প্রশ্ন: আষাঢ় মাসে আকাশ কেমন দেখা যায়?
উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ক্ষণিকা’ কাব্য গ্রন্থের অর্ন্তগত “আষাঢ়” একটি ঋতুভিত্তিক কবিতা। এই কবিতায় কবি আষাঢ় মাসের আকাশের অবস্থা সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন এবং আষাঢ় মাসের গ্রামীন জীবন প্রবাহ অতি চমৎকাভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আষাঢ় মাসে প্রকৃতি এক ভিন্ন রূপ ধারণ করে। এ সময় আকাশ কালোমেঘে ঢেকে যায়। নতুন মেঘের আবরণে আচ্ছাদিত হয় নীল আকাশ। তিল পরিমাণ ফাঁকা জায়গা আকাশের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। কালিমাখা মেঘের কারণে চারদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। সারা দিন অবিরাম বৃষ্টি ঝরে। বলা যায়, আষাঢ় মাসে আকাশ তার চির পরিচিত রূপ হারিয়ে ফেলে। নীল আকাশ মেঘলা আকাশে পরিণত হয়।
প্রশ্ন : আউশের খেত কীভাবে জলে ভরে যায়?
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ক্ষণিকা’ কাব্য গ্রন্থের অর্ন্তগত “আষাঢ়” একটি ঋতুভিত্তিক কবিতা। এই কবিতায় কবি আষাঢ় মাসের আকাশের অবস্থা সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন এবং আষাঢ় মাসের গ্রামীন জীবন প্রবাহ অতি চমৎকাভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
'আষাঢ়' কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বর্ষা প্রকৃতির এক চমৎকার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দু'মাস বর্ষাকাল। আষাঢ় মাসেই মূলত বর্ষার প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠে। আষাঢ় মাসে সারা আকাশ কালি মাখা মেঘে ঢেকে যায়। সারা দিন অবিরল ধারায় ঝরঝর বৃষ্টি ঝরে। নদীনালা, খালবিল, মাঠঘাট, ফসলের খেত জলে একাকার হয়ে যায়। কবি বলেন_
বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর
আউশের খেত জলে ভরভর।
আউশ ধানের খেত জলে ভরে ওঠে। চারদিক শুধু দরদর বেগে জল পড়ার ছলছল শব্দ শোনা যায়।
প্রশ্ন: কৃষক কী জন্য এত উদ্বিগ্ন?
উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ক্ষণিকা’ কাব্য গ্রন্থের অর্ন্তগত “আষাঢ়” একটি ঋতুভিত্তিক কবিতা। এই কবিতায় কবি আষাঢ় মাসের আকাশের অবস্থা সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন এবং আষাঢ় মাসের গ্রামীন জীবন প্রবাহ অতি চমৎকাভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আষাঢ় মাস ভরা বর্ষার মাস। মেঘে মেঘে আকাশ ঢেকে যায়। সারা দিন অবিরাম বৃষ্টি ঝরে। অবিশ্রান্ত বৃষ্টির ধারায় পথ-ঘাট-প্রান্তর প্লাবিত হয়। কালো মেঘের আড়াল থেকে সূর্য বেরিয়ে আসতে পারে না বলে সন্ধ্যার আগেই চারদিকে অন্ধকার নেমে আসে। খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে যায়, সন্ধ্যার আগেই। রাখাল ছেলে ও মাঠের কাজে যাওয়া লোকজন সন্ধ্যার আগে ঘরে ফিরে না এলে অসুবিধায় পড়বে। খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে গেলে ওরা ঘরে ফিরতে পারবে না। তাই কৃষক এত উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া সন্ধ্যার আগে সাদা গাভিটি গোয়ালে আনার জন্য কৃষক উদ্বিগ্ন।
প্রশ্ন: গাভিটি এত ঘন ঘন ডাকছে কেন?
উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ক্ষণিকা’ কাব্য গ্রন্থের অর্ন্তগত “আষাঢ়” একটি ঋতুভিত্তিক কবিতা। এই কবিতায় কবি আষাঢ় মাসের আকাশের অবস্থা সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন এবং আষাঢ় মাসের গ্রামীন জীবন প্রবাহ অতি চমৎকাভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আষাঢ় মাসে আকাশ ঘনকালো মেঘে ঢেকে যায়। চারদিকে অন্ধকার নেমে আসে। অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরে। প্রকৃতির এই প্রতিকূল পরিবেশে সবাই নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে। সন্ধ্যার ছায়া নেমে আসছে দেখে কৃষকের গাভিটিও ভীত হয়ে পড়ে। সেও সন্ধ্যার আগে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চায়। কালো মেঘের বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে চায়। তাই গাভিটি তার নিরাপদ আশ্রয় গোয়ালে ফিরে যাওয়ার জন্য এত ঘন ঘন ডাকছে।
প্রশ্ন : রাখাল বালকের জন্য এত চিন্তা কেন?
উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ক্ষণিকা’ কাব্য গ্রন্থের অর্ন্তগত “আষাঢ়” একটি ঋতুভিত্তিক কবিতা। এই কবিতায় কবি আষাঢ় মাসের আকাশের অবস্থা সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন এবং আষাঢ় মাসের গ্রামীন জীবন প্রবাহ অতি চমৎকাভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
রাখাল বালক সারাদিন মাঠে কাজ করে, মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়ায়। মাঠে পসরা সাজিয়ে সে জীবনের গান গায়। রাখাল বালকের প্রতি কৃষকের মমতা সবচেয়ে বেশি। আষাঢ় ভরা বর্ষার মাস। কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে সারা আকাশ। বেলা শেষে রাতের অন্ধকার নেমে আসছে। এখনও রাখাল বালক ঘরে ফিরে আসেনি। কবি বলেন_
রাখাল বালক কী জানি কোথায় সারাদিন আজি খোয়ালে
এখনি আঁধার হবে বেলাটুকু পোহালে।
রাখাল বালক কোথায় কিভাবে আজকের সারাদিন নষ্ট করেছে তা কেউ জানে না। এখনও কেন সে ঘরে ফিরে আসছে না, তার যদি কোনো বিপদ হয়ে যায়- তাই রাখাল বালকের জন্য এ চিন্তা।
প্রশ্ন: খেয়াপারাপার বন্ধ হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ক্ষণিকা’ কাব্য গ্রন্থের অর্ন্তগত “আষাঢ়” একটি ঋতুভিত্তিক কবিতা। এই কবিতায় কবি আষাঢ় মাসের আকাশের অবস্থা সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন এবং আষাঢ় মাসের গ্রামীন জীবন প্রবাহ অতি চমৎকাভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আষাঢ় মাসের ভরা বর্ষায় গ্রামবাংলার মাঠ-ঘাট-প্রান্তর প্লাবিত হয়। ঘনকালো মেঘে আকাশ ছেয়ে যায়। বৃষ্টি ঝরে অবিরাম, সন্ধ্যার আগেই চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। পূর্বদিক থেকে জোরে বাতাস বইতে থাকে। ঢেউ ওঠে নদীর দুকূল ছাপিয়ে। ঢেউয়ের পরে ঢেউ আছড়ে পড়ে। এমন দুর্যোগপূর্ণ বৈরী আবহাওয়ায় খেয়াপারাপার বিপজ্জনক। যেকোনো মুহূর্তে খেয়ানৌকা দুর্ঘটনায় পড়তে পারে।
এসব প্রতিকূল পরিবেশের কারণেই সন্ধ্যার আগেই খেয়াপারাপার বন্ধ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: গ্রামবাংলার বর্ষা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ক্ষণিকা’ কাব্য গ্রন্থের অর্ন্তগত “আষাঢ়” একটি ঋতুভিত্তিক কবিতা। এই কবিতায় কবি আষাঢ় মাসের আকাশের অবস্থা সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন এবং আষাঢ় মাসের গ্রামীন জীবন প্রবাহ অতি চমৎকাভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
গ্রামবাংলার বর্ষা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য নিচে লেখা হলো:
১. বর্ষায় গ্রামবাংলার পথ-ঘাট-প্রান্তর প্লাবিত হয়।
২. আউশ ধানের খেত জলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
৩. অবিরাম বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
৪. ঘনকালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায় বলে সন্ধ্যার আগেই গ্রামবাংলার চারদিকে অন্ধকার নেমে আসে।
৫. খেয়ামাঝিরা সন্ধ্যার আগেই খেয়াপারাপার বন্ধ করে দেয়।
Thursday, April 26, 2012
কবিতা: আষাঢ়
Tags
# Bangla
# Class Five
About Salahuddin
Soratemplates is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates.
পড়াশোনা
Tags:
Bangla,
Class Five,
পড়াশোনা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment