পঞ্চম শ্রেণি - সমাজ - অধ্যায়-১৮ - বিশ্ব শান্তি ও জাতিসংঘ

সংক্ষেপে উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ (ক) জাতিসংঘ গঠনের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য কী?

উত্তরঃ বিশ্ব শান্তির জন্য বা অন্য কথায় যুদ্ধ থেকে মানবজাতিকে রক্ষার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছে। কয়েকটি রাষ্ট্রের মধ্যে যদি বিরোধ দেখা দেয়, তবে শান্তিপূর্ণভাবে তার সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা জাতিসংঘের উদ্দেশ্য। বিশ্বের সব রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি এর আরেকটি উদ্দেশ্য। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, শিশু, নারী ও পুরুষ সবার মানবিক ও মৌলিক অধিকার রক্ষা এর অন্যতম উদ্দেশ্য। নানা ধরনের কল্যাণ ও সেবামূলক কাজ পরিচালনা করাও জাতিসংঘের উদ্দেশ্য। 

প্রশ্নঃ (খ) নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান লক্ষ্য বর্ণনা করো।

উত্তরঃ বিশ্বের কোথাও রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে বিরোধ দেখা দিলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে নিরাপত্তা পরিষদ। এ চেষ্টা সফল না হলে সামরিক শক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত করে।

প্রশ্নঃ (গ) আন্তর্জাতিক আদালতে কীসের বিচার হয়?

উত্তরঃ যে কোনো রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিলে তা মীমাংসার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাইতে পারে। আন্তর্জাতিক আদালত বিরোধ মীমাংসা করে রায় ঘোষণা করে। এই আদালতের রায় নিরাপত্তা পরিষদ কার্যকর করে। এই আদালতটি নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত।

প্রশ্নঃ (ঘ) ইউনিসেফ শিশুদের জন্য কী কী কাজ করে?

উত্তরঃ ইউনিসেফ শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা, গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরি, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা, টিকা দান ইত্যাদি নানা কাজ করে থাকে। বিশ্বের কোথাও শিশুদের অধিকার যাতে লঙ্ঘন না হয় সেদিকে ইউনিসেফ সজাগ দৃষ্টি রাখে। এ উদ্দেশ্যে ১৯৫৯ সালে ইউনিসেফ শিশু অধিকার সংক্রান্ত একটি ঘোষণা প্রচার করে। এছাড়া একই উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শিশু বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্বের শিশুদের সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হলো ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের ‘শিশু অধিকার সনদ’।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় শিশু কল্যাণমূলক অনেক কাজ পরিচালিত হচ্ছে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, শিশুদের পুষ্টিহীনতা দূর করা এবং বাংলাদেশের সব শিশুর শিক্ষা যাতে নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে ইউনিসেফ কাজ করে যাচ্ছে।

প্রশ্নঃ (ঙ) বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কাজ কী?

উত্তরঃ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বের সব মানুষের স্বাস্থ্যের সর্বোচ্চ উন্নতি সাধন। স্বাস্থ্য ও রোগব্যাধি সম্পর্কে দরিদ্র দেশের মানুষকে সচেতন করা এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া এই সংস্থার প্রধান কাজ। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। এই সংস্থার কাজের ফলে বিশ্ব থেকে গুটি বসন্তের মতো রোগ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে।