msw¶ß cÖ‡kœvËit
১. ফার্ণ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।
উত্তরঃ ফার্ণ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ-
ক) ফার্ণ একটি অপুষ্পক উদ্ভিদ।
খ) ফার্ণ উদ্ভিদের রং সবুজ।
গ) এদের দেহে মূল, কান্ড ও পাতার মত অঙ্গ রয়েছে।
ঘ) এদের মূল সপুষ্পক উদ্ভিদের মূলের মত নয়।
২. একটি নগ্নবীজী উদ্ভিদের নাম লেখ। নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।
উত্তরঃ নগ্নবীজী উদ্ভিদের নামঃ সাইকাস একটি নগ্নবীজী উদ্ভিদ।
নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপঃ
ক) নগ্নবীজী উদ্ভিদের বীজ ফলের অংশ দিয়ে ঢাকা থাকে না।
খ) বীজ ধারক পাতার পাশে বীজ উৎপন্ন হয়।
গ) বীজ নগ্ন অবস্থায়ই পরিপক্ক হয়।
ঘ) নগ্নবীজী উদ্ভিদের ফল হয় না।
৩. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর ভূমিকা আলোচনা কর।
উত্তরঃ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর ভমিকাঃ
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ই আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। উদ্ভিদ ও প্রাণীর থেকে আমরা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য নানা রকমের উপাদান পেয়ে থাকি। উদ্ভিদ বায়ুতে অক্সিজেন ছাড়ে এবং বায়ু থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে। উদ্ভিদের জন্যই বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাড়তে পারে না।
বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমান বৃদ্ধি পেলে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর জন্যও তা মারাত্মক হয়। খনিজ লবন প্রাণীদেহের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। উদ্ভিদ মাটি থেকে খনিজ লবন গ্রহণ করে দেহে জমা রাখে। প্রাণী উদ্ভিদজাত খাদ্য থেকে প্রয়োজনীয় খনিজ লবন সংগ্রহ করে। প্রাণীর মৃত্যুর পর খনিজ লবন আবার মাটিতে মিশে যায়। মাটি থেকে উদ্ভিদ পূনরায় খনিজ লবন গ্রহণ করে। এভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণী পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।
AwZwi³ cÖkœ
v জীব ও জড়ের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
নিচে ছকের মাধ্যমে জীব ও জড়ের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হলঃ
জীব | জড় |
১. যাদের জীবন আছে তাদের জীব বলা হয়। যেমন- মানুষ, গরু, ছাগল ইত্যাদি। | ১. যাদের জীবন নেই তাদের জড় বলা হয়। যেমন- কলম, টেবিল, চেয়ার ইত্যাদি। |
২. জীব খাদ্য গ্রহণ করতে পারে। | ২. জড় বস্তু খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। |
৩. জীব বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। | ৩. জড় বস্তু বংশ বৃদ্ধি করতে পারে না। |
৪. জীব শ্বাস গ্রহণ ও নিশ্বাস ত্যাগ করে। | ৪. জড়বস্তু শ্বাস গ্রহণ ও নিশ্বাস ত্যাগ করতে পারে না। |
৫. জীব ছোট থেকে আস্তে আস্তে বড় হয় এবং এক সময় মারা যায়। | ৫. জড় বস্তু বড় হয় না এবং এদের মৃত্যুও নেই। |
v প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ নিচে ছকের মাধ্যমে উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য দেখানো হলঃ
প্রাণী | উদ্ভিদ |
১. প্রাণীর অঙ্গ প্রতঙ্গ আছে। | ১. উদ্ভিদের কোন অঙ্গ প্রতঙ্গ নেই। |
২. প্রাণী চলাফেরা করতে পারে। | ২. উদ্ভিদ চলাফেরা করতে পারে না। |
৩. প্রাণী নিজের খাদ্য নিজে তৈরী করতে পারে না। খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। | ৩. উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজেই তৈরী করতে পারে। |
v একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ নিচে ছকের মাধ্যমে একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হল ঃ
একবীজপত্রী | দ্বিবীজপত্রী |
১. যেসব উদ্ভিদের বীজে একটি মাত্র বীজপত্র থাকে তাকে একবীজ পত্রী উদ্ভিদ বলে। | ১. যেসব উদ্ভিদের বীজে দুইটি বীজপত্র থাকে তাকে দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। |
২. ধান, গম, ভুট্টা প্রভৃতি একবীজপত্রী উদ্ভিদের উদাহরণ। | ২. ছোলা, মটর, শিম, প্রভৃতি দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের উদাহরণ। |
৩. একবীজ পত্রী উদ্ভিদের বীজের খোসা ছাড়ানো খুব সহজ নয়। | ৩. দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের বীজের খোসা ছাড়ানো অপেক্ষাকৃত সহজ। |
v বিরুৎ, গুল্ম ও বৃক্ষের বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তরঃ নিচে ছক আকারে বিরুৎ, গুল্ম ও বৃক্ষের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলঃ
বিরুৎ | গুল্ম | বৃক্ষ |
১. বিরুৎ উদ্ভিদ আকার আকৃতিতে ছোট। | ১. গুল্ম উদ্ভিদ আকার আকৃতিতে মাঝারি ধরনের। | ১. বৃক্ষ আকার আকৃতিতে অনেক বড়। |
২. বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদের মূল মাটির গভীরে প্রবেশ করে না। | ২. গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের মূল মোটামুটি ভাবে মাটির গভীরে প্রবেশ করে। | ২. বৃক্ষের মূল মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করে। |
৩. কান্ড, শাখা-প্রশাখা নরম ও চিকন। | ৩. কান্ড, শাখা-প্রশাখা মোটামুটি শক্ত ও মোটা। | ৩. কান্ড, শাখা-প্রশাখা অনেক শক্ত ও মোটা। |
৪. এদের জীবনকাল দীর্ঘস্থায়ী নয়। | ৪. এদের জীবনকাল কম দীর্ঘস্থায়ী। | ৪. এরা অনেক দিন বাঁচে বলে জীবনকাল দীর্ঘস্থায়ী। |
৫. উদাহরণঃ ছোলা, শিম, মরিচ গাছ, মটর ইত্যাদি। | ৫. উদাহরণঃ ঘাস, গোলাপ, জবা, কুমড়ালতা ইত্যাদি। | ৫. উদাহরণঃ আমগাছ, তালগাছ ইত্যাদি। |
v নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তরঃ নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য
Ø নগ্নবীজী উদ্ভিদের ফল হয় না কিন্তু বীজ হয়।
Ø ফল হয় না বলে নগ্নবীজী উদ্ভিদের বীজ ফলের অংশ দিয়ে ঢাকা থাকে না।
Ø বীজ ধারক পাতার পাশে বীজ উৎপন্ন হয়।
Ø বীজগুলো একপ্রকার বীজধারনপত্রে নগ্ন বা উম্মুক্ত অবস্থায় থাকে।
Ø আমাদের দেশে নগ্নবীজী উদ্ভিদের সংখ্যা কম। সাইকাস, পাইন এবং অরোকেরিয়া নগ্নবীজী উদ্ভিদের উদাহরণ।
No comments:
Post a Comment