গত ২৩/৭/২০১৯ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে নয়নপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্বামী-স্ত্রী রিকশায় উঠেছেন। সাথে ছিলেন স্বামীর এক বন্ধুও। তিনজনে মিলে যখন রিকশা দিয়ে চলছিল তখন একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। ধীরে ধীরে তা তুমুল আকার ধারণ করে। স্ত্রী অভিযোগ করেন, তিনি শুনেছেন তার স্বামী আরেক বিয়ে করেছেন। স্বামী অস্বীকার করছিলেন সেটিকে। এ নিয়েই তর্কাতর্কি, বাদে বিপত্তি।
এক পর্যায়ে স্ত্রী যখন রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না, তখন লাফ দিয়ে রিকশা থেকে নেমে ‘ছেলেধরা ছেলেধরা’ বলে চিৎকার করে উঠলেন। এরপর রিকশা থামিয়ে নামলেন স্বামীও। তিনিও স্ত্রীকে ইঙ্গিত করে পাল্টা ‘ছেলেধরা ছেলেধরা’ বলে চিৎকার শুরু করলেন। ততক্ষণে আশপাশে থাকা মানুষরা দৌড়ে এগিয়ে এলেন। মানুষজনে ভরে গেল সেই স্থান । কেউ স্ত্রীর দিকে কেউবা স্বামীর দিকে তেড়ে আসছে। পথচারীদের যার কাছে যাকে ‘ছেলেধরা’ মনে হয়েছে তার উপরই হামলে পড়লেন। বাদ পড়লেন না রিকশায় থাকা স্বামীর নিরিহ বন্ধুটিও!
জনতা মিলে তিনজনকে এক চোট গণধোলাই দেয়ার পর পুরুষদ্বয় স্বামী ও বন্ধু কোনো মতে পালিয়ে বাঁচলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মার খাওয়ার সময় তানিয়া বারবার বলছিলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে, আমি ছেলেধরা না।’ কিন্তু জনতা তার কথায় কান দেয়নি। পরবর্তীতে স্ত্রী তানিয়াকে পুলিশ এসে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলো।
শ্রীপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বেড়াইদেরচালা গ্ৰামের মুক্তিযোদ্ধা এবিএম তাজউদ্দিনের মেয়ে তানিয়া। তানিয়ার স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটির এক সময় এলাকার স্থানীয়রা এসে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে দু‘জনকে পিটিয়ে আহত করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে উদ্ধার করে।
শ্রীপুর থানার এস. আই আমিনুল হক জানান, এ ঘটনা সন্দেহে তানিয়াকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
No comments:
Post a Comment