Breaking

Wednesday, May 8, 2019

রোজা মাকরুহ বা ভঙ্গ হওয়াঃ রোজা সম্পর্কে এই বিষয়গুলো না জানলেই নয়

এমন কিছু কাজ রয়েছে, যার দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হয় না । অথচ অনেকেই এইগুলোকে রোজাভঙ্গের কারণ বলে মনে করেন । ফলে এমন কোনো কাজ হয়ে গেলে রোজা ভেঙ্গে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত পানাহার করে । পক্ষান্তরে কেউ কেউ এসব কাজ পরিহার করতে গিয়ে অনাবশ্যক কষ্টও ভোগ করে থাকেন । সুতরাং এই বিষয়গুলো রোজাদারদের অবগত হওয়া খুবই জরুরি।


যেসব  কারণে রোজা ভঙ্গন হয় না
০১. অনিচ্ছাকৃত গলার ভেতর ধুলা-বালি, ধোঁয়া অথবা মশা-মাছি প্রবেশ করলে।
০২. অনিচ্ছাকৃত কানে পানি প্রবেশ করলে।
০৩. অনিচ্ছাকৃত বমি আসা অথবা ইচ্ছাকৃত অল্প পরিমাণ বমি (মুখ ভরে নয়) করলে ।
০৪.  নিজে নিজেই বমি আসার পর ফিরে যাওয়া।
০৫. চোখে যে কোন ওষুধ বা সুরমা ব্যবহার করা ।
০৬. ইনজেকশন নেয়া ।
০৭. ভুলক্রমে পানাহার করে ফেলা ।
০৮. সুগন্ধি ব্যবহার করা বা অন্য কিছুর ঘ্রাণ নেয়া ।
০৯. নিজ মুখের থুথু, কফ ইত্যাদি গলধঃকরণ করা ।
১০. শরীর ও মাথায় তেল / ঠান্ডা তেল ব্যবহার করা ।
১১. শরীর ঠাণ্ডা করার জন্য গোসল করা ।
১২. দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা গোশত খেয়ে ফেললে (যদি পরিমাণে কম হয়), পরিমাণ বেশি হলে রোজা ভেঙে যাবে।
১৩.মিসওয়াক করা। যদি মিসওয়াক করার দরুন দাঁত থেকে রক্ত বের হয়, তবে শর্ত হল গলার ভেতর রক্ত না পৌঁছানো এবং গলার ভেতর না নেয়া।
১৪. ঘুমের মাঝে স্বপ্নদোষ হলে ।
১৫. স্ত্রীলোকের দিকে তাকানোর কারণে কোনো কসরত ছাড়া বীর্যপাত হলে ।
১৬. স্ত্রীকে চুম্বন করলে, যদি বীর্যপাত না হয় (রোজা না ভাঙলেও এটা রোজার উদ্দেশ্যের পরিপন্থী)।
 
রোজা মাকরুহ বা হালকা হওয়ার  কারণ সমূহ
১. বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু চিবালে।
২. মাজন, কয়লা, গুল বা পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে।
৩. রাতে ফরজ হওয়া গোসল না করে সারাদিন নাপাকি অবস্থায় অতিবাহিত করলে।
৪. রোজা রাখা অবস্থায় রক্তদান করলে।
৬. পরনিন্দা, কুৎসা, অনর্থক কথা ও মিথ্যা বললে ।
৭. ঝগড়া, ফাসাদ ও গালমন্দ করলে ।
৮. ক্ষুধা ও পিপাসার কারণে অস্থিরতা প্রকাশ করলে।
৯.  মুখে থুথু জমা করে গিলে ফেললে।
১০. স্ত্রীকে কামভাবের সঙ্গে স্পর্শ করলে।
১১. মুখে কিছু চিবিয়ে শিশুকে খাওয়ালে ।
১২. বুটের কণার চেয়ে ছোট কিছু দাঁতের ফাঁক থেকে বের করে গিলে ফেললে ।


এবার কোরআন-হাদিসের আলোকে বিষয়গুলো অনুধাবনের চেষ্টা করা যাক। মনে রাখা দরকার যে, রোজা ভঙ্গ হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে- সিয়াম ভঙ্গের মৌলিক বিষয় হচ্ছে তিনটি।
প্রথমত, স্ত্রী সহবাসসহ যে কোনো ধরনের যৌনাচার।
দ্বিতীয়ত, পানাহার বা খাদ্য গ্রহণ করা।
তৃতীয়ত, পানাহারের অর্থ যেগুলোর মধ্যে বিদ্যমান, সেগুলো সিয়াম নষ্ট করে থাকে।

তাই আসুন রোজার প্রয়োজনীয় কিছু বিধান জেনে নিই:
যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়:
১. ইচ্ছাকৃত কিছু খেলে বা পান করলে।
২. কানের ভেতরে তেল ঢুকলে বা ঢুকালে।
৩. কোনো বৈধ কাজ করার পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত খেলে।
৪. কানে বা নাকে ওষুধ ব্যবহার করলে।
৫. ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে অথবা অল্প বমি আসার পর তা গিলে ফেললে।
৬. কুলি করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতরে পানি নিয়ে গিলে ফেললে।
৭. রোজার নিয়ত না করলে।
৮. অখাদ্য, কুখাদ্য বা খাদ্য নয় এমন বস্তু খেলে। যেমন: কাঠ, কয়লা, লোহা ইত্যাদি।
৯. ধূমপান করলে। (বিড়ি, সিগারেট পান করলে)
১০. আগরবাতি ইত্যাদির ধোঁয়া ইচ্ছা করে নাকে ঢোকালে।
১১. সময় আছে মনে করেও সুবহে সাদিকের পর সেহেরি খেলে।
১২. ইফতারের সময় হয়ে গেছে মনে করে সময়ের আগেই ইফতার করে ফেললে।
১৩. দাঁত দিয়ে বেশি পরিমাণ রক্ত বের হলে এবং তা ভেতরে চলে গেলে।
১৪. জোর করে কেউ রোজাদারের গলার ভেতরে কিছু ঢুকিয়ে দিলে।
১৫. হস্তমৈথুন দ্বারা বীর্যপাত ঘটালে।
১৬. মুখে পান রেখে ঘুমালে এবং সে অবস্থায় সেহেরির সময় চলে গেলে।
১৭. কামোত্তজনার সাথে কাউকে স্পর্শ করার পর বীর্যপাত হলে।
১৮. স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে।
১৯.মেয়েদের মাসিক/ পিরিয়ড হলে।

আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
সংবাদ সুত্রঃ  অনলাইন পত্রিকা, Image Source www.google.com

No comments:

Post a Comment

Clicky