গর্ভবতী ও যেসব মা শিশুদের স্তন্য পান করান, তাঁদের রোজা রাখার বিষয়ে কিছু বিষয় গুরুত্বসহকারে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক নতুন মায়েরাই সন্তান জন্মগ্রহণের পর থেকেই রোজা রাখার ব্যাপারে চিন্তিত হয়ে পড়েন । প্রথম ছয় মাস বয়স পর্যন্ত নবজাতকে শুধু মাত্র মায়ের দুধই তার প্রধান খাদ্য। কাজেই রোজা রাখা নিয়ে একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগেন মায়েরা, রমজান মাসে রোজা রাখলে মায়েদের বুকের দুধ কমে যাবে বা সন্তান দুধ একবারেই পাবে না এই ভয়ে । কিস্তু আসলেই এই ধারণাটি সম্পূর্ণ অমূলক।
দুগ্ধপানকারিনী মায়েরা দুইটি অবস্থার সম্মুখীন হতে পারে
১. রোজা রাখার কারণে মায়েদের স্বাস্থ্যের উপর কোন ধরণের প্রভাব না পড়া । অর্থাৎ মায়েদের জন্য রোজা রাখাটা কষ্টকর না হওয়া এবং মায়েদের সন্তানের জন্যেও কোন ধরণের আশংকাজনক না হওয়া। কেবল এমন মায়েদের উপর রোজা রাখা ফরজ; তার জন্য রোজা ভাঙ্গা নাজায়েয হয়ে যাবে ।
২. অন্যথায় রোজা রাখলে যেসব মায়ের নিজের স্বাস্থ্য অথবা সন্তানের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে এবং মায়ের জন্যে রোজা রাখাটা খুবই কষ্টকর হওয়া। কেবল মাত্র এমন নারীদের জন্য রোজা না-রাখা জায়েয রয়েছে;বরং অবস্থায় এ নারীর জন্য রোজা না-রাখাই উত্তম । তবে তাদের এ রোজাগুলো পরবর্তীতে কাযা পালন করতে হবে। সেক্ষেত্রে রোজা রাখা মাকরূহ ।
হাদীস শরীফে রয়েছে, নবীজী ﷺ বলেছেন,
إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَضَعَ عَنْ الْمُسَافِرِ شَطْرَ الصَّلَاةِ وَعَنْ الْمُسَافِرِ وَالْحَامِلِ وَالْمُرْضِعِ الصَّوْمَ
আল্লাহ্ তাআলা মুসাফির থেকে অর্ধেক নামাজ হ্রাস করেছেন এবং মুসাফির, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারিণীকে রোজা রাখার ব্যাপারে অবকাশ দিয়েছেন। (সুনানে ইবন মাজাহ ১৬৬৭, তিরমিযী ৭১৫, নাসায়ী ২২৭৪, ২২৭৬, ২৩১৫, আবূ দাউদ ২৪০৮)
গর্ভবতী ও প্রসুতি মায়েদের পরিত্যজ্য খাবার
রোজাদার মায়েদের সুস্থতার জন্য তাদের খাবারদাবারের প্রতি নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে। খেতে হবে পরিমাণমতো । বাহিরের অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। যেমন ভাজাপোড়া,ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার, কোলডিক্স,ভাজাপোড়া এসব খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ, এতে গ্যাসট্রিকের সমস্যাটি বেশি পরিমাণের দেখা দেয় । আর যেসব মা এই অবস্থায় রোজা রাখেন, তাঁরা যখন ইফতার করবেন বেশি বেশি পানি পান করবেন এবং ফলফলাদি খাবেন বেশি বেশি । তবে বাহিরের ঝাল-মসলাযুক্ত, ভাজাপোড়া খাবারগুলো এড়িয়ে গেলে বেশি ভালো হয়। খাবারটা খুব অল্প হতে হবে।
মায়েদের রোজায় চা কিংবা কফি পান না করাই ভাল। চা বা কফি শরীরকে পানি শূণ্য করে ফেলে। যদি একান্তই যদি চা পান করতে হয় তাহলে হালকা লিকারের রঙ চা পান করুন।
১. রোজা রাখার কারণে মায়েদের স্বাস্থ্যের উপর কোন ধরণের প্রভাব না পড়া । অর্থাৎ মায়েদের জন্য রোজা রাখাটা কষ্টকর না হওয়া এবং মায়েদের সন্তানের জন্যেও কোন ধরণের আশংকাজনক না হওয়া। কেবল এমন মায়েদের উপর রোজা রাখা ফরজ; তার জন্য রোজা ভাঙ্গা নাজায়েয হয়ে যাবে ।
২. অন্যথায় রোজা রাখলে যেসব মায়ের নিজের স্বাস্থ্য অথবা সন্তানের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে এবং মায়ের জন্যে রোজা রাখাটা খুবই কষ্টকর হওয়া। কেবল মাত্র এমন নারীদের জন্য রোজা না-রাখা জায়েয রয়েছে;বরং অবস্থায় এ নারীর জন্য রোজা না-রাখাই উত্তম । তবে তাদের এ রোজাগুলো পরবর্তীতে কাযা পালন করতে হবে। সেক্ষেত্রে রোজা রাখা মাকরূহ ।
হাদীস শরীফে রয়েছে, নবীজী ﷺ বলেছেন,
إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَضَعَ عَنْ الْمُسَافِرِ شَطْرَ الصَّلَاةِ وَعَنْ الْمُسَافِرِ وَالْحَامِلِ وَالْمُرْضِعِ الصَّوْمَ
আল্লাহ্ তাআলা মুসাফির থেকে অর্ধেক নামাজ হ্রাস করেছেন এবং মুসাফির, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারিণীকে রোজা রাখার ব্যাপারে অবকাশ দিয়েছেন। (সুনানে ইবন মাজাহ ১৬৬৭, তিরমিযী ৭১৫, নাসায়ী ২২৭৪, ২২৭৬, ২৩১৫, আবূ দাউদ ২৪০৮)
গর্ভবতী ও প্রসুতি মায়েদের পরিত্যজ্য খাবার
রোজাদার মায়েদের সুস্থতার জন্য তাদের খাবারদাবারের প্রতি নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে। খেতে হবে পরিমাণমতো । বাহিরের অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। যেমন ভাজাপোড়া,ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার, কোলডিক্স,ভাজাপোড়া এসব খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ, এতে গ্যাসট্রিকের সমস্যাটি বেশি পরিমাণের দেখা দেয় । আর যেসব মা এই অবস্থায় রোজা রাখেন, তাঁরা যখন ইফতার করবেন বেশি বেশি পানি পান করবেন এবং ফলফলাদি খাবেন বেশি বেশি । তবে বাহিরের ঝাল-মসলাযুক্ত, ভাজাপোড়া খাবারগুলো এড়িয়ে গেলে বেশি ভালো হয়। খাবারটা খুব অল্প হতে হবে।
মায়েদের রোজায় চা কিংবা কফি পান না করাই ভাল। চা বা কফি শরীরকে পানি শূণ্য করে ফেলে। যদি একান্তই যদি চা পান করতে হয় তাহলে হালকা লিকারের রঙ চা পান করুন।
ভাজা পোড়া বা মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
চর্বিযুক্ত খাবার, প্যাকেটের প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং বাসি খাবার একদম খাওয়া উচিত নয়।
চর্বিযুক্ত খাবার, প্যাকেটের প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং বাসি খাবার একদম খাওয়া উচিত নয়।
সেহেরিতে ও ইফতারে মায়েদের খাবার
সেহেরিতে ও ইফতারেরসময় মায়ের জন্য আমিষ এবং প্রোটিন জাতীয় খাবারের সাথে শাকসবজির একটি আইটেম রাখলে খুব ভাল হয়। নবজাতক মায়েদের জন্য ইফতারটাও হবে সকলের থেকে একটু আলাদা । ইফতারের সময় ভাজাপোড়া বা মসলাযুক্ত কোন খাবার খাওয়ায় যাবে না । কারন অনেক সময় এই ভাজাপোড়া বা মসলাযুক্ত খাবারের কারনে মায়েদের গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বরং স্বাভাবিক সময়ে দুপুরে যে খাবারটি খেতেন, সেই খাবারটিই খাবেন ইফতারে। পরিমিত ভাত, মাছ/মাংস, ডাল ও সবজি, টাটকা মৌসুমি ফল বা তার রস, সবজি বা মুরগির স্যুপ, খেজুর, প্রচুর শরবত, দই, পায়েস, পুডিং ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন।খাবার শেষে এক গ্লাস দুধ বা দুধের তৈরি কোনো খাবার এবং যে কোনো একটি মৌসুমি ফল খেলে শরীরের জন্য ভালো। অনেকেই ইফতারের পর আলসেমী করে রাতের খাবার খান না, এমনকি অনেকেই আবার সেহেরিও বাদ দেন। নবজাতকের মায়েরা এ কাজটি কখনও করবেন না। যেন শরীর পর্যাপ্ত ক্যালরি পায় পরিমাণে অল্প হলেও সুষম আহার গ্রহণ করবেন ।
রোজার সময় যেসকল পুষ্টিকর খাদ্য মায়ের জন্য প্রয়োজন
সেহেরিতে ও ইফতারেরসময় মায়ের জন্য আমিষ এবং প্রোটিন জাতীয় খাবারের সাথে শাকসবজির একটি আইটেম রাখলে খুব ভাল হয়। নবজাতক মায়েদের জন্য ইফতারটাও হবে সকলের থেকে একটু আলাদা । ইফতারের সময় ভাজাপোড়া বা মসলাযুক্ত কোন খাবার খাওয়ায় যাবে না । কারন অনেক সময় এই ভাজাপোড়া বা মসলাযুক্ত খাবারের কারনে মায়েদের গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বরং স্বাভাবিক সময়ে দুপুরে যে খাবারটি খেতেন, সেই খাবারটিই খাবেন ইফতারে। পরিমিত ভাত, মাছ/মাংস, ডাল ও সবজি, টাটকা মৌসুমি ফল বা তার রস, সবজি বা মুরগির স্যুপ, খেজুর, প্রচুর শরবত, দই, পায়েস, পুডিং ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন।খাবার শেষে এক গ্লাস দুধ বা দুধের তৈরি কোনো খাবার এবং যে কোনো একটি মৌসুমি ফল খেলে শরীরের জন্য ভালো। অনেকেই ইফতারের পর আলসেমী করে রাতের খাবার খান না, এমনকি অনেকেই আবার সেহেরিও বাদ দেন। নবজাতকের মায়েরা এ কাজটি কখনও করবেন না। যেন শরীর পর্যাপ্ত ক্যালরি পায় পরিমাণে অল্প হলেও সুষম আহার গ্রহণ করবেন ।
রোজার সময় যেসকল পুষ্টিকর খাদ্য মায়ের জন্য প্রয়োজন
১. প্রোটিনজাতীয় খাবার:
রোজার সময় নবজাতকের মায়ের জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার অবশ্যই প্রয়োজন। খাবারের তালিকায় দৈনিক আমিষ বা প্রোটিনজাতীয় খাবার যেমন: ডিম, দুধ, মাছ মাংস, ডাল খাওয়া উচিত। বুকের দুধে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামের উপস্থিতির জন্য খেতে হবে সবুজ শাবসবজি, দই, পনির, বাদাম ইত্যাদির সাথে নানা মৌসুমি ফলও। ইফতারে শরীরের প্রয়োজনীয় লৌহের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে খেজুর।
রোজার সময় নবজাতকের মায়ের জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার অবশ্যই প্রয়োজন। খাবারের তালিকায় দৈনিক আমিষ বা প্রোটিনজাতীয় খাবার যেমন: ডিম, দুধ, মাছ মাংস, ডাল খাওয়া উচিত। বুকের দুধে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামের উপস্থিতির জন্য খেতে হবে সবুজ শাবসবজি, দই, পনির, বাদাম ইত্যাদির সাথে নানা মৌসুমি ফলও। ইফতারে শরীরের প্রয়োজনীয় লৌহের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে খেজুর।
২. তরল খাবার:
গর্ভবতী ও নবজাতকের মায়েদের জন্য তরল খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। নতুন মায়ের তরল খাবার বেশী করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে কেননা এতে মায়ের শরীরের সুস্থতা এবং বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে । বিভিন্ন ধরনের স্যুপ, ঝোল, ডাল, শরবত, সাগু, ফলের রস ইত্যাদি তরল খাবার সেহেরী ও ইফতারিতে অবশ্যই রাখা উচিত।
৩. পানি:
স্তন্যদানকারী মায়ের সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পানি। শরীরের জন্য যেমন প্রচুর পানি প্রয়োজন, তেমনি স্তন্যদানকারী মায়েদের বুকের দুধ উৎপাদনে পানির চাহিদা অপরিসীম । ইফতারের পর থেকেই অল্প অল্প করে পানি পান করতে থাকুন । পানি পান করতে ভালো না লাগলে ফলের রস পান করতে পারেন । একজন নবজাতক মাকে ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত সময়টায় অন্য সময়ের চাইতে এতটু বেশি পরিমান পানি পান করতে হবে ।
৪. শাকসব্জি:
রোজায় নতুন মায়েদের জন্য যেকোন সবুজ শাক-সবজি খুবই উপকারী । শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন । বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এর মধ্যে পালং শাক, কচু শাক, অন্যতম। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা নতুন রক্ত কোষ তৈরি করে। যে সকল মায়েদের শিশু জন্মদানের সময় রক্তপাত হয়ে থাকে তাদের জন্য পালং শাক খাওয়া অনেক প্রয়োজন ।
রমজানে গর্ভবতী মা ও ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা রাখলে জটিলতা বেড়ে গেলে, না রাখাই ভাল। ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ চিকিৎসকদের । যারা পেপটিক আলসার বা পেটের নানা অসুখে ভুগছেন, রমজানে খাবার নিয়ে সচেতন থাকতে হবে তাদেরও ।
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে
পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
রোজায় নতুন মায়েদের জন্য যেকোন সবুজ শাক-সবজি খুবই উপকারী । শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন । বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এর মধ্যে পালং শাক, কচু শাক, অন্যতম। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা নতুন রক্ত কোষ তৈরি করে। যে সকল মায়েদের শিশু জন্মদানের সময় রক্তপাত হয়ে থাকে তাদের জন্য পালং শাক খাওয়া অনেক প্রয়োজন ।
রমজানে গর্ভবতী মা ও ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা রাখলে জটিলতা বেড়ে গেলে, না রাখাই ভাল। ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ চিকিৎসকদের । যারা পেপটিক আলসার বা পেটের নানা অসুখে ভুগছেন, রমজানে খাবার নিয়ে সচেতন থাকতে হবে তাদেরও ।
পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
No comments:
Post a Comment