বিয়ের দিন গাড়িতে নতুন বউ উঠিয়ে দিবার পর, বর আর বউ এর কিছু কথোপকথন-
বরঃ এই মেয়ে তুমি কাঁদছ কেন ?
বউঃ একেবারেই চুপ চাপ, কোন কথা বলল না ।
বরঃ তোমার কাছে কিছু জানতে চেয়েছি আমি ।
বউঃ এমন উদ্ভট প্রশ্নের কি জবাব দিবো আমি ।
বরঃ মানে কী ?
বউঃ মানে আবার কি? এই প্রশ্নের উত্তরটা আগে আপনি দেন, বিয়ে হলে মেয়েরা কেন কাঁদে ?
বরঃ বাহরে, এটা আবার না জানার কি আছে, কারন তখন মেয়েরা তাদের সবকিছুই মানে কাছের মানুষকে ফেলে আসে তাই কান্না করে ।
বউঃ তহলে এবার আপনিই বলুন এটা উদ্ভট প্রশ্ন ছিল কি না ।
বরঃ হুম, আসলেই তোমার সাথে কথা বলার কোন বিষয় পাচ্ছিলাম না তাই
বউঃ ও তাই বুঝি এমন প্রশ্ন দিয়ে শুরু করলেন ।
বরঃ হুম,তবে এবার তুমি সত্যিই কান্নাটা থামাও।
বউঃ কেন ?
বরঃ বাহরে এই যে তুমি এখন কাঁদছ এটাতো তোমার ভাই, বোন, মা, বাবা কেউ দেখতে পাচ্ছে না, তবে কেন কান্না করে তোমার চোখের কাজলটা নষ্ট করছ।
বউঃ আপনি তো বড় অদ্ভুত মানুষ, আপনাকে কে বলল যে আমি ওদের দেখানোর জন্য কান্না করছি। এখন তো আমার মনে হচ্ছে আপনিও কাউকে দেখিয়ে দেখিয়ে কান্না করেন ?
বরঃ হ্যা করিই তো ।
বউঃ মানে কী?
বরঃ মানে কিছু না, প্লিজ কান্না করো না প্লিজ।
বউঃ কান্না-ই তো করছি, এটা করলে কি এমন ক্ষতি হবে শুনি ?
বরঃ কেননা তোমার ওই চোখের কাজল নষ্ট হয়ে যাবে যে ।
বউঃ আচ্ছা আপনি আমার কাজল এর চিন্তা করছেন ? আমার কষ্টের থেকে কাজলটা কি আপনার কাছে অনেক বড় হয়ে গেলো নাকি?
বরঃ না, মানে আমি ভেবেছিলাম তোমার চোখের কাজলটা আমিই উঠিয়ে দিবো। অনেক ভালোবেসে, কিন্তু দেখোনা আমার থেকে বেচারা টিস্যুটার ভাগ্যটাই ভাল, আমার আগে ও তোমার ভালবাসাটা পেল ।
বউঃ এবার হেঁসেই ফেললো, আপনি না পারেনও বটে।
বরঃ যাই হোক একটু হলেও তো হাঁসলে, একটা কথা বলব, রাগ করবে না তো ?
বউঃ না, রাগ করবো না, বলেন কি কথা ?
বরঃ তোমার হাঁসিটা না............!
বউঃ হে, কী বলেন...
বরঃ একটুকুও.....
বউঃ একটুকুও কি?
বরঃ সুন্দর না।
বউঃ তাই?
বরঃ হুম তাই, কী কথাটা শুনে অভিমান হল বুঝি ?
বউঃ কই, নাতো একদমই না ।
বরঃ মুখ দেখে তো মনে হচ্ছে আজ ঐ যে, আকাশে মেঘ করেছে, বৃষ্টিটা মনে হয় আমার সামনেই হবে।
বউঃ কই, কোথায় মেঘ করেছে, আমি তো দেখতে পারছি না ।
বরঃ এই তো আমার সামনে, সেটা তুমি দেখতে পাবে না আমি দেখতে পাচ্ছি ।
বউঃ ও, আচ্ছা, তার মানে আপনি এক জায়গায় আছেন আর আমি অন্য জায়গায় আছি বুঝি ?
বরঃ ঠিক তা না, দু'জনেই একই জায়গায় আছি, বাট মেঘটা যে শুধু আমার চোখেই ধরা দিয়েছে ।
বউঃ ও তাই.....
বরঃ একটা কথা বলব?
বউঃ না থাক, না জানি এখন বলে বসবেন তুমি না কথাই বলতে পার না ।
বরঃ না, তেমন না, প্লিজ বলি?
বউঃ আচ্ছা বলুন।
বরঃ তোমার রাগটা না ........
বউঃ থাক আর শুনতে চাই না আমিই বলে দিচ্ছি খুব বাজে তাই তো ।
বরঃ না।
বউঃ তবে....
বরঃ অনেক কিউট।
বউঃ এবার মুচকি হাঁসলো ।
বরঃ আসলেই কি জানো তোমার হাঁসিটা আরো সুন্দর।
বউঃ একটু অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো, তবে কি তখনকার হাঁসিটা অন্য কারও ছিল নাকি ?
বরঃ না, ছিল তো তোমারই।
বউঃ তবে এখন এটা সুন্দর কি করে হল ?
বরঃ আসলে তোমার অভিমানটা দেখার জন্যই ওভাবে বলেছিলাম ।
বউঃ এবার প্রানখোলা হাঁসি হাঁসলো ।
বরঃ আমি সারা জীবন তোমার মুখে এই হাঁসিটাই দেখতে চাই.........!
(প্রতিটি স্বামী-স্ত্রীর জীবনে সর্বদা এমন হাঁসিই ফুটে থাকুক, প্রাণখোলা, নির্মল, ঘরময়, সারাক্ষণ)
(প্রতিটি স্বামী-স্ত্রীর জীবনে সর্বদা এমন হাঁসিই ফুটে থাকুক, প্রাণখোলা, নির্মল, ঘরময়, সারাক্ষণ)
গল্পটি ভাল লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন, ভাল না লাগলেও জানাবেন।
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source: www.google.com
No comments:
Post a Comment