প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরিবর্তে বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের নির্ভর করতে হয় সিজারের উপর। কিন্তু সিজারের পর কী কী সমস্যা হয়, এ ব্যাপারে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই বললেই চলে। জেনে নিন সিজার করানোর আগে দরকারি কিছু তথ্য যা জানা অবশ্যক।
যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত
সিজার করে সন্তান জন্ম দেবার পর ০৩ দিনের মত মাকে হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। অনেক মায়েরই অজানা যে সিজার করানোর পরেও যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হয় । তবে এই রক্তপাত সীমিত পরিমাণই হবে। খেয়াল রাখতে হবে, খুব বেশি রক্তপাত, অতিরিক্ত দুর্গন্ধ এবং গাঢ় রঙের রক্ত যাচ্ছে কী না, সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে, কারণ এগুলো ইনফেকশনের লক্ষণ।
মা এবং তার পরিবারকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, সিজার করানোর পর মা-কে ভিটামিন এ খাওয়ানো হচ্ছে কিনা। কেননা সিজার করানোর পর মা-কে ভিটামিন এ খাওয়াতে হয়।
পা ফুলে যাওয়া
আরেকটি সমস্যা হল পা ফুলে যাওয়া । সিজার করানোর পরের দিন মেয়েদের এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। পা ফুলে গেলে ঘুমানোর সময়ে বা শুয়ে থাকার সময়ে পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা একটু উঁচু করে রাখতে হবে। তাহলে পা এতটা ফুলবে না, ফোলা কমে যাবে।
বুকের দুধ খাওয়ানো
সিজার করানোর পর পর দেখা যায় অনেক মা-ই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে চান না। সিজার করানোর পর তিন দিনের মধ্য বুকের দুধ না খাওয়ালে এ সময়ে স্তনে চাকা চাকা হয়ে যায় এবং ব্যাথা হতে পারে। এ জাতীয় সমস্যা হলে সমস্যার সমাধানে তোয়ালে গরম করে হালকা হালকা করে সেঁক দেওয়া যেতে পারে । এছাড়াও বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে/দিতে মা এর কোন সমস্যা হলে কিংবা না দিলে বের করে দুধ চেপে ফেলে দিতে হবে । এতে স্তনে বা বুকের দুধ এ সমস্যা হবে না।
বুকের দুধ ফিডারে রেখে খাওয়ানো
এ ব্যাপারটা অনেক মা-ই জানেন না । মায়ের দুধ সংরক্ষণ করে ফিডারে করে ফ্রিজে রেখে দিলে তা বাচ্চাকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত খেতে দেওয়া যাবে । ঠাণ্ডা দুধ তো অবশ্যই বাচ্চাকে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এটা চুলায় ফুটিয়ে বা ওভেনে গরম করেও দেওয়া যাবে না। গরম পানিতে ফিডার রেখে এই দুধ হালকা গরম করে নিয়ে বাচ্চাকে দেওয়া যাবে।
সিজার করানোর পর পর ই একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয় মা এর শরীরে। এটা শুধু প্রথম দিনেই রাখা হয়। পরের দিন খুলে ফেলা হয়। কেননা বিভিন্ন অপারেশনের আগে বা পরে ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্যাথেটার লাগানোর ফলে প্রস্রাব স্বাভাবিক নিয়মে স্রোতের মত বের হয়ে যেতে পারে না। ফলে কিছুটা প্রস্রাব জমা থেকে যায় মূত্র থলিতে। প্রস্রাবে অবস্থানকারী ব্যাক্টেরিয়া তাই বেরুতে পারে না। তাই ক্যাথেটারের ব্যবহার কমাতে হবে, নিজে প্রস্রাব করার মত পরিস্থিতি তৈরি হলে অপারেশনের সাথে সাথে ক্যাথেটার খুলে ফেলতে হবে। ৩ সপ্তাহের বেশি এক ক্যাথেটার রাখা যাবে না। এতে রোগীর ক্ষতি হতে পারে।
সেলাইয়ের দাগ
সিজার পর সেলাইয়ের দাগটা থেকে যায় অনেক দিন, অনেক বছর পর্যন্ত। বেশ উঁচুও হয়ে থাকে সেলাইয়ের স্থানটা। তবে সময়ের সাথে সাথে তা হালকা হয়ে যায় অনেকটা, আগের মতো উঁচুও হয়ে থাকে না। অপারেশনের পর এই কাটা সেলাইয়ের দাগটা শুকাতে দিতে হবে কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ। পুরো শুকিয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে দাগ দূর করার জন্য তেল মালিশ কিংবা দাগ দূর করার ক্রিম লাগানো যেতে পারে। দাগ শুকানো এর আগে লাগালে আরো ক্ষতির কারণ হতে পারে বেশি।
অপারেশনের পর টয়লেটের কাজ সারা
সিজার একটি বেশ বড়সড় একটা অপারেশন। কেননা সিজারের পর সারা শরীর অবশ থাকে টানা ১ থেকে ২ দিন। সুতরাং অনেকেই এই অপারেশনের পর টয়লেটের কাজ সারতে খুবই ভয় পান। এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রয়োজন হলে ডাক্তার কিছু ওষুধ দেবেন, যা সহজে টয়লেটের কাজ সারতে সাহায্য করবে। বেশি বেশি লেবু, মাল্টা ও ভিটািমিন সি জাতিয় ফলমুল খেলে খুব দ্রুত সেলাইয়ের ক্ষত শুকিয়ে যাবে।
হাঁটাচলা
সিজারের পর রক্ত জমাট বাঁধার ভয় যেন না থাকে, এজন্য পরের দিন হালকা হাঁটা-চলা করাটা ভালো। এছাড়াও সিজারের পর যত হাঁটা-চলা করবেন, ততই শরীর এর জন্য ভাল।
শরীরে কাঁপুনি
শরীর থেকে অ্যানেসথেসিয়ার প্রভাব কেটে যাবার সময়ে অনেকের কাঁপুনি দেখা যায়। শরীরের নিম্নাংশে বিশেষ করে পায়ে অসাড়তা অনুভব হতে পারে। কয়েক ঘণ্টার মাঝে এই অনুভুতি কেটে যাবার কথা। এটা সাধারণত সিজারের ৪-৫ দিন পর বেশি দেখা যায়।
ভারী কাজ নিষেধ
সিজারের প্রথম ২-৩ সপ্তাহ বাচ্চার চাইতে ভারী অর্থাৎ ৫/১০ কেজির বেশি ওজনের কিছু আপনি তুলবেন না । অন্যথায় সিজারের কাঁচা অপারেশনের সেলাই ফেটে যেতে পারে। ৪-৬ সপ্তাহ ব্যায়াম বন্ধ। সারা শরীর বেশি নাড়াচড়া করা যাবে না। আর শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ রাখতে হবে কমেপক্ষে ছয় সপ্তাহ বা ৪০ দিন। এ সময়ে স্বামী সহবাস ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ এবং কবিরা গুনাহ এর কাজ।
হাঁচি-কাশিতে ব্যাথা হতে পারে
যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত
সিজার করে সন্তান জন্ম দেবার পর ০৩ দিনের মত মাকে হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। অনেক মায়েরই অজানা যে সিজার করানোর পরেও যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হয় । তবে এই রক্তপাত সীমিত পরিমাণই হবে। খেয়াল রাখতে হবে, খুব বেশি রক্তপাত, অতিরিক্ত দুর্গন্ধ এবং গাঢ় রঙের রক্ত যাচ্ছে কী না, সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে, কারণ এগুলো ইনফেকশনের লক্ষণ।
মা এবং তার পরিবারকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, সিজার করানোর পর মা-কে ভিটামিন এ খাওয়ানো হচ্ছে কিনা। কেননা সিজার করানোর পর মা-কে ভিটামিন এ খাওয়াতে হয়।
পা ফুলে যাওয়া
আরেকটি সমস্যা হল পা ফুলে যাওয়া । সিজার করানোর পরের দিন মেয়েদের এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। পা ফুলে গেলে ঘুমানোর সময়ে বা শুয়ে থাকার সময়ে পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা একটু উঁচু করে রাখতে হবে। তাহলে পা এতটা ফুলবে না, ফোলা কমে যাবে।
বুকের দুধ খাওয়ানো
সিজার করানোর পর পর দেখা যায় অনেক মা-ই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে চান না। সিজার করানোর পর তিন দিনের মধ্য বুকের দুধ না খাওয়ালে এ সময়ে স্তনে চাকা চাকা হয়ে যায় এবং ব্যাথা হতে পারে। এ জাতীয় সমস্যা হলে সমস্যার সমাধানে তোয়ালে গরম করে হালকা হালকা করে সেঁক দেওয়া যেতে পারে । এছাড়াও বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে/দিতে মা এর কোন সমস্যা হলে কিংবা না দিলে বের করে দুধ চেপে ফেলে দিতে হবে । এতে স্তনে বা বুকের দুধ এ সমস্যা হবে না।
বুকের দুধ ফিডারে রেখে খাওয়ানো
এ ব্যাপারটা অনেক মা-ই জানেন না । মায়ের দুধ সংরক্ষণ করে ফিডারে করে ফ্রিজে রেখে দিলে তা বাচ্চাকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত খেতে দেওয়া যাবে । ঠাণ্ডা দুধ তো অবশ্যই বাচ্চাকে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এটা চুলায় ফুটিয়ে বা ওভেনে গরম করেও দেওয়া যাবে না। গরম পানিতে ফিডার রেখে এই দুধ হালকা গরম করে নিয়ে বাচ্চাকে দেওয়া যাবে।
এছাড়াও সিজার করার পর আরও কয়েকটি ব্যাপারে জেনে রাখা ভালো
ক্যাথেটারসিজার করানোর পর পর ই একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয় মা এর শরীরে। এটা শুধু প্রথম দিনেই রাখা হয়। পরের দিন খুলে ফেলা হয়। কেননা বিভিন্ন অপারেশনের আগে বা পরে ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্যাথেটার লাগানোর ফলে প্রস্রাব স্বাভাবিক নিয়মে স্রোতের মত বের হয়ে যেতে পারে না। ফলে কিছুটা প্রস্রাব জমা থেকে যায় মূত্র থলিতে। প্রস্রাবে অবস্থানকারী ব্যাক্টেরিয়া তাই বেরুতে পারে না। তাই ক্যাথেটারের ব্যবহার কমাতে হবে, নিজে প্রস্রাব করার মত পরিস্থিতি তৈরি হলে অপারেশনের সাথে সাথে ক্যাথেটার খুলে ফেলতে হবে। ৩ সপ্তাহের বেশি এক ক্যাথেটার রাখা যাবে না। এতে রোগীর ক্ষতি হতে পারে।
সেলাইয়ের দাগ
সিজার পর সেলাইয়ের দাগটা থেকে যায় অনেক দিন, অনেক বছর পর্যন্ত। বেশ উঁচুও হয়ে থাকে সেলাইয়ের স্থানটা। তবে সময়ের সাথে সাথে তা হালকা হয়ে যায় অনেকটা, আগের মতো উঁচুও হয়ে থাকে না। অপারেশনের পর এই কাটা সেলাইয়ের দাগটা শুকাতে দিতে হবে কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ। পুরো শুকিয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে দাগ দূর করার জন্য তেল মালিশ কিংবা দাগ দূর করার ক্রিম লাগানো যেতে পারে। দাগ শুকানো এর আগে লাগালে আরো ক্ষতির কারণ হতে পারে বেশি।
অপারেশনের পর টয়লেটের কাজ সারা
সিজার একটি বেশ বড়সড় একটা অপারেশন। কেননা সিজারের পর সারা শরীর অবশ থাকে টানা ১ থেকে ২ দিন। সুতরাং অনেকেই এই অপারেশনের পর টয়লেটের কাজ সারতে খুবই ভয় পান। এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রয়োজন হলে ডাক্তার কিছু ওষুধ দেবেন, যা সহজে টয়লেটের কাজ সারতে সাহায্য করবে। বেশি বেশি লেবু, মাল্টা ও ভিটািমিন সি জাতিয় ফলমুল খেলে খুব দ্রুত সেলাইয়ের ক্ষত শুকিয়ে যাবে।
হাঁটাচলা
সিজারের পর রক্ত জমাট বাঁধার ভয় যেন না থাকে, এজন্য পরের দিন হালকা হাঁটা-চলা করাটা ভালো। এছাড়াও সিজারের পর যত হাঁটা-চলা করবেন, ততই শরীর এর জন্য ভাল।
শরীরে কাঁপুনি
শরীর থেকে অ্যানেসথেসিয়ার প্রভাব কেটে যাবার সময়ে অনেকের কাঁপুনি দেখা যায়। শরীরের নিম্নাংশে বিশেষ করে পায়ে অসাড়তা অনুভব হতে পারে। কয়েক ঘণ্টার মাঝে এই অনুভুতি কেটে যাবার কথা। এটা সাধারণত সিজারের ৪-৫ দিন পর বেশি দেখা যায়।
রক্তপাত
প্রাকৃতিকভাবে বা সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিলেও রক্তপাত হবেই। একে বলা হয় পোস্টপারটাম ব্লিডিং। এটা খুব বেশি হলে ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।
ভারী কাজ নিষেধ
সিজারের প্রথম ২-৩ সপ্তাহ বাচ্চার চাইতে ভারী অর্থাৎ ৫/১০ কেজির বেশি ওজনের কিছু আপনি তুলবেন না । অন্যথায় সিজারের কাঁচা অপারেশনের সেলাই ফেটে যেতে পারে। ৪-৬ সপ্তাহ ব্যায়াম বন্ধ। সারা শরীর বেশি নাড়াচড়া করা যাবে না। আর শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ রাখতে হবে কমেপক্ষে ছয় সপ্তাহ বা ৪০ দিন। এ সময়ে স্বামী সহবাস ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ এবং কবিরা গুনাহ এর কাজ।
হাঁচি-কাশিতে ব্যাথা হতে পারে
সার্জারির পর হাঁচি-কাশি দিতে গেলেই পেটে কাটা স্থানে ব্যাথা লাগতে পারে। এ সময়ে পেটের ওপর বালিশ চেপে ধরে রাখলে ব্যাথা কম হবে। অনেকেই এ সময়ে বেল্ট পরে থাকেন। এই বেল্টও ব্যাথা কমাতে সহায়ক। প্রথম সপ্তাহে এই সমস্যা বেশি হবে। পরে আস্তে আস্তে কমে যাবে।
Image Source www.google.com
আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Image Source www.google.com
বাহ নতুন কিছু শিখলাম।
ReplyDeleteধন্যবাদ, সব সময় আমাদের সাথে থাকবেন আশা করি।
Deleteসিজারের কারনে পায়ে সমস্যা কি করনীয়
ReplyDelete