Breaking

Monday, April 22, 2019

নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ - কোচিং সেন্টারের পরিচালক লাপাত্তা

চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়ায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কোচিং সেন্টারের পরিচালকের বিরুদ্ধে। ধর্ষিতা ঐ উপজেলারই উত্তর আমিরাবাদের একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর মা।



মামলার সূত্রে জানা যায়, ওই উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইফুল ইসলাম। কিছুদিন আগে তিনি আমিরাবাদ এলাকায় সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করেন। এলাকার ছেলে সাইফুলের অনুরোধে ঐ এলাকার নবম শ্রেণির ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে সৃজনশীল কোচিং সেন্টারে ভর্তি করায় ধর্ষিতার অভিভাবক। একই পরিবারের ৪ জনকে পড়ানোর সুবাদে সাইফুলের সাথে ওই ছাত্রীর পরিবারের খুব ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

গত ১২ এপ্রিল সাইফুল ইসলাম স্কুলছাত্রীর বাড়ীতে যায় । বাড়ীতে ঐ ছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতিতে বাসায় তাকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে সাইফুল ইসলাম । সে সময় স্কুল ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক সাইফুল ইসলাম দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘটনা শোনার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে সেদিনই তাকে চমেক হাসাপাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়ার পর গত শুক্রবার বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী।

ঘটনার পর থেকেই কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে আত্মগোপনে পলাতক আছেন সাইফুল ইসলাম। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল মামলা তুলে নেয়ার জন্য  তাকে চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে যে কোনো মুহূর্তে এলাকা ছাড়া করারও হুমকি দিচ্ছে মহলটি। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের হুমকির শিকার হচ্ছেন ছাত্রীর পরিবারটি।


ছাত্রীর বাবা আরো জানান, ধর্ষক সাইফুল ইসলাম যে কোনো মুহূর্তে দেশের বাইরে চলে যেতে পারে। কেননা এজন্য ভিসাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পরই কোচিং সেন্টার বন্ধ করে আসামি আত্মগোপনে আছেন। এখন পর্যন্ত তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিকাশ রুদ্র জানান-  আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সে যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য  বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরসমূহে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ধর্ষক সাইফুল ইসলাম দ্রুতই গ্রেফতার হবে।

ঘটনার তিন দিনের মাথায় গত ১৫ এপ্রিল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) এর প্রতিবেদন পেয়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশ মামলাটি নেয়। মামলাটি দায়ের করেন ওই স্কুল ছাত্রীর মা। দীর্ঘ এক সপ্তাহ চমেক হাসপাতালে ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১৮ এপ্রিল বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী।

আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com

No comments:

Post a Comment

Clicky