ms‡¶‡c DËi `vIt
ক. বাংলাদেশের পাখি মধুর সুরে ডাকে কেন?
উত্তরঃ আসাদ চৌধুরী রচিত ‘জানাজানি’ কবিতায় বাংলাদেশের পাখির মধুর সুরের কথা বর্ণনা করেছেন। বাংলা ভাষার মান রক্ষার জন্য বাঙালীরা প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভোরবেলা আমাদের ঘুম ভাঙে। পাখির এই ডাকে আমরা যেন শুনতে পাই আমাদেরই ভাষার জয়গান। বাংলা ভাষার মধুর বাণী উচ্চরিত হয় পাখির কন্ঠে। এই ভাষার সম্মান রক্ষার জন্যই যে বাঙালী জাতি প্রাণ দিয়েছিল। ভাষা শহীদদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার জন্যই বাংলাদেশের পাখি মধুর সুরে ডাকে।
খ. পাখির ডাকের মধ্যে আমরা কী শুনতে পাই?
উত্তরঃ আসাদ চৌধুরী রচিত ‘জানাজানি’ কবিতায় পাখির কন্ঠে বাংলা ভাষার গুরুত্বের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিকসহ অনেকে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাঁরা ভাষার জন্য শহীদ হয়েছেন। তাদের আত্নত্যাগ সার্থক হয়েছে। পাখি যখন ডাকে তখন তাঁদের কথারই প্রতিধ্বনি যেন ভেসে আসে। পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভোরবেলায় আমাদের ঘুম ভাঙে। পাখির এই মধুর কন্ঠে আমরা যেন শুনতে পাই আমাদেরই ভাষার জয়গান।
গ. বাংলাদেশের আকাশ কপালে টিপ আঁকে কেন?
উত্তরঃ বাংলার আকাশ যেমন প্রশস্ত তেমনি উদার। বাংলার মানুষের হৃদয়ও তেমনি উদার। ভাষার মান রক্ষার জন্য বাঙালীরা প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। ১৫৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউলসহ অনেকে বাংলাভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। বাংলার আকাশ যখন লাল সূর্যের আভা ছড়িয়ে দেয় তখন সূর্যটিকে মনে হয় ভাষা শহীদদের টিপ। এদেশের প্রকৃতিও ভাষা শহীদদের রক্তের সম্মান দেখানোর জন্য ব্যাকুল। তাই উদার আকাশের লাল সূর্যটিকে মনে হয় বাংলাদেশের আকাশ কপালে টিপ এঁকেছে রক্তের রঙিন আভায়।
বিষযবস্তুঃ কবি ও শিশু সাহিত্যিক আসাদ চৌধুরী তাঁর ‘জানাজানি’ কবিতায় বাংলা ভাষার মান রক্ষার জন্য এদেশের ভাষা প্রেমিকেরা তাদের জীবন দিয়েছেন তা বাংলার প্রকৃতির কাছেও চির ভাস্মর হয়ে আছে, সেই দিকটি সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউল সহ অনেকেই বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা। বাঙালি জাতি ভাষার মান রক্ষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন তা এদেশের পাখিরা মনে প্রাণে উপলদ্ধি করতে পারে। এদেশের পাখিরা মধুর সুরে ডাকে। সেই সু-মধুর ডাকে ভোরবেলায় আমাদের ঘুম ভাঙে। পাখির এই ডাকে আমরা যেন শুনতে পাই আমাদেরই ভাষার জয়গান। ভোর শেষ হতেই আকাশে রক্তিম আভা নিয়ে সূর্য উদয় হয়। বাংলার আকাশ যখন লাল হয় তখন মনে হয় শহীদদের রক্তের টিপ পরে আছে। বাংলার আকাশ যেমন প্রশস্ত তেমনি উদার। বাংলার মানুষের হৃদয়ও আকাশের মত উদার। এই উদার আকাশ বাঙালির প্রাণের ভাষা বুঝতে পারে। তাই উদার আকাশ ইশারায় প্রাণের ডাক দিয়ে যায়। এই উদার আকাশে যখন লাল সূর্যের আভা ছড়িয়ে পড়ে তখন মনে হয় টিপ পড়ে আছে এই আকাশ। পাখি, আকাশ, প্রকৃতি সবই যেন ভাষার সম্মান রক্ষার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে। ভাষা শহীদদের লালিত ¯^cœ‡K ¯^v_©K রূপদান করার জন্যই যেন পাখি তার সুমধুর গান এবং আকাশ কপালে রক্তের টিপ পরে আছে।
No comments:
Post a Comment