Breaking

Thursday, April 26, 2012

বিদায় হজ

প্রশ্ন (ক): বিদায় হজ কী?
উত্তর: মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে পালন করা শেষ হজটিই ‘বিদায় হজ’ নামে পরিচিত। যিলকদ মাসের ২৫ তারিখ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অসংখ্য সঙ্গী-সাথীসহ হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কার পথে যাত্রা করেন। জিলহজ মাসের ৫ তারিখে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র মক্কা শরিফে উপনীত হন। আরব দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রায় দুই লাখ মানুষ সঙ্গে নিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই হজ পালন করেন। হিজরি ১০ সালের জিলহজ মাসে অনুষ্ঠিত এই হজ ছিল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের শেষ হজ। ইসলামের ইতিহাসে এই হজই বিদায় হজ নামে খ্যাত।

প্রশ্ন (খ): হিজরি কোন সালে বিদায় হজ অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের শেষ হজ ‘বিদায় হজ’ নামে পরিচিত। যিলকদ মাসের ২৫ তারিখে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অসংখ্য সঙ্গী-সাথীসহ হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কার পথে যাত্রা করেন। যিলহজ মাসের ৫ তারিখে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র কাবা শরিফে উপনীত হন। আরব দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রায় দু লাখ মানুষের উপস্থিতিতে হিজরি দশম সালে বিদায় হজ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশ্ন (গ): আরাফাত ময়দানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল?
উত্তর: দশম হিজরির যিলহজ মাস। আরব দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় দুই লাখ মানুষ হজ পালন করার জন্য পবিত্র কাবা শরিফে এসেছেন। আরাফাতের ময়দানে লাখ লাখ মানুষ দেখে রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মন আনন্দে ভরে গেল। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আবেগে আপ্লুত হলেন। জাবালে রহমাত নামক পাহাড়ে দাঁড়িয়ে তিনি প্রথমেই আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করলেন। তারপর গভীর আবেগ আর অনুভূতি মিশিয়ে আরাফাত ময়দানে সমবেত মানুষের উদ্দেশ্যে তার জীবনের শেষ ভাষণ প্রদান করেন।

প্রশ্ন (ঘ): বিদায় হজের ভাষণে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ক্রীতদাস সম্পর্কে কী বলেছিলেন?
উত্তর: আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিদায় হজের ভাষণ বিশ্বমানবতার এক অমূল্য সম্পদ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার ভাষণে ক্রীতদাস-ক্রীতদাসী সম্পর্কে যা বলেছেন তা হলো:
১. তোমাদের ক্রীতদাস-ক্রীতদাসীরাও আল্লাহ তাআলার বান্দা।
২. তাদের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করো না।
৩. তোমরা নিজেরা যা খাবে, তাদেরও তাই খেতে দেবে।
৪. নিজেরা যে কাপড় পরবে, তাদেরও তাই পরতে দেবে।
৫. কোনো ক্রীতদাস যদি নিজের যোগ্যতায় আমির হয়, তবে তাকে মেনে চলবে। তখন বংশ মর্যাদার কথা বলবে না।
৬. কোন কঠিন কাজ হলে তাতে তাদের সহযোগিতা করবে।

প্রশ্ন (ঙ): ধর্ম সম্পর্কে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কী বলেছেন?
উত্তর: মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ‘বিদায় হজ’ এর ভাষণ ইতিহাস বিখ্যাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ। এই ভাষণে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ধর্ম সম্পর্কে যে উপদেশ দিয়েছেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না।
২. নিজের ধর্ম পালন করবে।
৩. যারা অন্য ধর্ম পালন করে, তাদের ওপর তোমরা ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করো না।

প্রশ্ন (চ): বিদায় হজে মহানবী (সা.) নারী-পুরুষ সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর: বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক আমাদের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) -এর ‘বিদায় হজ’ এর ভাষণ ইতিহাস বিখ্যাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ। বিদায় হজের ভাষণে মহানবী (সা.) নারী-পুরুষ সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, নারীর ওপর পুরুষের যেরূপ অধিকার আছে, পুরুষের ওপর নারীরও সেরূপ অধিকার রয়েছে। তাছাড়া নারীকে পন্য দ্রব্যের মত মনে করতে নিষেধ করেছেন।

প্রশ্ন (ছ): মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কোন চারটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে বলেছেন?
উত্তর: বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক আমাদের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) -এর ‘বিদায় হজ’ এর ভাষণ ইতিহাস বিখ্যাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ। হিজরি দশম সালে অনুষ্ঠিত বিদায় হজের ভাষণে রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.) চারটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে বলেছেন। এই চারটি কথা হলো:
১. আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কারও উপাসনা কোরো না।
২. অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা কোরো না।
৩. পরের সম্পদ অপহরণ কোরো না।
৪. কারও ওপর অত্যাচার কোরো না।

প্রশ্ন (জ): মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের কাছে কোন দুটি জিনিস রেখে গেছেন?
উত্তর: বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক আমাদের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) -এর ‘বিদায় হজ’ এর ভাষণ ইতিহাস বিখ্যাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ। হিজরি দশম সালে অনুষ্ঠিত বিদায় হজের ভাষণে রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, তিনি আমাদের জন্য দুটি মহামূল্যবান জিনিস রেখে গেছেন। আমাদের কাছে তার রেখে যাওয়া সেই দুটি জিনিস হলো:
এক. আল্লাহ তাআলার বাণী তথা আল-কোরআন।
দুই. আল্লাহ তাআলার প্রেরিত পুরুষ রাসূলের জীবনের আদর্শ।
এ সম্পর্কে তিনি বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন, ‘এই দুটি জিনিস যত দিন তোমরা আঁকড়ে ধরে থাকবে, তত দিন কেউ তোমাদের পথভ্রষ্ট করতে পারবে না।’

No comments:

Post a Comment

Clicky