃত্তি এবং সংবাদ পাঠ ঐতিহ্যবাহী বাকশিল্প।
খ) প্রশ্ন: শ্রমসংগীত কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর : লেখক মনসুর মূসা 'গানের দেশে প্রাণের উল্লাস' প্রবন্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন গানের বর্ণনা তুলে ধরেছেন।
শ্রমসংগীত : মানুষ মনের ভাব বিভিন্নভাবে প্রকাশ করে থাকে। কখনও অঙ্গভঙ্গির, কোন ইংগিত, কোন গানের মাধ্যমে। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ভাব প্রকাশ করার জন্য গান করে আসছে। কাজে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য শ্রমজীবী মানুষও সমস্বরে গান করে থাকে। এগুলোকে বলা হয় শ্রমসংগীত। শ্রমজীবী মানুষ ছাদ পেটায় আর শ্রম লাঘব করার জন্য সমন্বরে ছাদ পেটানোর গান গায়। ধান কাটার সময়, ফসল তোলার সময় কৃষক গান করে। এভাবে শ্রমের সঙ্গে বিনোদন যুক্ত করে মানুষ শ্রমকে আনন্দদায়ক করে তোলে।
গ) প্রশ্ন: আমাদের দেশের তিনজন বিখ্যাত সংগীতশিল্পীর নাম লেখো।
উত্তর: লেখক মনসুর মূসা 'গানের দেশে প্রাণের উল্লাস' প্রবন্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন গানের বর্ণনা তুলে ধরেছেন।
মানুষ মনের ভাব বিভিন্নভাবে প্রকাশ করে থাকে। কখনও অঙ্গভঙ্গির, কোন ইংগিত, কোন গানের মাধ্যমে। যারা সংগীত সাধনা করেন তাদের সংগীতশিল্পী বলে।
আমাদের দেশের তিনজন বিখ্যাত সংগীতশিল্পীর নাম নিচে দেওয়া হলো:
১. আব্বাস উদ্দীন।
২. আবদুল আলীম।
৩. ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ।
এঁরা চিরকাল সংগীত সাধনা করেছেন। সেজন্য তাঁদের বলা হয় সংগীত সাধক। এসব সংগীত সাধক আমাদের দেশের গৌরব।
ঘ) প্রশ্ন: সংগীতের ক্ষেত্র কয়টি ও কী কী?
উত্তর: কথা, সুর, তাল ও লয়সহ মনের ভাব প্রকাশ করাকে গীত বা গান বলা হয়। শাস্ত্রমতে গীত, বাদ্য ও নৃত্যের সমন্বয়ে সংগীত সৃষ্টি হয়। ‘গানের দেশে প্রাণের উল্লাস’ প্রবন্ধের লেখকের মতে সংগীতের ক্ষেত্র দুটি।
এক. কণ্ঠসংগীত।
দুই. যন্ত্রসংগীত।
সচরাচর কণ্ঠসংগীতের পরিপূরক হিসেবে যন্ত্রসংগীত ব্যবহূত হয়। তবে শুধু কণ্ঠসংগীত যেমন সম্ভব, তেমনি শুধু যন্ত্রসংগীতও সম্ভব।
ঙ) প্রশ্ন: কণ্ঠসংগীতের সহযোগী বাদ্যযন্ত্রগুলোর নাম লেখ।
উত্তর: সংগীতের অন্যতম ক্ষেত্র কণ্ঠসংগীত। এই কণ্ঠসংগীতকে সমৃদ্ধ করার জন্য ব্যবহূত হয় অনেক রকম বাদ্যযন্ত্র।
কণ্ঠসংগীতের সহযোগী হিসেবে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে রয়েছে বাঁশি, ঢোল, তবলা, করতাল, খোল, খঞ্জনি, হারমোনিয়াম, মাদল, একতারা, দোতারা, সেতার, সরোদ ইত্যাদি। যাঁরা এসব যন্ত্র ব্যবহার করেন, তাদেরও ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে।
বাঁশি বাজান যিনি, তাঁকে বলা হয় বংশীবাদক; যিনি ঢোল বাজান, তাঁকে বলা হয় ঢুলি; আর যিনি তবলা বাজান, তাঁকে বলা হয় তবলচি।
No comments:
Post a Comment